পাবনা-১ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 21st, September 2025 GMT
পাবনা-১ আসন থেকে বেড়া উপজেলাকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বেড়া উপজেলার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেড়া উপজেলার কয়েকশত মানুষ ব্যানার ফেসটুন নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
কুমিল্লার ৪টি আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তন
এ সময় সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেন তারা। পরে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার আংশিক নিয়ে পাবনা-১ আসন ছিল। সম্প্রতি আসনটি ভেঙে ৩ লাখ ২৩ হাজার ভোটারের সাঁথিয়া উপজেলাকে আলাদা করে পাবনা-১ এবং বেড়া উপজেলাকে পার্শ্ববর্তী পাবনা-২ আসনে সুজানগর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। এ সিন্ধান্ত পুনঃবিবেচনার শান্তিপূর্ণ দাবিতে সাড়া না মেলায় আন্দোলনে নেমেছেন বেড়ার মানুষ। নতুন সংসদীয় সীমানার প্রজ্ঞাপন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকসেদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক মইনুল হক, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুদ্দিন খাজা, বেড়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নয়ন আলী প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীরা বেলা ১২টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন।
বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে বেড়া থেকে সাঁথিয়াকে আলাদা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এলাকার ভৌগোলিক বিষয়ে না দেখে, না বুঝে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বেড়া ও সাঁথিয়া ভাই ভাই। স্বাধীনতার পর থেকে সকল নির্বাচন একসঙ্গে হয়ে আসছে। সামাজিকতা, ব্যবসা, রাজনীতি সকল কিছু আমাদের একসঙ্গে। তবে আসন কেন বিন্যাস হবে, আলাদা হবে। আমরা এই অন্যায় আসন বিন্যাস মানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় আসন ঠিক না হবে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে “উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি গ্রেপ্তার করে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যকেও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবু ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।'
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে