জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না: মামুনুল হক
Published: 4th, October 2025 GMT
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। যারা জুলাই সনদের আন্দোলনে নেই, তাদের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর জুলাই সনদের বাস্তবায়নের পথে যারা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে, তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার ঐক্যের সম্পর্ক আমাদের থাকতে পারে না।”
শনিবার (৪ অক্টোবর) পুরানা পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সরকার ষড়যন্ত্রের নতুন ফাঁদে পা দিচ্ছে, আশঙ্কা মামুনুল হকের
ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রক্ত দিতে হয়েছে ইসলামপন্থিদের
মামুনুল হক বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি হলো জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন। ইনশাআল্লাহ, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হবে—এমন প্রত্যাশাই করছি।”
তিনি বলেন, “জুলাই সনদ যদি অবিলম্বে বাস্তবায়ন না হয়, তবে তা কেবল একটি কাগজের দলিল হিসেবেই থেকে যাবে। ভবিষ্যতের কোনো সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে এমন ভরসা নেই। সুতরাং, জুলাই বিপ্লবকে সার্থক করতে হলে জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।”
তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঘোষিত জুলাই সনদের অবিলম্বে বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপনের জন্য কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলালের সভাপতিত্বে এবং প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ মজলিসে আলোচনায় অংশ নেন নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা কুরবান আলী কাসেমী, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুর মুহাম্মাদ আজীজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা আমজাদ হোসাইন, খন্দকার মাওলানা মঈনুল ইসলাম, মাওলানা আনোয়ার মাহমুদ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, মাওলানা মুর্শেদুল আলম সিদ্দীকি প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ মজলিস শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সর্বোচ্চ স্তরের জনশক্তি ‘নকীব’ হিসেবে বেশ কয়েকজনকে শপথ পাঠ করান আমিরে মজলিস মাওলানা মামুনুল হক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন জ ল ই সনদ র ম ম ন ল হক ইসল ম মজল স
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে গ্যারেজে থাকা বাসে আগুন দিল সন্ত্রাসীরা
লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইটেরপোল এলাকার একটি গ্যারেজে মেরামতের জন্য রাখা নিপু পরিবহনের বাসে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্যারেজ মালিক দিদারসহ তিনজনকে আটক করেছে।
গাড়ির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, “কয়েকদিন ধরে দিদারের গ্যারেজে মেরামত কাজ চলছিল বাসটির। আজ ভোরে কে বা কারা আমার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৯৫ শতাংশ মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনে ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।”
আরো পড়ুন:
ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
নেত্রকোণায় চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই
তিনি বলেন, “এই বাসটি ছিল আমার একমাত্র আয়ের অবলম্বন। বাস চালিয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলতাম। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। এখন পথে বসার উপক্রম। আমি ন্যায়বিচার চাই। যারা আমার সর্বনাশ করেছে, তাদের শাস্তি দাবি করছি। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা করছি।”
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, “বাসে আগুন দেওয়ার পেছনে কারা জড়িত এবং এটি পরিকল্পিত নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া গাড়িটি পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা উৎঘাটন ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ