কারও চোখে সুন্দর, কারও পছন্দ হয়নি, পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে নানা কথা
Published: 18th, November 2025 GMT
‘পোশাকটা অনেক সুন্দর লাগছে। আগে পুলিশকে দেখলেই মানুষের ভেতর যে ভয় ভয় জিনিসটা কাজ করত, সেটা কিছুটা হলেও কমবে।’
‘নতুন পোশাকে নেমেছে পুলিশ’ শিরোনামে গত শনিবার প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর পাঠকের করা ২৮টি মন্তব্যের একটি এটি। পাঠকেরা পুলিশের পোশাক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে আলোচনা। কেউ কেউ পোশাকটিকে সুন্দর বলছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন রংটা পছন্দ হয়নি, পুলিশের মনোবল দুর্বল করতেই এই পোশাক। কেউ কেউ বলছেন, পোশাক পরিবর্তন অর্থের অপচয়। আবার কারও কারও মন্তব্য, পোশাক বদলিয়ে কিছু হবে না। বদলাতে হবে পুলিশকে, যাতে তাঁরা জনগণের বন্ধু হন।
নতুন পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন শুরু করে গত শনিবার। ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) সব মহানগর পুলিশ এবং বিশেষায়িত ইউনিটে নতুন পোশাক পরে এরই মধ্যে দায়িত্ব পালন শুরু হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে পুলিশের সব ইউনিটে পৌঁছে যাবে নতুন পোশাক।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গুলি করে মানুষ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা মামলার আসামি হয়েছেন। তখনকার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন এখন কারাগারে। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলার রায়ে তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও হয়েছে।
আগে জেলা পুলিশ ও মহানগর পুলিশের পোশাক ছিল আলাদা। গাঢ় নীল রঙের পোশাক পরত জেলা পুলিশ। মহানগর পুলিশ পরত সবুজ রঙের পোশাক। এখন সবাই পরবে ‘আয়রন গ্রে’ রঙের পোশাক।অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এসে পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। গত জানুয়ারিতে এই তিন বাহিনীর জন্য নতুন পোশাক ঠিক করা হয়েছিল। তখন সমালোচনা হলে র্যাব ও আনসারের পোশাকে আর পরিবর্তন আনা হয়নি।
আরও পড়ুনপুলিশের নতুন লোগোতে বাদ পড়ছে নৌকা, থাকছে শাপলা, ধান ও গমের শীষ১১ এপ্রিল ২০২৫জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর ও মহানগর পুলিশের পোশাক আলাদা হয়। পুলিশের কিছু কিছু ইউনিটেও পোশাকে ভিন্নতা থাকে। রেঞ্জের অধীন জেলা পুলিশ এত দিন গাঢ় নীল রঙের পোশাক পরত। আর মহানগর পুলিশ পরত সবুজ রঙের পোশাক। এখন ‘আয়রন গ্রে’ রঙের পোশাক পরবেন জেলা ও মহানগরে কর্মরত সব পুলিশ সদস্য।
পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশও নতুন পোশাক পরবে। এপিবিএন ও এসপিবিএনের পোশাক আগেরটাই থাকবে। সূত্র জানিয়েছে, সব মহানগর ইউনিটে পোশাক দেওয়া হয়েছে। জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ পর্যায়ক্রমে নতুন এই পোশাক পাবে।
আরও পড়ুননতুন পোশাকে নেমেছে পুলিশ১৫ নভেম্বর ২০২৫পোশাক নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মনোভাব কী
বদলে যাওয়া পোশাক নিয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেক পুলিশ সদস্যও পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরাও পোশাকের রং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলছেন, এই রঙের পোশাক দেখতে ভালো লাগছে না। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল (ব্যঙ্গ) হওয়ায় তাঁরা অস্বস্তি বোধ করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি করছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। গত ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য রঙ র প শ ক নত ন প শ ক র প শ ক পর ইউন ট বলছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পঁয়ত্রিশে থেমে গেল গায়কের জীবন
ওড়িশার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হিউম্যান সাগর মারা গেছেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ওড়িশার এআইআইএমএস ভুবনেশ্বর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। খবর এনডিটিভির।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন হিউম্যান সাগর। তার দীর্ঘস্থায়ী লিভার ফেইলিউর, ডাইলেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথি, ভেন্ট্রিকুলার সিস্টোলিক ডিসফাংশন, মাল্টিপল অরগান ডিসফাংশন, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাসহ নানা রোগ শনাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দক্ষ সবরকম আধুনিক চিকিৎসা দেওয়ার পরও সাড়া পাননি। ১৭ নভেম্বর রাত ৯টা ৮ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জয়ার ‘কমফোর্ট জোন’ আবির
জাস্টিন ট্রুডো-কেটি পেরির প্রেম: প্রাক্তন স্ত্রীর আবেগঘন বক্তব্য
গায়কের মৃত্যুতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি শোক প্রকাশ করে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লেখেন, “বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক হিউম্যান সাগরের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার মৃত্যু আমাদের সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তার আত্মার শান্তির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।”
১৯৯০ সালের ২৫ নভেম্বর বোলানঙ্গির জেলার তিতিলাগড়ে জন্মগ্রহণ করেন হিউম্যান সাগর। বাবা ও দাদার কাছে সংগীতের হাতেখড়ি তার। সংগীতময় পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে ছোটবেলায়ই সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হন।
২০১২ সালে তরঙ্গ টিভির ‘ভয়েস অব ওড়িশা সিজন–টু’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে রাজ্যব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন হিউম্যান সাগর। ২০১৫ সালে ‘ইশক তু হি তু’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমাটি মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলে আর রাতারাতি তারকা বনে যান এই গায়ক।
ঢাকা/শান্ত