ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের গাজীপুর মাঝের চর এলাকায় এক খামারির মহিষের খামারে হামলা, মারধর ও ১২টি মহিষ লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খামারি মো. ফারুক (৪৫) ভোলা সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৬ নভেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে অভিযুক্ত মো. রফিক, মো. মঞ্জুর আলম, নিজাম, মাইন উদ্দিন, মো.

আবুল কালাম, মো. সবুজসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জন দলবদ্ধভাবে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে খামারে ঢোকেন। তাঁরা খামার থেকে জোর করে ১২টি মহিষ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে খামারের তত্ত্বাবধায়ক মো. মনির বাধা দেন।

এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মনিরকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। তাঁর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত সরে যান এবং খামারের ১০টি দুই বছর বয়সী বাছুর ও দুটি বড় মহিষসহ মোট ১২টি মহিষ নিয়ে চলে যান। বাদীর দাবি, এসব মহিষের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা।

ঘটনার পর আহত মনির বিষয়টি ফোনে খামারের মালিককে জানালে তিনি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কোনো সালিশ-বিচার না মানায় বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মো. ফারুক বলেন, ‘বিবাদীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও মহিষ ডাকাত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা অস্ত্র দেখিয়ে মানুষের খামার ও গবাদিপশু লুট করে আসছেন। আমার খামারের ১২টি মহিষ জোর করে নিয়ে গেছেন।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইব্রাহীম বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রযোজক কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন: পায়েল

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল সরকার। ২০০৪ সালে ‘শুধু তুমি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। গত দুই যুগের বেশি সময়ে টলিউডের প্রথম সারির প্রায় সব অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হয়েছেন। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙেছেন বহুবার। 

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রতিকূলত পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও পায়েলকে যেতে হয়েছে। এ অভিনেত্রী জানালেন, এক প্রযোজক তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘স্ট্রেট আপ উইথ শ্রী’ শিরোনামের পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন পায়েল। 

আরো পড়ুন:

জয়ার ‘কমফোর্ট জোন’ আবির

‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে’

পায়েল সরকার বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রযোজক আমার কাছে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা দাবি করেছিলেন।” এ কথা শুনেই সঞ্চালিকা পাল্টা প্রশ্ন করেন, “সেক্সুয়ায়ল সুবিধা?” রাখঢাক না রেখে পায়েল বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই সেটা।” 

এরপর পায়েল বলেন, “উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে খারাপ কথা লিখেছিলেন। আমার ছবিতে ক্রস দিয়ে ভুলভাল লিখছিলেন, বেসিক্যালি পুরো সাইকো হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আমি কামব্যাক করলাম। এরপর ‘প্রেম আমার’, ‘লে ছক্কা’ সিনেমায় অভিনয় করি। মনে আছে, এক বছরের ব্যবধানে দুটো সিনেমার শুটিং করেছিলাম।” 

সমাজে এখনো মেয়েদের ‘না’ বলাটাকে সম্মান করতে পারে না পুরুষ। এ তথ্য স্মরণ করে আক্ষেপের স্বরে পায়েল বলেন, “একজন নারী কোথাও গিয়ে ‘না’ বলেছে, মানে সে কোথাও গিয়ে স্ট্যান্ড নিচ্ছে। আমাদের এখানে মেয়েদের ‘না’ বলাটাকে (রিফিউসাল) পুরুষরা ইগোতে নিয়ে নেয়, সেটা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের লোক হোক বা বাইরের।” 

এক সময় নায়িকা পায়েলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চা কম হয়নি। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিনেমার পর সেই সম্পর্কের যবনিকাপাত হয়। এরপর গঙ্গায় অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রেমের পাট চুকিয়ে শুভশ্রীর সঙ্গে সংসার পেতেছেন রাজ। এদিকে, চল্লিশের গণ্ডি পেরিয়েও সিঙ্গেল পায়েল। এ নায়িকাকে শেষবার দেখা যায় ‘নজরবন্দী’ সিনেমায়।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ