মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই পদে নিয়োগ দিতে আবেদন আহ্বান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাউশির মহাপরিচালকের পদটি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এভাবে আবেদন আহ্বান করে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগকে নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাউশির মহাপরিচালক পদে কাজ করতে আগ্রহী বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের ১৬তম এবং তদূর্ধ্ব ব্যাচের কর্মকর্তারা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ অফলাইনে (সশরীর) আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আগ্রহী প্রার্থীকে সৎ, দায়িত্বপরায়ণ এবং প্রশাসনিক কাজে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা সন্তুষ্ট নন। এ জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এ অবস্থায় এই পদে তদবির করে যেনতেন ও অভিযুক্ত কেউ যাতে নিয়োগ পেতে না পারেন, সে জন্য সাক্ষাৎকার এবং যাচাই–বাছাই করে নিয়োগ দিতেই এই আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

আগ্রহী প্রার্থীকে সৎ, দায়িত্বপরায়ণ এবং প্রশাসনিক কাজে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।

গত বছরের ডিসেম্বরে মাউশি মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। তিনি অবসরে যাওয়ার পর গত ৩০ জানুয়ারি এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন রসায়নের অধ্যাপক এহতেসাম উল হক। তার আগে তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের পর তাঁকে প্রত্যাহার করার দাবিতে শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামের একটি সংগঠন। পরে দাবির মুখে নিয়োগ দেওয়ার মাত্র ২০ দিনের মাথায় সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তখন তাঁকে ওএসডি করা হয়। তখন জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাউশির নতুন মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করা হয়। এখন তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ বলছে তিনি ‘গ্রেনেড বাবু’র সহযোগী

খুলনা নগরে ইমরান মুন্সি (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘গ্রেনেড বাবু’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

আজ সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরের ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান মাদারীপুরের মুন্সীবাড়ির বাবুল মুন্সীর ছেলে। তিনি খুলনা নগরের মুন্সীপাড়ার দ্বিতীয় গলিতে ভাড়ায় থাকতেন এবং ইট–বালুর ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে ইমরান নতুনবাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তাঁর গতি রোধ করে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে মাথায় গুলি করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান মুন্সি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গ্রেনেড বাবুর অন্যতম সহযোগী ‘কাউয়া মিরাজের’ সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরাই তাঁকে হত্যা করেছে।

ওসি আরও জানান, হামলাকারী ব্যক্তিরা গুলি করে মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে চলে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ