খুবিতে কুকুরের উৎপাত নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাত্বকরণের উদ্যোগ
Published: 9th, October 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) সম্প্রতি বেড়ে গেছে কুকুরের উৎপাত। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০টি কুকুরকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাডেমিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ কিংবা আবাসিক হল, আবাসিক এলাকায় সর্বত্রই দেখা যায়।
অনেক সময় কুকুরের আচরণে আতঙ্কিত হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা, কেউ কেউ আক্রমণের শিকারও হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাণীপ্রেমী শিক্ষার্থীরা একযোগে এগিয়ে আসেন মানবিক সমাধানের পথে।
আরো পড়ুন:
খুবিতে পূজার ছুটি বাড়ানোর দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
খুবির অধীনে মৎস্য বীজ খামার অন্তর্ভুক্তির দাবি
এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে কুকুর নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক ও মানবিক উদ্যোগ- বন্ধ্যাত্বকরণ (স্পে-নিউটার) ও টিকাদান কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রাণীপ্রেমী শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ‘স্নেহটেইল’ এর আয়োজনে এই কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়েছে ফারি ফ্রেন্ডন্স ফাউন্ডেশন নামের একটি বিশেষায়িত দল। আগামী ১৬ অক্টোবর তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কুকুরগুলোর বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন শুরু করবে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুকুর অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। দুটি রুম প্রস্তুত রাখা হয়েছে- একটি আগত দলের আবাসনের জন্য, অন্যটি পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ার ইউনিট হিসেবে। অপারেশনের পর দুইদিন কুকুরগুলোর খাবার সরবরাহ এবং পর্যবেক্ষণের জন্য একজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
‘স্নেহটেইল’ এর ফাউন্ডার তামান্না রহমান তন্নী বলেন, “বর্তমানে ক্যাম্পাসে ৬০ থেকে ৭০টি কুকুর রয়েছে। অনেক সময় তারা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে বা আক্রমণাত্মক আচরণ করে, আবার অনেক শিক্ষার্থী তাদের খাওয়ানও। তাই আমরা এমন একটি উদ্যোগ নিতে চেয়েছি, যাতে মানুষ ও প্রাণী- দুজনেই নিরাপদে থাকতে পারে। প্রাণী নিধনের পরিবর্তে নিয়ন্ত্রণ ও সহাবস্থানের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানই সবচেয়ে মানবিক পথ।”
তিনি আরো বলেন, “ইতোমধ্যে কুকুরগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরপর বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অপারেশনের পর প্রতিটি কুকুরের গলায় পরিচয় বেল্ট পরানো হবে এবং কানের একটি অংশ কেটে চিহ্নিত করা হবে, যাতে সহজে বোঝা যায়- ওই কুকুরটি নিরাপদ ও বন্ধ্যাত্বকৃত। অপারেশনের পর কুকুরগুলোর শারীরিক অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। কুকুরের পাশাপাশি বিড়ালগুলোকেও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।”
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ক রগ ল ম নব ক উদ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মুখ খুললেন তিশা
কলকাতার সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে অগ্রিম পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। শরীফ খান নামে এক প্রযোজক এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
এম. এন. রাজ পরিচালিত ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন তানজিন তিশা। কিন্তু এই অভিনেত্রীর অসহযোগিতা ও বারবার মিথ্যা বলার কারণে বাধ্য হয়ে তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়ার পর তিশা অগ্রিম নেওয়া পারিশ্রমিকের অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ প্রযোজকের। তবে এসব অভিযোগকে ‘ফালতু’ বলে মন্তব্য করেছেন তিশা।
আরো পড়ুন:
তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
‘সোলজার’-এ শাকিবের বিপরীতে তানজিন তিশার ফার্স্টলুক প্রকাশ
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তানজিন তিশা বলেন, “এই অভিযোগ ফালতু। আমাকে চুক্তির সময় এক তৃতীয়াংশ পেমেন্ট দেয়া হয়েছিল। এই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় দেড়মাস কোনো কাজ করিনি। চুক্তিতে উল্লেখ আছে, শুটিং ক্যানসেল হলে এই অর্থ ফেরত যাবে না।”
প্রযোজকের অপেশাদার আচরণের ঘটনা উল্লেখ করে তিশা বলেন, “শরীফ (শরীফ খান) নামে একজন আমার সঙ্গে মধ্যরাতে ফোন করে কথা বলতে চেয়েছে, এত রাতে আমি কেন কথা বলব? এটা তো পেশাদার আচরণ হতে পারে না। আমি অবশ্য দিনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। আর উনি তো এই সিনেমার প্রযোজকই নন। এর বেশি কিছু বলতে হলে আমার আইনজীবী বলবেন।”
তিশার আইনজীবী জসীম উদ্দিন বলেন, “তানজিন তিশা চুক্তি অনুযায়ী তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করেছেন। তিনি শিডিউল প্রদান করেছেন এবং কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু ডিরেক্টর ভিসা এবং শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে চুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ অনুযায়ী ডিরেক্টরের ডিফল্ট (অপরাধ) স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিশার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আর্টিস্ট ডিফল্ট ঘটেনি। বরং ভিসা বিলম্ব ও শিডিউল বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে তিশাই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”
প্রযোজক দাবি করেছেন, প্রথমে ৩০ হাজার রুপি পরে তিশার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর থেকেই গড়িমসি শুরু করেন তিশা।
ঢাকা/শান্ত