সরাইলে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার, দুই ঘণ্টা পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনতাই
Published: 5th, November 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় গাজী বোরহান উদ্দিন (৪৮) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দুই ঘণ্টা পর ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার অরুয়াইল পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বোরহান উদ্দিন অরুয়াইল ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ধামাওড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি বোরহান উদ্দিনকে গতকাল বিকেল চারটার দিকে অরুয়াইল বাজার থেকে সরাইল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁকে রাখা হয় অরুয়াইল অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে। এরপর থেকে ফাঁড়ির সামনে বোরহানের পক্ষের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশা ভাড়া করে বোরহানকে নিয়ে উপজেলা সদর থানার দিকে রওনা হন। এ সময় বোরহান উদ্দিনের ছোট তিন ভাই সাবেক ইউপি সদস্য গাজী বাহার উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন ও রেহান উদ্দিনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বোরহান উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। তাঁকে আবারও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ন উদ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াতের আজকের এই ভেদাভেদের মূল কারণ হচ্ছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব: মজিবুর রহমান
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ১৫ বছর ধরে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জেল-জুলুম সহ্য করেছে, অসংখ্য কর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন, এমনকি অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন। অথচ আজ বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে বিভেদ ও ঘৃণার দেয়াল কেন? বিএনপি–জামায়াতের আজকের এই ভেদাভেদের মূল কারণ হচ্ছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। ক্ষমতাকে কেন্দ্র করেই তারা আজ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে।
সোমবার রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে ‘দক্ষ জনশক্তি, দেশ গঠনের মূল ভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এক কঠিন রাজনৈতিক সময় অতিক্রম করছি। বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে যে ক্ষমতার লড়াই চলছে, তা বন্ধ করে ঐক্যের পথে আসতে হবে। আগামী পাঁচ বছর বিএনপি ও জামায়াতকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংসদে ও সরকারে থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাই। হাসিনা যদি পালিয়ে না গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেন, তাহলে বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচনে অংশ নিত। এখন একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ না করে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে ফেরার সময় এসেছে।’
রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন রাজনৈতিক দলের ইশতেহার বিশ্বাস করে না। কারণ, আমরা প্রতিশ্রুতি দিই, কিন্তু তা রাখি না। এ জন্য আমাদের নেতাদের মধ্যে সততা, জবাবদিহি ও আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইডিইবির অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম।