রিচি বেনো-টনি গ্রেগ: ক্রিকেটের দুই কণ্ঠহার
Published: 6th, October 2025 GMT
ডিশ–সংযোগ তখনো শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ। দেশের মানুষের বড় একটা অংশের দুয়ারে সম্ভবত সপ্তাহান্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে যেত বিটিভি। বিবিসির টেস্ট ম্যাচ ক্ল্যাসিকস, ওয়ার্ল্ড সিরিজের বিভিন্ন অংশ প্রচার করা হতো। সপ্তাহের কোন দিনে, কখন (সম্ভবত বিকালে), এত বছর পর তা আর মনে নেই। তবে স্যুট পরা সাদা চুলের এক ভদ্রলোকের কথা মনে আছে।
তিনি আশির দশকের শেষ ভাগ ও নব্বইয়ের প্রজন্মে অনেকের শৈশবে ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা। পল্লিগ্রামের গেরস্তঘরে সাদাকালো টিভিতে তাঁকে দেখে মুখ কুঁচকাতেন একটু বড়রা। তাঁরা জানতেন, বাসার বাচ্চাকাচ্চারা লোকটিকে দেখলেই বুঝে ফেলবে অনুষ্ঠানটি ক্রিকেট নিয়ে, আর তখন পড়াশোনা লাটে উঠবে!
সবার অবশ্য এমন হতো না; বিশেষ করে যে মুখগুলো একটু কচি। কি শহর, কি গ্রামে—বাড়িতে ফেরিওয়ালা দেখে উৎফুল্ল কিশোরীর মতো সেই মুখগুলোও বিস্তৃত হতো। সেই প্রজন্ম এবং আরও কয়েক প্রজন্মের কাছে তিনি ছিলেন ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর। সময় গড়িয়ে সবাই বড় হয়ে ওঠার পথে জানল, লোকটির নাম রিচি বেনো। তত দিনে ক্রিকেটের এই ফেরিওয়ালাকে দেখতে শুধু একটি চ্যানেলের ওপর নির্ভরতা আর নেই।
সপ্তাহান্তে সাদাকালো টিভিতে বেনোর উপস্থিতিকে মেঠো পথে ধূলি মাড়িয়ে বাড়িতে আসা ফেরিওয়ালার মতো মনে হওয়ার দিন শেষ। ঘরে ঘরে ডিশ–সংযোগ। বেনো হয়ে উঠলেন প্রায় প্রতিদিনের খোরাক। এই বিশ্বভূখণ্ডের জলে, স্থলে, অন্তরিক্ষে বেনো প্রায় সবার কাছে ক্রিকেটের চিরকালীন কণ্ঠস্বর। এক কাঠি সরেস কেউ কেউ বলতে পারেন, এখানে তো বটেই, এখন যেখানে আছেন, সেখানেও।
আরও পড়ুনসোবার্সের বেনো-স্মরণ১১ এপ্রিল ২০১৫অন্যলোকে কোনো ক্রিকেট ম্যাচেও বেনোর হাতে হয়তো মাইক্রোফোন। নরম ট্রেডমার্ক উচ্চারণে ‘মর্নিং, এভরিওয়ান’ বলে দিন শুরু করে মুখের আস্তিন থেকে একের পর এক বের করছেন সেই সব ট্রেডমার্ক উচ্চারণ,‘মাআরভেল্লাস’, ‘হোয়াট আ রিপার’ আর একদম সঠিক সময়ে যথোপযুক্ত শব্দচয়নের রস, ‘অ্যান্ড গ্লেন ম্যাকগ্রা ডিসমিসড ফর টু, জাস্ট নাইন্টি এইট রানস শর্ট অব হিজ সেঞ্চুরি।’
পাশ থেকেই গনগনে ব্যারিটোন কণ্ঠে কেউ বলবেন, ‘দে আর ড্যান্সিং ইন দ্য আইলস অব হেভেন (শারজা)।’ এই ভদ্রলোকও আপনার চেনা। টনি গ্রেগ। তাঁর সঙ্গেও কয়েক প্রজন্মের পরিচয় ঘরে ঘরে ডিশ পৌঁছানোর আগেই।
এক ফ্রেমে টনি গ্রেগ ও রিচি বেনো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রজন ম
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কস অলরাউন্ডার: সিলেট, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলে কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
বাংলাদেশের প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে দেশব্যাপী চলছে দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ প্রতিযোগিতা। বরাবরের মতো এবারও সাড়া ফেলেছে আয়োজনটি। যা আঞ্চলিক, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়—এ তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে এর আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়
প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাই স্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)
সিলেট, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার ও শনিবার (১০ ও ১১ অক্টোবর)। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ১০ অক্টোবর, শুক্রবার
ভেন্যু: পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়, সিলেট।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেট জেলা সদরের একাংশ (মিরের ময়দান, বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, নেহারিপাড়া, টুকেরবাজার, বাধাঘাট), জালালাবাদ থানা, বিমানবন্দর থানা, গোয়াইনঘাট থানা ও কোম্পানীগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নয়াসড়ক, সিলেট।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেটের শাহপরান থানা, জৈন্তাপুর থানা ও সদরের একাংশ (নয়াসড়ক, জেল রোড, মিরাবাজার, চৌহাট্টা, শাহি ঈদগাহ, বালুচর, শিবগঞ্জ, বন্দরবাজার)।
ভেন্যু: নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ, সদর উপজেলা, নাটোর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নাটোর জেলার শিক্ষার্থীরা।
তারিখ: ১১ অক্টোবর, শনিবার
ভেন্যু: দ্য এইডেড হাই স্কুল, তাঁতিপাড়া, জিন্দাবাজার, সিলেট।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেট সদরের একাংশ (মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, রিকাবীবাজার, নবাব রোড, শেখঘাট, লামাবাজার, জিন্দাবাজার, ভাতালিয়া, ঘাসিটুলা, শামিমাবাদ), কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: লালাবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়ালাবাজার, শেরপুর, জগন্নাথপুর, গোলাপগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (আর এম স্কুল), লম্বাপাড়া রোড, পাবনা।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: পাবনা জেলা।
পুরস্কার
মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট ১ কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে ৫ লাখ এবং ৩ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।
আয়োজকেরা জানান, ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস যাচাইয়ের দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতা প্রতে৵ক অংশগ্রহণকারীর জন্য নতুনভাবে শেখার ও বেড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে।
বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে। ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।