আল্লাহর আইন ছাড়া এই সমাজ পরিবর্তন করা যাবে না : মাও. জব্বার
Published: 19th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি প্রার্থী ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বলেছেন, আল্লাহর আইন ছাড়া এই সমাজ পরিবর্তন করা যাবে না।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন দিয়ে এই সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য এই সমাজকে নতুনভাবে বিনির্মান করার জন্য আগামীর যে শতাব্দী হবে,সেটা হবে ইসলামীক সমাজ ব্যাবস্থার শতাব্দী।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ফতুল্লার শহীদ তিতুমীর স্কুলে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষের নেতা না হয়ে মানুষের খাদেম হিসাবে কাজ করবো। আমরা আখের গোছানোর জন্য নেতৃত্ব দিবো না,মানুষের খেদমত করার জন্য নেতৃত্ব দিবো। আল্লাহর রসূল যেভাবে কাজ করেছেন, সেভাবেই কাজ করবো।
আল্লাহর রাসূলের যেখানে অধিকার খর্ব করা হয়েছে, সেখানেই প্রতিরোধ তৈরী করেছেন। ঠিক রাসূলের দেখানো পথে আমরা চলবো, ইনশাআল্লাহ।
এছাড়া যুব সমাবেশ শেষে গণসংযোগ করে শহীদ তিতুমীর স্কুল থেকে হাজীগঞ্জ রেললাইন এসে শেষ হয়।
উক্ত গণসংযোগে বক্তৃতায় তিনি বলেন, আল্লাহর আইন, সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য আপনাদের সজাগ থেকে সৎ ও যোগ্য লোককে নির্বাচীত করতে হবে।তাহলেই আল্লাহ এবং রাসূলের পথে চলা সম্ভব হবে।
যুব সমাবেশ এবং গণসংযোগে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন এবং এইচ এম নাসির উদ্দিন, এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জাকির হোসাইন।
নারায়ণগঞ্জ উত্তর থানার আমীর আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে, সেক্রেটারি আব্দুর রহিম'র সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, আইলপাড়া পাঠানটুলি ওয়ার্ডের সভাপতি মুহাম্মদ সোহাগ, পানিরকল, এম সার্কাস ইউনিটির সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ১১ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোহাম্মদ খোকন প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম হ ম মদ আল ল হ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাটারিচালিত রিকশা (ইজিবাইক) চালকরা হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে ইজিবাইক চালকদের সাথে সংঘাতে জড়ালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ইজিবাইকচালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে রাখেন। তাদের অবরোধে পুরো শহরজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশ গেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষার্থী ও ইজিবাইক চালকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- মোঃ আবু সাঈদ (১৯), মারুফ (১৯), আসিফ (৩০), মাহিম (২২), ফয়সাল আহমেদ (২৮), হুমায়ন কবির (২৬), এনামুল হক শান্ত (২৩), শাহীন খন্দকার (২২) ও নুহেল মুন্সী আপন (২২)। তবে আহত ইজিবাইক চালকদের নাম পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা চাষাড়ায় ঢুকতে বাঁধা দেয় ইজিবাইক চালকদের। এ নিয়ে কথাকাটাকিাটি হয় উভয়ের মধ্যে এক পর্যায়ে ইজিবাইকরা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইজিবাইক চলকরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। পরে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সংঘর্ষের সময় ইজিবাইক চালকদের অনেকেই তাদের গাড়ির সিটের নিচ থেকে লাঠি ও লোহার রড বের করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
ধারণা করা হয়, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ইজিবাইক চালকরা যে শিক্ষার্থীদের উপর সুযোগ পেলেই হামলা করবে। কারণ গত এক দেড় মাস ধরেই চাষাড়ায় ইজিবাইক ঢুকতে বাধা দিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ জমতে থাকে ইজিবাইক চালকদের মধ্যে। আজকে তারা সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।
ওদিকে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা এক মাস ধরে শহরের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। চেম্বার অব কমার্স এবং বিকেএমই থেকে আমাদেরকে ট্রাফিক মনিটরিং সেলে দেওয়া হয়। আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বড় অটোরিকশাগুলো চাষাঢ়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চাষাঢ়ায় প্রবেশ করেন। পরে বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর ক্ষেপে যান। এবং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তবে উজ্জল নামে এক অটোরিকশাচালক জানায়, ‘আমাদের চাষাঢ়া যাওয়া নিষেধ। আমরা নিষেধ উপেক্ষা করে চাষাঢ়া গেছি, এটা আমাদের অপরাধ। কিন্তু তারা আমাদের অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। গ্লাস ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের অনেককে তারা মারধর করেছে। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভালো একটি সমাধানে আসা সম্ভব হয়েছে। আলোচনা সভায় দুই পক্ষই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত মানতে একমত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হবে।