ই–রিটার্ন জমায় প্রতিটি কর অঞ্চলে সহায়তাকেন্দ্র চালু করেছে এনবিআর
Published: 9th, October 2025 GMT
সারা দেশের সব কর অঞ্চলে ই–রিটার্ন জমায় হেল্প ডেস্ক বা সহায়তাকেন্দ্র চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করদাতারা নিজ নিজ কর অঞ্চলে সশরীর অথবা ওই কর অঞ্চলের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে ই–রিটার্নবিষয়ক সেবা পেতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে এনবিআর। ই–রিটার্নসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা প্রদানের জন্য একটি কল সেন্টারও স্থাপন করেছে এনবিআর।
এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে ফোন করে করদাতারা ই–রিটার্নসংক্রান্ত প্রশ্নের তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সমাধান পাচ্ছেন। এ ছাড়া www.
এর আগে গত ৪ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫–২৬ কর বছরের জন্য অনলাইনে ই–রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ লাখ ২০ হাজার করদাতা ই–রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। ৬ লাখ ৩৫ হাজার করদাতা অনলাইনে ২০২৫–২৬ কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন।
এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ই–রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধনসংক্রান্ত সমস্যার কারণে কোনো করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপ–কর কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতাসহ আবেদন করলে তিনি কাগুজে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এ বছরও অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে এনবিআর। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার করদাতা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করতে পারেন। পাশাপাশি রিটার্ন জমার স্লিপ নিতে পারেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ
অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫–এর সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত কোটা ও মেধার ভিত্তিতে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ করেছে।
নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত মাধ্যমিক বা নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির ন্যূনতম ২০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভর্তি হলে আগের প্রতিষ্ঠানের মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষার্থী নয়, এমন কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক০৬ অক্টোবর ২০২৫পাঁচ বিষয়ে পরীক্ষা, মোট নম্বর ৪০০
নতুন নীতিমালায় জানানো হয়েছে, পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে পূর্ণমান ১০০ করে এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে পূর্ণমান ৫০+৫০=১০০, মোট নম্বর ৪০০। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
আরও পড়ুনঅধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগও হবে এনটিআরসিএর মাধ্যমে০৫ অক্টোবর ২০২৫বৃত্তি দুই ধরনের
বৃত্তি প্রদানের নীতি অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি দুই ধরনের—ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। উভয় বৃত্তিতেই ৫০ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি উপজেলা বা থানাভিত্তিক ও জাতীয়ভাবে নির্ধারিত মোট বৃত্তির অনুপাতে বিতরণ করা হবে। বিজোড় সংখ্যার ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রার্থী নয়, অধিক নম্বরধারী শিক্ষার্থী বিবেচনায় নেওয়া হবে। সাধারণ বৃত্তিও একই নিয়মে উপজেলা বা থানা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও অনুসৃত প্রশ্ন কাঠামো অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে তাদের মেধা বা কোটাভিত্তিক জুনিয়র বৃত্তি প্রদান করা হবে।
*সংশোধিত নীতিমালা দেখুন এখানে
আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫