‘হাইব্রিড কর্মপদ্ধতি’ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হতে পারে : হাউস অব লর্ডস
Published: 18th, November 2025 GMT
করোনার সময় অফিস থেকে কাজের ধারা বদলে দিয়েছিল ‘হোম অফিস’। এখন সেই ধারার নতুন রূপ—‘হাইব্রিড কাজ’। সপ্তাহের কিছুদিন অফিসে, বাকিটা বাসা থেকে। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি এই মডেল গ্রহণ করেছে। এবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদ্ধতি শুধু কাজের ধরন নয়, বিশ্বের কর্মজীবনের অন্তর্ভুক্তির ধারাও পাল্টে দিতে পারে—বিশেষত প্রতিবন্ধী কর্মীদের জন্য।
নিয়োগদাতারা যাতে আরও বেশি হাইব্রিড ও রিমোট কাজের সুযোগ দেন, সে বিষয়ে সরকারকে উৎসাহিত করা উচিত—সম্প্রতি এমন মত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের এক কমিটি। ‘হাউস অব লর্ডস’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রতিবন্ধী কর্মীদের অন্তর্ভুক্তি শুধু সামাজিক দায় নয়, এটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু।
১.হাইব্রিড কর্মপদ্ধতি কী
হাইব্রিড কর্মপদ্ধতি মানে অফিস ও বাসা—দুই জায়গা থেকেই কাজ করার নমনীয় সুযোগ। কোভিড-১৯-এর সময় এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়, কিন্তু এখন এটি স্থায়ী বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মীদের একাংশ বাসা থেকে এবং বাকিরা অফিসে থেকে কাজ করলে উৎপাদনশীলতা কমে না, বরং অনেক ক্ষেত্রে বাড়ে।
বাংলাদেশেও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে হাইব্রিড মডেলে যাচ্ছে। আইটি, ডিজাইন, মিডিয়া, এমনকি ব্যাংক খাতেও পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে।
আরও পড়ুননতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় ভাববেন০৪ নভেম্বর ২০২৫২. অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশের চ্যালেঞ্জবাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের হার এখনো কম। সর্বশেষ জনশুমারি অনুসারে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অর্থাৎ প্রতি দশজনে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। কিন্তু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে না। এর প্রধান কারণ—অ্যাকসেসিবল অফিস, প্রযুক্তিগত সহায়তার ঘাটতি ও মানসিক বাধা। তবে ইতিবাচক দিকও আছে। কিছু বহুজাতিক কোম্পানি ও স্টার্টআপ এখন প্রতিবন্ধী কর্মীদের জন্য বিশেষ নিয়োগ নীতি চালু করছে। রিমোট ও হাইব্রিড কাজ এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করছে। ভৌগোলিক দূরত্ব বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আর বড় বাধা নয়—কাজের যোগ্যতাই হচ্ছে আসল মানদণ্ড।
আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ২১৮১৩ নভেম্বর ২০২৫৩. ‘হাউস অব লর্ডস’ যা বলছে২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটেনের ‘হাউস অব লর্ডস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে—‘প্রতিবন্ধিতা এবং কাজের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে সেই সব প্রতিষ্ঠানের ওপর, যারা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নমনীয় নীতিতে বিশ্বাস করে। তারা সতর্ক করেছে, যদি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবন্ধী ও সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মীদের বাদ রাখে, তাহলে তারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। বাংলাদেশেও এই সতর্কতা প্রাসঙ্গিক। কারণ, দেশটি এখন আইটি সেবা, আউটসোর্সিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং খাতে দ্রুত এগোচ্ছে। এখানে হাইব্রিড কাজ ও প্রতিবন্ধী কর্মীর অন্তর্ভুক্তি কেবল মানবিক বিষয় নয়—এটি অর্থনৈতিক কৌশলও।
ডিজিটাল অবকাঠামো ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট বাংলাদেশের অনেক তরুণকে ঘরে বসেই বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ দিয়েছে। ‘হাউস অব লর্ডস’-এর প্রতিবেদনে যেমন বলা হয়েছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ কোনো দাতব্য বিষয় নয়, এটি সফল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পূর্বশর্ত। বাংলাদেশেও এই দর্শন যদি প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রহণ করে, তবে অর্থনীতি ও মানবিকতা দুটোই একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। গার্ডিয়ান অবলম্বনে
আরও পড়ুন৭ ব্যাংক নেবে ৮৫২ অফিসার, একাডেমিক পরীক্ষার ১টিতে প্রথম বিভাগে আবেদন০৯ নভেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় সপ্তাহও কি আশাভঙ্গের কার্বন কপি হবে
একটি ছুটির দিন মাঝে রেখে দুই সপ্তাহের জলবায়ু সম্মেলনের কার্যক্রম আবার শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। সম্মেলনের প্রতিটি দিন বিশেষ প্রতিপাদ্য (থিম) দিয়ে সাজানো হয়। নতুন সপ্তাহের প্রথম দুই দিনের প্রতিপাদ্য পৃথিবী ও প্রাণের প্রতি দায়িত্ব, অরণ্য, সমুদ্র, প্রাণবৈচিত্র্য, আদিবাসী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী, শিশু ও যুব, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকৃতিবান্ধব সমাধান।
পরের দুদিনের (১৯-২০ নভেম্বর) প্রতিপাদ্য খাদ্যব্যবস্থা, কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তা, মৎস্য খাত, পারিবারিক কৃষি, নারী, জেন্ডার, আফ্রিকান বংশোদ্ভূত, পর্যটন ইত্যাদি। হয়তো বরাবরের মতোই বিশ্বনেতাদের মিথ্যা আশ্বাস, অঙ্গীকার ভঙ্গ, বানোয়াট সমাধান আর বিরক্তিকর কালক্ষেপণের মধ্য দিয়েই ২১ নভেম্বর শেষ হবে বেলেম জলবায়ু সম্মেলন।
সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহে আমাজনের আদিবাসীদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। নদী আর সড়কপথে, অনেকে শিশু ও পরিবারসহ এসেছে। তাদের গলায় ইউএনএফসিসির নিবন্ধন কার্ড ছিল না। ব্লু জোনের সম্মেলনস্থলে তাদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। প্রথম সপ্তাহটি এর প্রতিবাদে মুখর ছিল। ‘জলবায়ু সংকট সমাধানের উত্তর আমাদের কাছে আছে’ স্লোগান নিয়ে এলডেইয়া কপ থেকে লুমাস ভেলেন্টিনাস পর্যন্ত গতকাল ‘আদিবাসী বৈশ্বিক পদযাত্রায়’ সংহতি জানান হাজারো মানুষ।
জীবাশ্ম জ্বালানিকে বৈধতা দেওয়া ১ হাজার ৬০০ লবিস্ট (প্রভাব বিস্তারকারী) সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বায়ার ক্রপ সায়েন্স ও নেসলের মতো কৃষিবিষ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলো জলবায়ু সম্মেলনের স্পনসর (পৃষ্ঠপোষক) হিসেবে আছে। জলবায়ু সম্মেলন যেন প্রাণ ও প্রতিবেশ সংহারী এজেন্সিগুলোর কাছে জিম্মি। এই জিম্মিদশা কাছ থেকে জলবায়ু সম্মেলনকে মুক্ত রাখতে হবে। জলবায়ুকর্মীরা পৃথিবীর অস্তিত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধে সপ্তাহজুড়েই বিশ্বনেতাদের হুঁশিয়ার করেছেন।
জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু হয়নি।
সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহে কী হবে
জানালাবিহীন প্লাস্টিক মোড়ানো সম্মেলনস্থলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রথম সপ্তাহের ভেতরেও কার্বন দূষণকারী বৃহৎ দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, চীন, ভারত তাদের এনডিসি জমা দেয়নি।
ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, কলম্বিয়া এবং কেনিয়া জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসতে বৈশ্বিক রোডম্যাপের (পথনকশা) জন্য তাগিদ দেয় প্রথম সপ্তাহে। মূলত বাণিজ্য, অর্থায়ন, দেড় ডিগ্রি উষ্ণতা বিতর্ক এবং জলবায়ু অঙ্গীকারের স্বচ্ছতা নিয়ে পার হয়েছে প্রথম সপ্তাহ। ন্যায্য রূপান্তরের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, সমন্বয় এবং অংশগ্রহণ বাড়ানো নিয়ে আলাপ হয়েছে। বৈশ্বিক অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাষ্ট্রগুলোকে অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
জলবায়ু তহবিলের ক্ষেত্রে ‘বাকু টু বেলেম রোডম্যাপ’ এখনো দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য আলোচনার টেবিলে পড়ে থাকছে। ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘কোনো দয়া বা ঋণ নয়, অনুদান হিসেবে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ দাবি করে আসছে। জলবায়ু অর্থায়ন আমাদের অধিকার।’
রাষ্ট্রগুলোর অভিযোজন পরিকল্পনা, অভিযোজন তহবিল, বৈশ্বিক অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা, জেন্ডার, ক্ষয়ক্ষতি, পূর্ববর্তী অঙ্গীকার নিয়ে সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহটি সরব থাকবে। ক্রান্তীয় বর্ষারণ্য সুরক্ষায় ঘোষিত ‘ট্রপিক্যাল ফরেস্টস ফর এভার ফান্ড (টিএফএফএফ)’ নামে এক নতুন জলবায়ু তহবিলে ইতিমধ্যে ৫৩টি দেশ সই করেছে। ৫৫০ কোটি ডলারের টিএফএফএফ তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি সই ও তহবিল আদায় করা জরুরি।
টঙ্ক থেকে টুপিনাম্বা বিদ্রোহ
জলবায়ু সম্মেলনের সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের যখন আমাজন বন কাটা হয়, তখনই আদিবাসীরা প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে ১৫ নভেম্বর কথা হয় বেলেমের টুপিনাম্বা যুবনেতা জেনেসিস টুবুসার সঙ্গে। তিনি জানান, বন কাটায় রেনডেওয়া মুরুকুটা এলাকার টুপিনাম্বা আদিবাসীরা নতুন সংকটে পড়েছেন। বন্য প্রাণী এবং মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। অনেকে বসতি ছেড়ে শহরে বা বনের আরও ভেতরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মাইরি থেকে বেলেম
একটা প্যাভিলিয়ন থেকে ভিড় সামলে প্রেসকক্ষে আসি, এশিয়ান ইনডিজেনাস পিপলস প্যাক্টের বন্ধুরা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। জলবায়ুকর্মীদের সেই অনানুষ্ঠানিক আড্ডায় দুনিয়াজুড়ে গ্রামীণ নিম্নবর্গের ওপর ঔপনিবেশিকতা ও কর্তৃত্ববাদী জুলুমের গল্প। ১৫ নভেম্বরের সেই আড্ডায় জানতে পারি, বেলেম শহরের আগের নাম ‘মাইরি’। টুপিনাম্বা আদিবাসী ভাষায় এর মানে ‘জ্বলন্ত সূর্য বা গনগনে রোদ’।
১৬১৬ সালে ফ্রান্সিকো কালডেইরা কাসটেলো টুপিনাম্বাদের অঞ্চল মাইরি দখল করে পর্তুগিজ উপনিবেশ জারি করেন। শহরের নতুন নাম হয় বেলেম। ১৬১৭ থেকে ১৬১৯ টুপিনাম্বারা পর্তুগিজ উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। আড্ডায় বাংলাদেশের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে নীল, তেভাগা, ভানুবিল, নানকার, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিও তুলে ধরি। কর্মসূত্রে থাইল্যান্ড থেকে আসা সোহেল হাজং টঙ্ক বিদ্রোহের বিষয়টি যুক্ত করেন।
মাইরি বা বেলেম হলো আমাজন বনে প্রবেশপথ। গুয়ামা নদীর তীরে এই শহর। আমাজন ও টোকানটিসের ধারাও প্রবাহিত হয়েছে মাইরিতে এবং মিশেছে প্যারানা গুয়াকোতে। প্যারানা গুয়াকো নামটিও টুপিনাম্বাদের। এটিও এখন বদলে ‘ওয়াজারা বে’ হয়েছে। সব প্রবাহ গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে মিশেছে। আমাজন বড় নদী। আদিবাসীরা জানালেন, বহু নদী ও প্রবাহের জটিল গ্রন্থি নিয়ে এই জলধারাটি প্রবাহিত। মানাউ বা আমাজোনাসে এর প্রবাহ আরও বহুমাত্রিক। অঞ্চল ও জাতিসত্তাভেদে এর বহু নাম। জলবায়ু সম্মেলনে উপলক্ষে ১৬ নভেম্বর এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ব্রাজিলের পরিবেশকর্মী ইয়েদা রিভেরা জানান, আমাজনের সব প্রবাহের রং ও স্রোতোধারা এক নয়। দুটি ধারার মিলনস্থলে নানা গতির ‘পোরোরোকা’ (ঢেউ) তৈরি হয়। আর এটি দেখেই বোঝা যায় নদী ও বন কতটা সুস্থ আছে। স্থানীয় নাম ও উচ্চারণগুলো বদলে দিলে বন বা নদীর সঙ্গে সম্পর্ককে অস্বীকার করা হয়।
জল, জঙ্গল, জুম, জমিন থেকে জনপদ। জবরদস্তি ও জুলুমের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশেও পাল্টেছে বহু স্থান নাম ও পরিসর। এটি কেবল সাংস্কৃতিক হেজিমনি নয়, প্রকৃতির ওপরও নিষ্ঠুর ‘অপরায়ণ’। তাজিংডং পাহাড় থেকে বিজয়, সিমসাং নদী থেকে সোমেশ্বরী, মৈলপতুইসা থেকে লাউয়াছড়া বন।
বলিভিয়ার লাপাজ পর্বতের জলবায়ুকর্মী শার্লট পাভাগেয়্যু প্রথম সপ্তাহের এক অধিবেশনে বলেন, বাণিজ্যিক চাষাবাদ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং বহুজাতিক খননের কারণে এলাকার আগের নাম গুলি পাল্টে ফেলা হয়। একই সঙ্গে তাদের বাস্তুতন্ত্রও বদলানো হয়। প্রাচীন নাম গুলি না থাকলে সেই সব পরিবেশের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার কোনো দায়িত্ববোধও তৈরি হয় না।
প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন অনেকেই। গতকাল ব্রাজিলের বেলেম শহরে