চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৫ প্রার্থী
Published: 8th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পাঁচ প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ শ্রেণি (ক্যাটাগরি) থেকে চারজন ও সহযোগী সদস্য থেকে একজন মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ ছাড়া দুই শ্রেণিতে ফরম নিয়ে একটিও প্রত্যাহার না করায় একজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন বোর্ড। নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন বোর্ড–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার বিকেলে চেম্বার নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। এদিন বেলা ১টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ৩৬ জন। অন্যদিকে সহযোগী শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ১৪ জন। ট্রেড ও টাউন অ্যাসোসিয়েশনে ৩ জন করে প্রার্থী। আগামী ১ নভেম্বর নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ শ্রেণিতে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে নেওয়া চারজন হলেন সাফা এন্টারপ্রাইজের মো.
এদিকে আটলান্টিক ট্রেডার্স ও বাগদাদ ডিস্ট্রিবিউশন থেকে সাধারণ ও সহযোগী—দুই শ্রেণিতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন মো. শওকত আলী। তবে চেম্বারের সংঘবিধি অনুযায়ী যেকোনো একটি প্রত্যাহারের বিধান রয়েছে। অন্যথায় প্রার্থীরা বাতিল হবে। প্রত্যাহারের শেষ দিন একটিও প্রত্যাহার না করায় দুই শ্রেণিতেই তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন বোর্ড।
এ বছর চেম্বারের মোট ভোটার ৬ হাজার ৭৮০। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য ৪ হাজার ১ জন, সহযোগী সদস্য ২ হাজার ৭৬৪ জন, ট্রেড গ্রুপ প্রতিনিধি ১০ এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি ৫ জন। এখন পর্যন্ত ২৪টি পরিচালক পদেই ভোট হবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মনোয়ারা বেগম।
এবারের নির্বাচনে দলনেতা হিসেবে আলোচনায় আছেন চট্টগ্রাম চেম্বার ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক, বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এস এম নুরুল হক। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর তাঁরা দু-এক দিনের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের শটগান-ওয়াকিটকি নিয়ে পালান দুই আসামি, একজন গ্রেপ্তার
একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে ধরতে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের ওই দলের ওপর হামলা করেন দুই আসামি ও তাঁর স্বজনেরা। ছয় পুলিশ সদস্যকে আহত করার পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়া হয় পুলিশের একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান। পরে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে খোয়া যাওয়া ওয়াকিটকি ও শটগান উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আহাম্মদপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার আসামির নাম জাহেদুল ইসলাম ওরফে রিপন (৩৮)। তিনি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সোনাগাজী মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আইনুল করিম, কাঞ্চন ও হৃদয়। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জাহেদুল ইসলাম ও তাঁর ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাঁরা ঘরে অবস্থান করছেন, খবর পেয়ে সকাল ছয়টার দিকে পুলিশের একটি দল তাঁদের ঘরে অভিযান চালায়। এ সময় জাহেদুল, রফিকসহ তাঁদের স্বজনেরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় পুলিশের একটি শটগান ও একটি ওয়াকিটকি কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যান।
পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানা-পুলিশের আরেকটি দল ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল সকালে ওই এলাকায় আবারও অভিযান চালায়। এ সময় জাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন তাঁরা। পরে তাঁর তথ্যে লুট হওয়া অস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগের ৯টি মামলা রয়েছে। তাঁর ভাই রফিকুলও একাধিক মামলার আসামি। তাঁকে ধরতে অভিযান চলমান। পুলিশের ওপর হামলা ও ওয়াকিটকি-শটগান ছিনতাইয়ের ঘটনায় নতুন করে মামলা হবে।