শারদীয়া দূর্গাপূজার পর আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার এ দুইদিন অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীপূজা। প্রতি বছরের মত এ বছর কোঁজাগোড়ী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করবেন হিন্দু ধর্মবলম্বীরা।

তাই প্রতিমা বিক্রি করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট। এসব হাট থেকে প্রতিমাসহ পূজার অনুসঙ্গীক উপকরণ কিনে নিচ্ছেন ভক্তরা।

আরো পড়ুন:

ছুটি শেষে জাবি শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ফেরা নিশ্চিতে কন্ট্রোল রুম চালু

চার দিনের ছুটি শেষে সচিবালয়ে প্রাণচাঞ্চল্য

জেলার বিভিন্ন হাটে ঘুরে জানা গেছে, লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে জেলার হিন্দু ধর্মবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে মন্ডপ তৈরি করে লক্ষ্মী মুর্তি স্থাপন করা হবে। পরে আশ্বিন মাসের কোঁজাগোড়ী পূর্ণিমা তিথিতে ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মীপূজা করবেন হিন্দু ধর্মবলম্বীরা। ঢাক, ঢোল আর উলুধ্বনি মুখরিত হয়ে উঠবে প্রতিটি ঘর। আগামীকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা পযর্ন্ত চলবে শ্রী শ্রী লক্ষীপূজা।

এ পূজা উপলক্ষে শহরের খাটরা সার্বজনীন কালীবাড়িসহ সদর উপজেলার রুঘুনাথপুর, সাতপাড়, বৌলতলী, ভেন্নবাড়ি এবং কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি স্থানে বসেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট। একটি ছোট প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং বড় প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।

এসব হাটে শুধু প্রতিমাই নয়, পাওয়া যাচ্ছে পূজার অন্যান্য উপকরণও। সোলার ফুল, নৌকা, কলাগাছ, মালা, নলডুগলি লতা, হলুদগাছ, পদ্ম ফুলসহ বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি হচ্ছে এ হাটে। তবে উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিমা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ তেমন একটা না হলেও বাপ-দাদার পেশা টিকিয়ে রাখছেন বলে জানান প্রতিমা বিক্রেতারা।

জেলা শহরের বাসিন্দা অমিতোষ ঘোষ বলেন, “এ বছর বাড়িতে লক্ষ্মীপূজা করব। তাই খাটরা সার্বজনীন কালীবাড়ি বসে হাটে লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে এসেছি। পছন্দমত প্রতিমাও কিনেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্মী প্রতিমার দাম অনেক বেশি। তারপরে মায়ের কৃপা পেতে পূজা করব।”

ক্রেতা কৃষ্ণ সাহা বলেন, “এ বছর লক্ষ্মীপূজা সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিন অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রতিমা কিনতে এখানে এসেছি। তবে ঘুরে দেখলাম প্রতিমার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। যে প্রতিমার দাম ১০০ টাকার করে, তা এবার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারপরেও পছন্দ হলে প্রতিমা কিনে নিয়ে যাব।”

খাটরা সার্বজনীন কালীবাড়িতে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা রমেশ পাল বলেন, “লক্ষ্মীপূজা এ বছর দুইদিন অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য ১ হাজার প্রতিমা নিয়ে হাটে এসেছি। ক্রেতারাও হাটে আসছেন, বিক্রিও ভালো। তবে প্রতিমা তৈরির মাটি থেকে শুরু করে রং ও অন্যন্য উপকরণের দাম বেশি। তাই প্রতিমার দাম একটু বেড়েছে। ক্রেতা বেশি হলে প্রতিমা বিক্রি করে লাভ করতে পারব।”

অপর বিক্রেতা সুনীল পাল বলেন, “আমরা এখন আর আগের মত লাভ করতে পারি না। যা লাভ হয়, তাই দিয়ে কোনো রকমে দিন চালিয়ে নেই। তারপরেও বাপ-দাদার পেশা ছাড়তে পারি না। এ পেশা টিকিয়ে রাখছি।”

বিক্রেতা সুমন বিশ্বাস বলেন, “এসব হাটে শুধু প্রতিমাই নয়, পাওয়া যাচ্ছে পূজার অন্যান্য উপকরণও। সোলার ফুল, নৌকা, কলাগাছ, মালা, নলডুগলি লতা, হলুদগাছ, পদ্ম ফুলসহ বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি হচ্ছে। কলাগাছ ৫০ টাকা, একটি নৌকা ৫০ টাকা সোলার মালা ১৫০, নলডুগলি লতা ১০ থেকে ২০ টাকা, হলুদগাছ ২০ টাকা, পদ্ম ফুল ১০ দরে বিক্রি করা হচ্ছে।”

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর লক ষ ম প জ এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান

ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে শাহ ফাতেউল্লাহ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি  মো. মোরশেদ সারোয়ার সোহেল।   

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র পরিচালক আহমদুর রহমান তনু।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মোরশেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, সাংবাদিকতার পেশাগত মানোন্নয়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে রিপোর্টার্স ক্লাবের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সমস্যাগুলো তুলে ধরে ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, আমি আশা করি ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করবে এবং সমাজ থেকে অসঙ্গতিগুলো দূর করতে সচেষ্ট হবে।  

মো. এ এইচ আশু ও আনোয়ার হোসেন সজিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সেলিম, ইউনাইটেড ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন তাপু, এ বি এফ নীটওয়্যার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আক্তারুল কবির সজল, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আবু ইসহাক, মাসদাইর প্রগতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, আলীগঞ্জ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাজী নুরুল ইসলাম মেম্বার, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান উম্মে তাহেরা আখিঁ, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার কাজী মঈনুদ্দিন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম লিটন। 

অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সেলিম মুন্সি, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ, দাপা আদর্শ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপূর্ব কুমার সাহা, দৈনিক যুগান্তরের ফতুল্লা প্রতিনিধি আল-আমীন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক মো. সোহেল আহম্মদ, চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য তালুকদার আবদুল্লাহ আল-ফারুক রিংকু, দৃঢ় বন্ধনের পঙ্কজ দাস, মাউন্ট ভিউ স্কুলের পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, সমাজকর্মী খালেদ মোশারফ, সাংবাদিক কামাল হোসেন, জাহাঙ্গির হোসেন, ফাহমিদা এ্যমি, জুয়েল, মোখলেসুর রহমান তোতা, আব্দুল গাফফার লিটন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৫ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।        

ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মাননা হিসেবে তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

এসময় ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এ শামীম ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মৃত মো. শাহীন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যের হাতে সম্মাননা স্বারক তুলে দেওয়া হয়। 

ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল হক পলাশ, সহ-সভাপতি মো. আশরাফুল হক আশু, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সজীব, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সরকার, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন মৃধা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. জুয়েল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য রণজিৎ মোদক, সদস্য আজমীর ইসলাম, আমির হোসেন মোল্লা, সেলিম হোসেন। 

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে ফতুল্লা থানাধীন ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।''
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছুটি শেষে খুলেছে পুঁজিবাজার
  • বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ
  • ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান
  • খুবিতে পূজার ছুটি বাড়ানোর দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
  • উপহার আদান-প্রদানের বিধিবিধান