২৫টি আলাদা আলাদা ভাষায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার গান গেয়েছেন তিনি। তার সুরে মাত হয়েছে কোটি কোটি শ্রোতা। গানে গানে শ্রোতাদের মনে প্রেম ও বিরহ জাগিয়ে তুলেছেন মেলোডি শিল্পী অলকা ইয়াগনিক। তার গাওয়া অধিকাংশ গানই হিট। বোলে চুড়িয়া, টিপ টিপ বরসা পানি, এবং আগার তুম সাথ হো-এর মতো  অসংখ্য হিট গানের শিল্পী অলকা ইয়াগনিক। ক্যারিয়ারে পাওয়া এই সাফল্যের কারণেই নাকি সংসারটা হলো না তার।

১৯৮৯ সালে ব্যবসায়ী নীরাজ কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন অলকা। পারিবারিক সূত্রেই নীরজের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তার। অলকা বলেছেন, “আমার স্বামী নীরাজ একজন ব্যবসায়ী। শিলং-এ ওর একটা বাড়ি ছিল। আমাদের পারিবারিক যোগাযোগ ছিল। নীরাজের মাসি আমার মায়ের সহপাঠী ছিলেন। নীরাজের বাড়িতেই আমাদের প্রথম দেখা। তার পরে আমাদের প্রেম শুরু।”

সে সময় অলকা থাকতেই মুম্বাইয়ে। অন্য দিকে নীরাজ শিলং-এর বাসিন্দা। ভৌগোলিক দূরত্ব বিয়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে তারপরেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। দুই মাস প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়। এই যুগল ঠিক করেছিলেন কিছু দিন শিলং-এ থাকবেন, আবার কিছু দিন মুম্বাইয়ে থাকবেন। কিন্তু অলকা যখন ব্যাপক পরিচিতি পেতে শুরু করে তখন শুরু হয় ঝামেলা। 

আরো পড়ুন:

আমার নাকি মন খারাপ শাকিব খানের জন্য: মিষ্টি জান্নাত

প্রচারবিমুখ প্রেমিক পেয়েছেন উরফি

অলকা বলেন, ‘‘আমার কাজ খুব ভালো ভাবে চলতে থাকে। তাই মুম্বাই ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়া আমার জন্য অসম্ভব হয়ে ওঠে। ফরে দুইজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ’’
অলকা জানিয়েছেন, তিনি সংসারে মন দিতে পারছিলেন না। দুইজন আলাদা-আলাদা থাকতে হয়েছে। তবে নীরাজ তাকে ছেড়ে যাননি। সম্পর্ক টিকে আছে। কিন্তু গানে মন দিতে সংসারটা আর ঠিক মতো হয়ে ওঠেনি অলকার।

অলকা বলেন, ‘‘আমার স্বামী একটা কথা বলে, তুমি গানের জন্য শুভ, আমার জন্য নও।’’

এই যে সংসারটা ঠিক মতো হলো না, এই নিয়ে আক্ষেপ রয়ে গেছে অলকার।  

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে গ্যারেজে থাকা বাসে আগুন দিল সন্ত্রাসীরা

লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইটেরপোল এলাকার একটি গ্যারেজে মেরামতের জন্য রাখা নিপু পরিবহনের বাসে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্যারেজ মালিক দিদারসহ তিনজনকে আটক করেছে। 

গাড়ির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, “কয়েকদিন ধরে দিদারের গ্যারেজে মেরামত কাজ চলছিল বাসটির। আজ ভোরে কে বা কারা আমার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৯৫ শতাংশ মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনে ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।” 

আরো পড়ুন:

ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০

নেত্রকোণায় চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই

তিনি বলেন, “এই বাসটি ছিল আমার একমাত্র আয়ের অবলম্বন। বাস চালিয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলতাম। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। এখন পথে বসার উপক্রম। আমি ন্যায়বিচার চাই। যারা আমার সর্বনাশ করেছে, তাদের শাস্তি দাবি করছি। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা করছি।”

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, “বাসে আগুন দেওয়ার পেছনে কারা জড়িত এবং এটি পরিকল্পিত নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া গাড়িটি পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা উৎঘাটন ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ