সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে আয়োজনের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়েছে।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালুর খবরে শাকসু নির্বাচন নিয়ে অবস্থান জানিয়েছে ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১০ মাস ধরে দলীয় ব্যানারে কার্যক্রম চালাতে পারেনি তারা। তাই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুযোগ প্রয়োজন। এ জন্য প্রশাসনের কাছে ‘যৌক্তিক সময়’ দাবি করেছে ছাত্রদল।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন সামনে রেখে একাধিক শর্তে ছাত্ররাজনীতি চালুর সুপারিশ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত বছরের ৬ নভেম্বর থেকে দলীয় ব্যানারে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই ছাত্রসংগঠনগুলো দলীয় ব্যানারে রাজনীতি চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সীমিত আকারে দলীয় রাজনীতি চালুর সুপারিশ করে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে শাকসু নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ীই তারা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। তবে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন : দলীয় প্রভাবমুক্ত শিক্ষকদের নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবি শিক্ষার্থীদের১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে নিয়মিতই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ছাত্রদল। তারা বলছে, নির্বাচনের আগে অন্তত কিছুদিন কার্যক্রম চালানোর সুযোগ প্রয়োজন। ইতিমধ্যে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদলের ব্যানারে আমরা তেমন কোনো শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। এ জন্য আমরা উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি ছাত্রসংগঠনগুলো নিয়ে এক বৈঠকেও তা জানিয়েছি।’ সব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

সংগঠনের সভাপতি রাহাত জামান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের পর আমরা তেমন কার্যক্রম করতে পারিনি। শাকসুর নেতৃত্ব নির্বাচনের আগে অন্তত কিছু সময় প্রয়োজন। তবে নির্বাচন পিছিয়ে যাক, সেটা চাই না। কর্মসূচির জন্য যৌক্তিক সময় চাইছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রস র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সঠিক আইপিও মূল্যায়ন পদ্ধতি চায় বিএপিএলসি

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও কার্যকর করা, আইপিও প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দূর করা, ভালো কোম্পানির জন্য গ্রিন চ্যানেল ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ বা বিএপিএলসির নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করেন সংগঠনটির নেতারা। ডিএসইর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ডিএসইর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম। আর বিএপিএলসির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী। বৈঠকে বিএপিএলসির পক্ষ থেকে বলা হয়, শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া সমন্বিত ডিজিটাল রিপোর্টিং পদ্ধতির অভাব রয়েছে। আবার তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করের পার্থক্যও কম। ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে এসব বিষয় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। তাই বাজারের স্বার্থে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।

বৈঠকে বিএপিএলসির চেয়ারম্যান রুপালী হক চৌধুরী বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বাজারের স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিএসইর সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে। আমাদের দেশের পুঁজিবাজারকে অনেক বড় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনার চেয়ে সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বেশি আলোচনা করা জরুরি। নতুন নতুন আইডিয়া ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেখে যদি ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনা যায় তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার হবে।’

ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজারের উন্নত হয়নি। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবহেলা পুঁজিবাজারকে সংকুচিত করে রেখেছিল। সেখান থেকে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিসহ আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করারও চেষ্টা চলছে।’

বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকসু নির্বাচন: হলের লড়াইয়েও ছাত্রদল-শিবির
  • বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদের মেয়াদ, চাঁদাসহ নানা বিধান কোম্পানি আইনের সঙ্গে মিলছে না
  • সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উচ্চ ঝুঁকিতে ৫ জেলা: সম্প্রীতি যাত্রা
  • বিভক্তি ও আস্থার সংকটে জাকসুতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পরাজয়
  • সঠিক আইপিও মূল্যায়ন পদ্ধতি চায় বিএপিএলসি