মেসি–ম্যারাডোনার জার্সি পরে স্বপ্নপূরণ, আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’ খেলতে চান বিশ্বকাপে
Published: 9th, October 2025 GMT
পাবলো আইমার তখন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ। প্রতিভা চেনায় পাকা জহুরি আইমার তাই ১৫ বছর বয়সী ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোকে অনূর্ধ্ব-১৭ দলে ডাকেন। ধীরে ধীরে মাস্তানতুয়োনোর ওপর চোখ পড়ে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের তৎকালীন কোচ হাভিয়ের মাচেরানোরও। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাস্তানতুয়োনোর ডাক পড়ে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলে।
আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক সেই দলের হয়ে ভালো খেলায় এ বছর স্বপ্নপূরণ হয় মাস্তানতুয়োনোর। আগস্টে রিয়াল মাদ্রিদ তাঁর সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি করে। তার আগে মে মাসে ডাক পান আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে। ১৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার তারপর থেকেই আলোচনায়।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের হয়ে এরই মধ্যে ৯ ম্যাচে ১ গোল করেছেন। আর্জেন্টিনার হয়েও খেলেছেন ৩ ম্যাচ। সে পথে আর্জেন্টিনা দলের আক্রমণভাগে জুটি বেঁধেছেন লিওনেল মেসির সঙ্গে, পরে মেসির অনুপস্থিতিতে আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সিও পরতে হয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মাঝ মাঠে মাস্তানতুয়োনো এই বয়সেই বড় ভরসার জায়গা। কিন্তু এই যে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এত দ্রুত সব স্বপ্নপূরণ হয়ে গেল—মাস্তানতুয়োনোর নিজের কেমন লাগে? কেমন লেগেছিল তাঁর মেসির ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামতে, যে জার্সি আর্জেন্টাইন ফুটবলে শুধু বিশেষ ফুটবলারদের জন্যই বরাদ্দ। মাস্তানতুয়োনোও কি তাহলে মেসির পথেই আছেন?
মেসির অনুপস্থিতিতে জাতীয় দলেও ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন মাস্তানতুয়োনো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স ত নত য় ন র আর জ ন ট ন র অন র ধ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ফখরুলের সঙ্গে জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত।
আরো পড়ুন:
দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল
নিউইয়র্কে ডিমকাণ্ড: হার্ড লাইনে এনসিপি, ‘প্রভাব পড়বে রাজনীতিতে’
এই সাক্ষাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নতুন রাষ্ট্রদূত কল অন করতে এসেছেন। বাংলাদেশ-জার্মানির আগামী দিনের সম্পর্ক, তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
আমীর খসরু বলেন, “বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা আছে। আপনারা জানেন যে বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে বড় কর্মসূচি হচ্ছে এক কোটি লোকের চাকরির সংস্থান ১৮ মাসের মধ্যে। সেই কর্মসূচি সফল করতে হলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আমরা জোর দিচ্ছি স্কিল ডেভেলপমেন্টে। বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করতে হলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।”
“প্রযুক্তি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে জার্মানির সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি, কীভাবে আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারি আগামী দিনে।”
জার্মান বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি। জার্মানরা চীনে বিনিয়োগ করেছে, ভারতেও কিছু বিনিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে তারা মনে করেছে বাংলাদেশে আগামী দিনে বিনিয়োগের জন্য ভালো ডেস্টিনেশন।”
বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগে তাদের ইন্টারেস্ট আছে ও উদ্যোগ আছে। বাংলাদেশেরও প্রস্তাব আছে বলে জানান আমীর খসরু।
বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা এর মধ্যে প্রতিটি দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে বলেন তিনি।
সব দেশই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় এবং সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে; তার শেষ কথা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়ে নির্বাচিত সরকার আসবে যেখান শর্ট টার্ম, মিড টার্ম, লং টার্ম সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারে। সে জন্য তারা অপেক্ষায় আছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত সরকার হবে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ