বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাহী পরিষদের সভায় অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব দাবি জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

‘অভ্যুত্থানের পর আন্তরিকতার অভাবে পুলিশি সেবা বন্ধ ছিল’ 

ফ্লোটিলা নৌবহর থেকে ২০ সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল

বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, একেএম মোহসীন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ড.

সাদিকুল ইসলাম স্বপন, এহতেশামুল হক শাওন, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, দফতর সম্পাদক মো. আবু বকর, প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান সাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, কক্সবাজার, কুমিল্লা, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, ফেনী, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভায় এক প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও তা কার্যত হয়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে চলেছে। তাই বর্তমান সরকারকে দ্রুত নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সংবাদপত্র, অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিও ও মাল্টিমিডিয়ায় অভিন্ন ওয়েজ বোর্ড করারও দাবি করা হয়।

অন্য এক প্রস্তাবে বলা হয়, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে নানা ধরনের নিপীড়নমূলক আইন ‘স্থলমাইন’ হিসেবে কাজ করছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি আইন প্রযোজ্য, যা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধানের তথ্য অনুযায়ী ৩২টিরও বেশি। এই আইনের ফাঁদে পড়ে অনেকেই সেলফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ১ বছর পার হলেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কালো আইনগুলি বাতিল হয়নি, যা কঠোর সমালোচনার বিষয়। তাই এই সকল আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।

আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এতে চাকরি সুরক্ষার বিষয়টি পর্যাপ্তভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অধিকাংশ পত্রিকা নিয়মিত বেতন দেয় না, নিয়োগপত্র দেয় না, চাকরি স্থায়ী করার নিয়ম মানে না এবং ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন প্রদান করেনা ৯০ শতাংশ গণমাধ্যম। চাকরি চলে গেলে বকেয়া বেতনও পরিশোধ হয় না।

ঢাকার বাইরের অনেক সাংবাদিক বেতন পান না, আবার কিছু টিভি জেলা প্রতিনিধি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগও আছে। এসব দুর্নীতির কারণে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় শারীরিক ও যান্ত্রিক ক্ষতিপূরণের জন্য ক্ষতিপূরণ, দুর্ঘটনা বীমা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্টের জন্য আর্থিক বরাদ্দ এবং নারী সাংবাদিকদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও আলাদা রেস্টরুম/ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হবে।

সভায় সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ করা হয়, সরকারি ও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি থাকলেও সাংবাদিকদের এই সুবিধা নেই, যার ফলে তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ বাড়ছে।

এছাড়া সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালো আইন বাতিল, দুর্নীতিমুক্ত ডিএফপি গঠন এবং সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদানে স্বচ্ছতা আনার দাবিও তুলে ধরা হয়।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এমইউজে খুলনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় বিদায়ী কমিটির নেতারা নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। 

আরো পড়ুন:

ভুয়া তথ্য প্রচার ঠেকাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

এমইউজের সভাপতি রাশেদ, সম্পাদক রানা 

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। 

গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই দাবি করে তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের বিভেদ ও অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে আর কাউকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। বিগত ১৬ বছরের নির্যাতন ও জুলুমের শিকার সাংবাদিকদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ইউনিয়নকে গতিশীল করতে নবনির্বাচিতদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।” 

এমইউজে খুলনার বিদায়ী সভাপতি মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয়ের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল ও নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন। 

দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নবনির্বাচিত সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নূর, কোষাধ্যক্ষ মো. রকিবুল ইসলাম মতি, নির্বাহী সদস্য মো. এরশাদ আলী ও কে এম জিয়াউস সাদাত।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ