গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবের অনুমোদনকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বললেন ট্রাম্প
Published: 18th, November 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়ে ওয়াশিংটনের খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এতে উচ্ছ্বসিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে বিশ্ববাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গতকাল সোমবার ভোটাভুটি হয়। এতে ট্রাম্প-সমর্থিত খসড়া প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এ প্রস্তাবে গাজা উপত্যকার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স বা আইএসএফ) গঠনের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
এরপরই নিজের ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প একে ‘অভাবনীয় ভোট’ বলে মন্তব্য করেন। পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘কিছুক্ষণ আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভাবনীয় একটি ভোট হওয়ায় বিশ্ববাসীকে অভিনন্দন। এই ভোটের মাধ্যমে “বোর্ড অব পিস”কে স্বীকৃতি ও সমর্থন জানানো হয়েছে। এর (বোর্ড অব পিস) চেয়ারম্যান হব আমি নিজেই। সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও মর্যাদাবান নেতারাও যুক্ত হবেন।’
জাতিসংঘের ইতিহাসে এটি ‘সবচেয়ে বড় অনুমোদনের একটি’ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে এটি শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন পথ দেখাবে—এটি এক সত্যিকারের ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
ট্রাম্প জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশ চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, আলজেরিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস, গায়ানা, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, পানামা, সিয়েরা লিয়ন, স্লোভেনিয়া ও সোমালিয়ার নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুনগাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে২ ঘণ্টা আগেনিরাপত্তা পরিষদের সদস্য না হয়েও খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে জোরালো সমর্থন জানানোয় কাতার, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও জর্ডানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘বোর্ড সদস্যদের নাম এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে।’
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর করতে গত মাসে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ ধাপে দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ স্থায়ীভাবে অবসানের লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।
এখন গাজায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনকে বৈধতা দেওয়া এবং যেসব দেশ সেখানে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে, তাদের আশ্বস্ত করতে নিরাপত্তা পরিষদের এ প্রস্তাব গ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনগাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত, গঠন করা হবে আন্তর্জাতিক বাহিনী৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিমুল বিশ্বাসেই আস্থা বিএনপির, জামায়াতে ‘বিভাজন’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। পিছিয়ে নেই উত্তরের প্রাচীন জেলা পাবনা। এই জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন পাবনা-৫। এটি সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
বিএনপি থেকে দলের চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এবং জামায়াত থেকে জেলা কমিটির নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা ইকবাল হুসাইনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বুধবার বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ
জামায়াতে যোগ দিলেন ঝালকাঠি বিএনপির ২০ নেতাকর্মী
শিমুল বিশ্বাস কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় শুরু থেকেই তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি দেখছেন কর্মী-সমর্থকসহ অনেকেই। কারণ, বিগত সময়গুলোতে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ট্রাস্টের মাধ্যমে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে সহায়তা এবং জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড করায় এ আসনে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফলে, এ আসনে তার বিজয় নিয়ে আশাবাদী কর্মী-সমর্থকরা।
অন্যদিকে, সদর আসনে জামায়াতের আলাদা ভোট ব্যাংক আছে। ফলে, বিএনপি ও জামায়াতের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা জামায়াত সমর্থকদের।
তবে, সম্প্রতি এ আসনে জামায়াতে কিছুটা বিভাজন দেখা যাচ্ছে। যদিও দলের পক্ষ থেকে তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জামায়াত সমর্থকরা।
২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। সাবেক এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স টানা এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে ২০০১ ও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আব্দুস সোবহান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল ছাড়া এ আসনে বিএনপির কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে ২০০০ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে মাজহার আলী কাদেরী নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে একবার এবং বিএনপির হয়ে দুই বার এ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পাবনা-৫ আসনে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আগে থেকেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কাছাকাছি অবস্থানে থাকে। তবে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতা পলাতক এবং কয়েকজন কারাগারে। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে বলেও মনে করছেন অনেকেই। তাছাড়া নেতারা পলাতক ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় দেশজুড়েই আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। ফলে, আপাতত নির্বাচনী সমীকরণের বাইরে এ দলটি। ফলে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যেই হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
পাবনা-৫ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের যেমন প্রস্তুতি থাকে, একইরকম প্রস্তুতি আমাদেরও আছে। বিজয় নিয়ে আমরা আশাবাদী। আশা করছি, মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচার, জুলুম নির্যাতনকে মনে রেখে ধানের শীষে ভোট দেবে। কারণ, ধানের শীষই হলো মাটি-মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
এ আসনে জামায়াতের ব্যাপক কর্মী-সমর্থক থাকায় সম্ভাবনায় পিছিয়ে নেই দলটির মনোনীত প্রার্থী প্রিন্সিপাল মাওলানা ইকবাল হুসাইন। দলের বাইরে তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও আছে। প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আব্দুস সোবহানের পর এ আসনে প্রিন্সিপাল ইকবাল হুসাইনকেই বার বার মনোনয়ন দিয়েছে জামায়াত।
তবে, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দলীয় নীতির বাইরে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র হত্যা মামলার আসামিদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ এনেছেন দলটির নেতাকর্মীদের একাংশ। এসব অভিযোগ এনে সদর উপজেলার পুষ্পপাড়া বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
মাওলানা ইকবাল হুসাইন জামায়াতের মনোনয়ন পাওয়ার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন, জানিয়ে তার মনোনয়ন বাতিল করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য মাওলানা আব্দুর রহিমকে মনোনীত করার দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।
তবে, এ মানববন্ধন বা বিক্ষোভের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক বার্তায় নিশ্চিত করেছেন মাওলানা আব্দুর রহিম। অন্যদিকে, ইকবাল হুসাইন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
মাওলানা ইকবাল হুসাইন বলেছেন, পাবনা সদর জামায়াতের আসন। এটি সবাই জানে। এখানকার মানুষ জামায়াতকে দারুণভাবে লালন ও ধারণ করে। ২০ বছর ধরে আমি এই আসনের মানুষের সঙ্গে কাজ করছি। শুধু নির্বাচনের সময় নয়, সারাবছরই জনগণের সঙ্গে থেকেছি, বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষ এখন তার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি অনেক আগেই আমরা সম্পন্ন করেছি। তবে, দলের সাথে একমত পোষণ করে বলতে চাই, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবারও যদি মানুষ ভোট দিতে না পারে, তাহলে নির্বাচন দিয়ে কী লাভ হবে?
অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, যে মানববন্ধনের কথা বলছেন, সেখানে আমাদের দলের কেউ যায়নি। যাকে প্রার্থী করার কথা বলা হয়েছিল, তিনি নিজেও এরকম কখনো চাননি। একটি মহল ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। দু’-একজন কখনো আমার পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করলে আমাকে জানানোর সাথে সাথে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশাসনকে আইন প্রয়োগ করতে বলেছি। অর্থাৎ চাঁদাবাজি বা অন্যান্য অভিযোগ মিথ্যা।
তবে, এবার জামায়াতের দলীয় মনোনয়নের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আব্দুস সোবহানের ছেলে নেছার আহমেদ নান্নু। তারও আলাদা পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা আছে। ফলে, জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ইকবালকে বিজয়ী হতে হলে বিএনপির প্রার্থীর পাশাপাশি ও সোবহান পুত্র হবেন বড় বাধা। সে হিসেবে সব দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন বিএনপির প্রার্থী শিমুল বিশ্বাস।
জুলাই অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা নেতৃত্বদের নিয়ে গঠিত তরুণদের নতুন দল এনসিপির কোনো কমিটি নেই পাবনা জেলায়। ফলে, এ আসনে তাদের হয়ে এখনো কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। এর বাইরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের কিছু কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টি অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় থাকায় এখনো নির্বাচনকেন্দ্রিক তাদের কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। ফলে, তাদের প্রার্থিতা নিয়েও রয়েছে অস্পষ্টতা।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পাবনার দু’-একটি জায়গায় গণঅধিকার পরিষদের কিছুটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা গেলেও সদর আসনে সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনেরও বেশ কর্মী-সমর্থক আছে। এ আসনে এ দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন এ এস এম আরিফ বিল্লাহ।
সরেজমিনে নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এ আসনে চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনসহ নানান অপরাধ লাঘবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারে রেখেছেন ভোটাররা।
তাদের দাবি, পাবনা প্রাচীন জেলা হলেও জেলা শহরে নেই তেমন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। ফলে, এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন লাগেনি। রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশায় জনগণ নাজেহাল। অপরাধ লাঘবের পাশাপাশি এসব সমস্যা ও সংকট নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ প্রার্থীকেই ভোট দিতে চান তারা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পাবনার সবচেয়ে বড় উপজেলা পাবনা সদর নিয়ে পাবনা-৫ আসন গঠিত। দুজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ নারী-পুরুষ মিলিয়ে এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ২০ হাজার। তালিকা এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় এ সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।
ঢাকা/রফিক