বন্দরের কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার
Published: 7th, October 2025 GMT
তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কবি, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক কবির সোহেলের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় করা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মারধরে আহত কিশোরের বড় ভাই অভিযোগের বাদি সোয়াইব হোসেন সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের কবির সোহেলের পেইজে আপলোডের সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন।
এলাকাবাসী জানান, কয়েকজন কিশোর শুক্রবার বন্দরের বক্তারকান্দি এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বন্দরের বক্তারকান্দি এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে সায়েম(২০) নামের এক যুবক রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে বন্দর প্রেস নামের একটি ফেইসবুক পেইজে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। এতে ক্ষূব্দ হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কবির সোহেলকে নানা হুমকি দেয়। পরে তাকে অভিযুক্ত করে বন্দর থানায় মানহানির অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে কবি, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক কবির সোহেল জানান, বন্দর প্রেস নামের যে ফেইসবুক পেইজে সংঘর্ষের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে পেইজটি তার নয়। এই পেইজের অ্যাডমিনও তিনি নন। তিনি সংঘর্ষের কোন ভিডিও পোস্ট দেননি।
কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যার ফলে সামাজিকভাবে তিনি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন এবং তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
কবির সোহেল জানান, তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে কাব্য সাধনায় ব্যস্ত। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশ বন্দর উপজেলা শাখার সভাপতি, বন্দর নাগরিক কমিটির (বনাক) সাধারণ সম্পাদক , জাতীয় কবি সংগঠন অনুপ্রাস নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সামাজিক উন্নয়নে নানা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি কুচক্রিমহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানার কয়লার কলে বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ শ্রমিকদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আতিকুর রহমান (৪২), তোরাব আলী (৫৫), ফেরদৌস (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩৫), কামাল হোসেন (৪৫) ও নাহিদ হাসান (২২)।
দগ্ধ শ্রমিকদের সহকর্মী মোবারক হোসেন বলেন, সিমেন্ট প্ল্যান্টের কয়লার কলে কয়লা পিষে গুঁড়া করা হয়। সেই গুঁড়া কয়লা ভাট্টিতে তাপ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। কয়লার কলে কাজ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়লে তাঁদের ছয় সহকর্মী দগ্ধ হন। রাত নয়টার দিকে তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আতিকুর রহমানের শরীরের ২৭ শতাংশ, তোরাব আলীর ১৬ শতাংশ, ফেরদৌসের ১০ শতাংশ, তাজুল ইসলামের ১২ শতাংশ, কামাল হোসেনের ২৬ শতাংশ ও নাহিদ হাসানের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের সবার শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে শ্রমিকেরা দগ্ধ হন। দগ্ধ ছয় শ্রমিককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় বিস্ফোরণে উত্তপ্ত কয়লা ছিটকে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।