Risingbd:
2025-10-09@12:31:56 GMT

জুটি বাঁধছেন শিপন-মিষ্টি

Published: 9th, October 2025 GMT

জুটি বাঁধছেন শিপন-মিষ্টি

প্রথমবারের মতো একসঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র ও চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। চলচ্চিত্র নির্মাতা সায়মন তারিকের ‘বিবর’ সিনেমায় সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা। সিনেমাটির গল্প লিখেছেন দেওয়ান নাজমুল। সংলাপ রচনা করেছেন বাবুল রেজা। 

এরই মধ্যে সিনেমাটির একটি গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। ১০০ মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড প্রযোজিত গানটির শিরোনাম ‘অল্প কথার গল্প তুমি’। দ্বৈতভাবে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ মিলন ও সানজিদা রিমা। গানের কথা লিখেছেন সালাউদ্দিন সাগর, সুর করেছেন পলক হাসান, সংগীতায়োজন করেছেন এ এন ফরহাদ। 

আরো পড়ুন:

‘সৃজনশীল কিছু জিনিস বাইবর্ন হয়ে থাকে, আমার ছোট্ট বাচ্চাটাও তাই’

স্ত্রীকে জোর করে ধর্মান্তর করার অভিযোগে মুখ খুললেন সংগীত পরিচালক

পরিচালক সায়মন তারিক বলেন, “চলতি মাসের শেষের দিকে ‘বিবর’-এর শুটিং শুরু হবে। একটানা কাজ করে দৃশ্যধারণ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে একটি গানের কাজ শেষ হয়েছে। দর্শকদের জন্য এটি হবে এক নতুন জুটি ও নতুন গল্পের সিনেমা।” 

সিনেমার গল্পের প্রশংসা করে মিষ্টি জান্নাত বলেন, “অন্যরকম একটি গল্পে কাজ করতে যাচ্ছি। গল্পটা আমার কাছে ভালো লেগেছে বলেই এতে যুক্ত হয়েছি। মানসিক বিপর্যয়ের কারণে গত মাসে নির্ধারিত শুটিং করতে পারিনি। এখন আবার নতুন উদ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।” 

টিম অ্যান্ড ব্রাদার্স চলচ্চিত্র-এর ব্যানারে নির্মিত ‘বিবর’-এ আরো অভিনয় করবেন—শাকিবা, জান্নাত আফরিন, কামরুল ইসলাম বাহার, আলমগীর কবির, নাবিলা চৌধুরী, সিমু লিজা, সোনিয়া সুলতানা, সানজিদা কামিজ, শাওন আশরাফ ও ওমর মালিক। এটি প্রযোজনা করছেন আশরাফুল ইসলাম জুয়েল।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যালারিতে অন্য লড়াই: ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ বনাম ‘ওয়ান টিম ওয়ান হংকং’

কারও হাতে লাল-সবুজ পতাকা, কারও কপালে ‘বাংলাদেশ’ লেখা স্টিকার, কেউ আবার জাতীয় দলের জার্সি পরে হাজির। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ ঘিরে এই মানুষগুলো হাজির ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে।

হংকংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবল দ্বৈরথের বয়স পঞ্চাশ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় এ নিয়ে পঞ্চমবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। আগের চারবারে বাংলাদেশ হেরেছে তিনবার, একবার হয়েছে ড্র। এবারের আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ঢাকা সফরে এসেছিল হংকং। সেই দলের কেউ আর বর্তমান দলে নেই।

১৯ বছর পর হংকং যেন নতুন এক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যদিও তাদের খেলার ধরন ও দর্শনে তেমন পরিবর্তন আসেনি—আক্রমণাত্মক ফুটবলই তাদের মূল অস্ত্র। ২০০৬ সালের পর আবার বাংলাদেশ সফরে আসা হংকংকে ঘিরে গত কদিন ধরে ফুটবল অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা। অতীতে বাংলাদেশ এই হংকংকে হারাতে না পারলেও এবার সেই বৃত্ত ভাঙার স্বপ্নই দেখেছেন দেশের ফুটবল সমর্থকেরা।

আজ ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকও একই আশায় বুক বেঁধেছেন। পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী মহিবুল হাসান গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশকে হারতে দেখেছেন। এবার এসেছেন ভিন্ন অভিজ্ঞতার আশায়। তিনি বললেন, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু পারিনি। এবার অন্তত জয়ের খবর নিয়ে বাসায় ফিরতে চাই। হামজা ভাই, শমিত সোম, ফাহামিদুলরা ভালো খেললে জেতা সম্ভব।’

জাতীয় স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচ। তার আগে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যেও দেখা গেল মধুর এক লড়াই। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দু-এক আগে হংকংয়ের দর্শকেরা গ্যালারিতে বসতেই অন্য পাশে থাকা বাংলাদেশি সমর্থকেরা চিৎকার শুরু করেন। প্রায় ৩০-৪০ জন বাংলাদেশি নিজেদের গ্যালারির শেষ প্রান্তে গিয়ে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে গ্যালারি মুখরিত করেন। হংকংয়ের দর্শকেরাও বসে থাকেননি। ‘One Team One Hong Kong’, ‘Fight for Glory’ লেখা টিফো হাতে স্লোগানে স্লোগানে দিয়েছেন জবাব।

প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হংকংয়ের ১১০ জন সমর্থক বাংলাদেশে এসেছেন ম্যাচ দেখতে। তাদের একজন চ্যান সিও। প্রথমবার ঢাকায় এসে উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘প্রথমবার বাংলাদেশে এলাম। খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষ ফুটবলকে অনেক ভালোবাসেন।’ কে জিতবে এমন প্রশ্নে খানিকটা দ্বিধায় পড়ে মুচকি হেসে যোগ করলেন, ‘তোমরা আমাদের বন্ধু... তবে আমরাই জিতব।’

সব লড়াইয়েই থাকে উত্তাপ, থাকে রোমাঞ্চ। বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচও তার ব্যতিক্রম নয়। সর্বশেষ ২০০৬ সালে জাতীয় স্টেডিয়ামে হয়েছিল দুই দলের ফুটবল ম্যাচ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের গোলকিপার ছিলেন বিপ্লব ভট্টাচার্য।

১৯ বছর আগের দ্বৈরথ এখনো চোখে ভাসে বিপ্লবের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হংকং অনেক আগে থেকেই পেশাদার। আমরা যখন খেলেছি তখনো তাদের দলে অনেক বিদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় ছিল। ম্যাচটা বেশ উপভোগ্য হয়। তখন আমাদের বাঙালি দর্শকও ছিল, আবার ওদের দর্শকও ছিল গ্যালারিতে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ