রূপগঞ্জে মামলার বাদিকে মধ্যরাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা, হুমকি
Published: 8th, October 2025 GMT
রূপগঞ্জে মামলা তুলে না নেওয়ায় মামলার আসামিরা মধ্যরাতে বাদীর বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এরপর মামলার বাদি ও পরিবারের সদস্যদের অব্যাহত হুমকির দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে আতংকে দিনাতিপাত করছে মামলার বাদি ও তার স্বজনরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানা একটি অভিযোগ দেন। এরআগে রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার টাটকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনার তিন দিন পার হলেও রূপগঞ্জ থানায় কোনো মামলা নথিভুক্ত হয়নি। এরফলে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাদী ও তার স্বজনরা ফের হামলায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে শংকা প্রকাশ করছেন।
ভুক্তভোগী আমেনা বেগম জানান, গত কয়েক মাস আগে স্থানীয় সন্ত্রাসী রুবেল ভূইয়া, রাসেল ভূঁইয়া শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ এর আগে তাদেরকে মারধর ও বাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় তারা রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত বেশ কিছুদিন ধরে মামলা তুলে নিতে রুবেল ভূঁইয়া, রাসেল ভূইয়া ও কুত্তা শ্রাবণ তাদের হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছিল। কিন্তু তারা মামলা তুলে নিতে রাজি নি।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে আমেনা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে আমেনা বেগমের দেবর নূর আলমের দুই মাসের ছেলে আদিল কান্না করলে বাড়ির সবার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
এ সময় নূর আলম বাইরে বেরিয়ে এসে দেখতে পান তাদের বাড়িতে রুবেল ভূঁইয়ার হুকুমে রাসেল ভূঁইয়ার কুত্তা শ্রাবণ, শাহেদ, সিয়াম, মেহেদী, রাজু, আয়নাল, নীরব তৌহিদুলসহ গত ৪/৫ জন মিলে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আগুন দিতে দেখে নূর আলমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে ঘরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে না নিলে তাদের এভাবেই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে চলে যায়। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে তারা রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই জয়নাল আবেদিন বলেন.
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য সন ত র স ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ থ ন এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের নতুন দাবি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধ থামাতে নতুন দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিরসন করতে ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এর পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ফোন করে বলেছিলেন যে ‘আমরা যুদ্ধে যাব না।’
চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। ট্রাম্প ৬০বারেরও বেশি বার দাবি করেছেন যে, এই যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব তার। তবে ভারত যুদ্ধবিরতিতে ধারাবাহিকভাবে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অস্বীকার করেছে।
বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, “...আমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভালো এবং আমি সবসময়ই ছিলাম। আমি বছরের পর বছর ধরে এ ব্যাপারে খুব ভালো করেছি, এমনকি এর আগেও। আমি বিভিন্ন যুদ্ধের কথা বলছিলাম... ভারত, পাকিস্তান... তারা এটি করতে যাচ্ছিল, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেত যাচ্ছিল।”
সৌদি আরবের সফররত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দুই পারমাণবিক-সশস্ত্র প্রতিবেশীকে বলেছিলেন “তারা চাইলে যুদ্ধ করতে পারে, তবে আমি প্রতিটি দেশের উপর ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আর কোনো বাণিজ্য হবে না তাদের। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই তাকে এটা না করতে বলেছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি এটা করতে যাচ্ছি। আমার কাছে ফিরে এসো, আমি এটা ধ্বংস করে দেব। কিন্তু আমি চাই না যে তোমরা একে অপরের দিকে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়ো, লাখ লাখ মানুষ মারা যাক এবং পারমাণবিক ধুলো লস অ্যাঞ্জেলেসের উপর ভেসে বেড়াত। আমি এটা করতেদিচ্ছি না।”
ট্রাম্প এরপর জানান, তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে বলেন যে (সংঘাত) নিষ্পত্তির জন্য ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তবে দুই দেশ যদি যুদ্ধ বন্ধ করে, ‘আমরা একটি সুন্দর বাণিজ্য চুক্তি করব।’ কারণ তারা বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার মাঝখানে রয়েছে।
ট্রাম্প এরপর দাবি করেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছিলাম। মোদি বলেছিলেন, আমাদের কাজ শেষ। আমি বলেছিলাম, আপনার কাজ শেষ? মোদি উত্তর দিয়েছিলেন: আমরা যুদ্ধে যাব না। আমি মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম, চলেন একটা চুক্তি করি।”
ঢাকা/শাহেদ