নিলেশ–বিধির তুমুল প্রেম, সমাজ কি মেনে নেবে
Published: 8th, October 2025 GMT
নিলেশ (সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী) ও বিধি (তৃপ্তি দিমরি) আইনের ছাত্রছাত্রী, পড়ে একই কলেজে। বিধি উচ্চ বর্ণের মেয়ে, নিলেশ উঠে এসেছে দলিত পরিবার থেকে। বন্ধুত্ব থেকে তাদের সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। আগ্রহটা প্রথম বিধিই দেখায়, নিলেশের মধ্যে একধরনের দ্বিধা কাজ করে; এই প্রেমের পরিণতি যে ভালো হবে না, সেটা তার ভালোই জানা আছে। এরপর কী হয়? নিলেশ-বিধির কি শুভ পরিণয় হয় নাকি ‘ধড়ক’-এ প্রথম কিস্তির মতো বিয়োগান্ত পরিণতি মেনে নিতে হয়? জানতে হলে দেখতে হবে ‘ধড়ক ২’, ১ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর ছবিটি এসেছে নেটফ্লিক্সে।
একনজরেসিনেমা: ‘ধড়ক ২’
ধরন: রোমান্টিক ড্রামা
পরিচালক: শাজিয়া ইকবাল
অভিনয়ে: সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, তৃপ্তি দিমরি, জাকির হুসেইন, সৌরভ সচদেবা
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
দৈর্ঘ্য: ২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট
শাজিয়া ইকবালের সিনেমাটি আদতে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া মারি সেলভারাজের আলোচিত তামিল সিনেমা ‘পারিয়েরাম পেরুমাল’-এর হিন্দি রিমেক। ইদানীং হিন্দি রিমেকের খুব একটা বাজার নেই, আলোচিত দক্ষিণি সিনেমাগুলোতে বলিউডি মসলা মিশিয়ে প্রায়ই হিন্দি রিমেকের বারোটা বাজান নির্মাতারা। যার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ‘ধড়ক’-এর প্রথম কিস্তি। কিন্তু মারাঠি সিনেমা ‘সাইরাত’-এর হিন্দি রিমেক বানাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন নির্মাতারা। তবে ‘ধড়ক ২’ উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। নির্মাতা শাজিয়া বলিউডি সিনেমা বানালেও মূল সিনেমার আত্মাকে বিসর্জন দেননি।
‘পারিয়েরাম পেরুমাল’-এ সেলভারাজ এক নিম্নবর্গের যুবক কলেজ বৈষম্যের মুখোমুখি হয়। সেখান থেকে ‘ধড়ক ২’ সিনেমায় শাজিয়া ইকবাল কিছু যোগ-বিয়োগ করেছেন। তবে গল্পের মূলে সংবেদনশীল ভাব ছিল, সেটা আছে হিন্দি রিমেকেও। তাই ‘ধড়ক ২’-কে স্রেফ রোমান্টিক সিনেমা ভাবলে ভুল করবেন। এটি মূলত এমন একটি সিনেমা, যেটা প্রেমের গল্পের মোড়কে ভারতের জাত বৈষম্য নিয়ে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে।
‘ধড়ক ২’ সিনেমায় সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও তৃপ্তি দিমরি। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধড়ক ২
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় মেঘনা তেল ডিপোতে চালক ও শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন
ফতুল্লার সরকারি মেঘনা তেল ডিপোতে চালক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ করে কর্ম বিরতি পালন করছে। ফলে সকাল নয়টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত তেল উত্তোলন ও পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বুধবার সকাল ৯ টার দিকে ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে শতাধিক চালক ও শ্রমিক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর ও ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আনোয়ার হোসেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে মেঘনা তেল ডিপোর কতৃপক্ষ, মেঘনা ডিপো চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ফতুল্লা শাখার নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রি পাক্ষিক আলোচনা করে সমোঝতা হয়। পরে ডিপোর কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন,মেঘনা ডিপোতে সদ্য যোগদান করা ডিএস মোঃ জালাল উদ্দিন শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরন সহ জ্বালানী তেল সরবরাহে লিটারে কম দিচ্ছে।পাশাপাশি চালকেরা অভিযোগ করেন, তেল লোড ও আনলোড করার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তারা প্রায়ই দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে কাজ করেন।
চালক-শ্রমিকদের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে মেঘনা তেল ডিপোর ডি,এস মোঃ জালাল উদ্দিন জানায়,তিনি কারো সাথে খারাপ আচরন করেন নি। সকলের সাথে তার সু সম্পর্ক রয়েছে। জ্বালানী তেল কম দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি দ্ধায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ কাজটি করতে দেওয়া হচ্ছেনা।
বরং চালক-শ্রমিকরা কিছু ইনভয়েজ করা লিটারের চাইতে কিছু তেল ট্যাংকে রেখে যাওয়ার আপত্তি করে বা রেখে যেতে চায়। পরে জ্বালানী তেল পেট্রোল পাম্পে দিয়ে এসে ট্যাংকে রেখে যাওয়া জ্বালানী তেল নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পোষন করে। তিনি এর প্রতিবাদ সহ এ কাজ বন্ধ করে দেয়। আর এ কারনে আজ (বুধবার)
ইকবাল চৌধুরী এ রকম আবদার করলে তিনি তা প্রত্যাখান করেন। আর তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে চালক -শ্রমিকদের ভুল বুজিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফেলেন।
অন্যদিকে, মেঘনা ডিপোর চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি বাচ্চু মিয়া জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের হয়ে এখানে এসেছেন। উভয় পক্ষের সাথে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।