চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়ে তৈরি সিনেমাগুলোর প্রচারণা ও হাইপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রযোজক ও নির্মাতা মো. ইকবাল। তার দাবি, ‘প্রিয়তমা’-এর পর শাকিবের কোনো সিনেমাই দর্শকের কাছে সফল হয়নি। 

গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইকবাল বলেন, “আমি যা বলি সত্য বলি, মিথ্যা বলি না। শাকিবের সিনেমা নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়, তা আসলে ভুয়া। ‘প্রিয়তমা’-এর পর তার একটা সিনেমাও ব্যবসা করেনি। কিন্তু তাকে নিয়ে ফার্স্ট ক্লাস ডিরেক্টররা সিনেমা বানায়, আর ইউটিউব ও ফেসবুক গ্রুপে টাকা দিয়ে আওয়াজ তোলা হয়। বাস্তবে সিনেমাগুলো ব্যবসা করতে পারেনি।” 

আরো পড়ুন:

শাকিব খানের সিনেমায় খল চরিত্রে তৌকীর আহমেদ!

দুই সিনেমায় শাকিব খান

এই ভুয়া প্রচারণার কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে নকল ও পুনরাবৃত্তির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ইকবাল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “অনেকে এখন হিন্দি, তেলেগু বা তামিল সিনেমা থেকে কিছু অংশ কপি করে সিনেমা বানায়। তারপর প্রচারণায় আকাশচুম্বী দাবি তোলে। মানুষ তো বোঝে—এগুলো নকল। তাই কিছু টাকা উঠলেও এই সিনেমাগুলো লাভের মুখ দেখে না।” 

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা চাটুকারিতা করছেন। তা উল্লেখ করে ইকবাল বলেন, “চাটুকার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কারণেই দেশে নতুন নায়ক তৈরি হচ্ছে না। যাদের সবাই মেধাবি বা ফার্স্ট ক্লাস ডিরেক্টর বলে, তারাই চামচামি করে এক নায়ককে (শাকিব খান) ওপরে তুলে রাখে। ফলে এক নায়কের প্রভাব থেকে চলচ্চিত্র মুক্ত হতে পারেনি। আজ যদি সৎ প্রতিযোগিতা থাকত, দেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত নায়ক গড়ে উঠত।” 

বর্তমানে নতুন সিনেমার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইকবাল। অনন্ত জলিলকে নিয়ে একটি সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “দেশের অবস্থা এখন খুব একটা ভালো না। তাই একটু সময় নিচ্ছি। অনন্ত জলিলকে নিয়ে একটি সিনেমা বানানোর ব্যাপারে কথা প্রায় চূড়ান্ত। সময় ও পরিস্থিতি উপযুক্ত হলে কাজ শুরু করব।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফখরুলের সঙ্গে জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত।

আরো পড়ুন:

দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 

নিউইয়র্কে ডিমকাণ্ড: হার্ড লাইনে এনসিপি, ‘প্রভাব পড়বে রাজনীতিতে’

এই সাক্ষাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নতুন রাষ্ট্রদূত কল অন করতে এসেছেন। বাংলাদেশ-জার্মানির আগামী দিনের সম্পর্ক, তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

আমীর খসরু বলেন, “বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা আছে। আপনারা জানেন যে বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে বড় কর্মসূচি হচ্ছে এক কোটি লোকের চাকরির সংস্থান ১৮ মাসের মধ্যে। সেই কর্মসূচি সফল করতে হলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আমরা জোর দিচ্ছি স্কিল ডেভেলপমেন্টে। বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করতে হলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।”

“প্রযুক্তি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে জার্মানির সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি, কীভাবে আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারি আগামী দিনে।”

জার্মান বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি। জার্মানরা চীনে বিনিয়োগ করেছে, ভারতেও কিছু বিনিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে তারা মনে করেছে বাংলাদেশে আগামী দিনে বিনিয়োগের জন্য ভালো ডেস্টিনেশন।”

বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগে তাদের ইন্টারেস্ট আছে ও উদ্যোগ আছে। বাংলাদেশেরও প্রস্তাব আছে বলে জানান আমীর খসরু।

বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা এর মধ্যে প্রতিটি দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে বলেন তিনি।

সব দেশই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় এবং সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে; তার শেষ কথা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়ে নির্বাচিত সরকার আসবে যেখান শর্ট টার্ম, মিড টার্ম, লং টার্ম সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারে। সে জন্য তারা অপেক্ষায় আছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত সরকার হবে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ