কিশোরগঞ্জে এক ব্যক্তি চার দিন ধরে নিখোঁজ, পরিবার বলছে অপহরণ
Published: 9th, October 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে বাড়ি থেকে বের হয়ে চার দিন ধরে নিখোঁজ মো. ওমর ফারুক (৩১) নামের এক ব্যক্তি। পরিবারের দাবি, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা শহরের আখড়াবাজার এলাকায় মানববন্ধন করে ওমর ফারুক অপহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্বজনেরা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওমর ফারুকের বাবা জসীম উদ্দিন, ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন, স্ত্রী ফাহমিদা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ ছাড়া ওমর ফারুকের গ্রামের লোকজনও মানববন্ধনে অংশ নেন। নিখোঁজ ওমর ফারুক কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের মধুনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই মেয়ের বাবা।
ওমর ফারুকের বাবা জসীম উদ্দিন বলেন, ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওমর ফারুক শহরের অফিসে (বিকাশ পয়েন্ট) যায়। অফিসের কাজ শেষে বিকেল চারটার দিকে বাড়ি ফিরে আসে। পরে সন্ধ্যার আগে আবার অফিসের কথা বলে বের হয়। এর পর থেকে আর তার খোঁজ মেলেনি। একটি নাম্বার থেকে কল করে তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ওমর ফারুকের স্ত্রী ফাহমিদা বলেন, ‘ছোট দুই শিশুসন্তান নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় আছি। তিনি যেখানেই থাকুন, আমি তাঁকে জীবিত ফেরত চাই।’
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। তবে ওমর ফারুককে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওমর ফ র ক র ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) গাজা অভিমুখী নৌযান থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমের অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে শাঁখারীবাজার ও বাহাদুর শাহ পার্কসংলগ্ন বিশ্বজিৎ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
আন্ত-ইউনিভার্সিটি বডিবিল্ডিং ও ফিটনেস চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত
হাবিপ্রবিতে বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন পরিচালককে মারধর
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘প্যালেস্টাইনে মানুষ মরে, জাতিসংঘ কি করে’,'স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন, স্বাধীন হবে ফিলিস্তিন’, ‘তুমি কে আমি কে, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘শহিদুল আলম আটক কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও আপ বাংলাদেশের নেতা মাসুদ রানা বলেন, “২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে অবিরাম হামলা চালাচ্ছে। গাজার ভাই-বোনদের আমরা একা ছেড়ে দেব না। প্রয়োজনে গাজায় লং মার্চ দিতেও প্রস্তুত আছি।”
শাখা বাগছাসের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “ফিলিস্তিন শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, মুসলিম উম্মাহর অনুভূতির নাম। ইসরায়েল এখন শুধু হামলাই নয়, খাদ্য ও মানবিক সহায়তাও বন্ধ করে দিচ্ছে। সর্বশেষ বাংলাদেশি ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।”
শাখা ছাত্রফ্রন্ট সভাপতি ইভান তাহসীব বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনী শহিদুল আলমকে অপহরণ করেছে, অথচ এই সরকারের নীরবতা লজ্জাজনক। এখন নীরব থেকে নয়, ফিলিস্তিনের গণহত্যার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার সময় এসেছে।”
শাখা ছাত্রশিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “শহিদুল আলম নিজেই বলেছেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। শুধু তিনি নন, অনেক মানবাধিকারকর্মীই নিখোঁজ। আমরা শহিদুল আলমসহ সবার দ্রুত মুক্তি দাবি করছি।”
এর আগে, বুধবার এক ভিডিও বার্তায় জানা যায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের গাজাগামী নৌযান থেকে শহিদুল আলমকে ইসরায়েলি বাহিনী অপহরণ করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়ে আসছে। তবে প্রায়ই ইসরায়েলি বাহিনী এসব নৌবহরকে বাধা দিয়ে নাবিক ও কর্মীদের গ্রেপ্তার বা আটক করে থাকে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী