তিন দশকের চলচ্চিত্র অভিনয়জীবনে ডলি জহুর অভিনীত সিনেমার সংখ্যা ১৬১। প্রথম ছবির নাম ‘অসাধারণ’, রহীম নওয়াজ পরিচালিত ছবিতে আরও অভিনয় করেন রাজ্জাক, ববিতা, প্রবীর মিত্র, সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমুখ। তাঁর অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘দুই পৃথিবী’, এফ আই মানিক পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেন মান্না, শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, অহনা প্রমুখ। ‘দুই পৃথিবী’ ছবিতে শাকিব খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনয়শিল্পী। এরপর তাঁকে আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। ২০১০ সালে স্বামী ক্যানসার আক্রান্ত হলে ওই সময়টায় প্রযোজকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা চেয়ে না পাওয়ায় অভিমান ও ক্ষোভে সিনেমায় আর ফেরেননি বলে জানান ডলি জহুর।

ডলি জহুর.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে ১০১ কেজি গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার  

সোনারগাঁয়ে র‌্যাব-১১-এর পৃথক দুটি অভিযানে ১০১ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫টি চাপাতি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৫টি ছুরি, একটি সুইচ গিয়ার ও একটি বড় দা।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো- মফিজুল ইসলাম ওরফে জামিল বাবু (২৮), সাইফুল ইসলাম সাকিব (২৫), মো. মানিক (৩১), সাদ্দাম (৩২), সহিদ (৩৭) এবং মনির হোসেন (৫৭)। তারা সকলেই সোনারগায়ের বাসিন্দা। এ সময় গাঁজা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়। 

সোমবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানান। এরআগে ভোর ৫টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ে পাচকানিরকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মেঘনা-টু-বটতলা সড়ক থেকে ১০১ কেজি গাঁজাসহ একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা এলাকায় যানযটের সময় এবং নিজেরা গাছের গুড়ি ফেলে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুটে নিতো। তারা অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিদেশগামী যাত্রীদের বেশি টার্গেট করে ডাকাতি করে। 

গ্রেপ্তারকৃত মফিজুল ইসলাম ওরফে জামিল বাবুর নামে হত্যা সহ ৪টি, সাইফুল ইসলাম সাকিবের নামে হত্যা-নাশকতা-মাদক সহ ৪টি, মানিকের নামে হত্যা সহ ৩টি, সাদ্দামের নামে ডাকাতি-হত্যা-মাদক-অস্ত্র-চুরি সহ ১৮টি, সহিদের নামে হত্যা এবং মনিরের নামে চুরি-মাদক সহ ৫টি মামলা রয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। 

তিনি আরও বলেন, চক্রের অবশিষ্ট সদস্যদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং উদ্ধারকৃত মাদক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ