‎গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘‘আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ লকডাউন ঘোষণা করেছে। তারা যদি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে রাজপথে তাদের ধোলাই দেওয়া হবে। জনগণ তাদের দেখা মাত্রই ধোলাই করবে।’’

সোমবার (১০ নভেম্বর) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের ডামি এমপিদের ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচনে নামাতে তৎপর হয়েছে। আগামী নির্বাচনে কোনো আওয়ামী লীগের ডামি এমপিদের সুযোগ দেওয়া হবে না। কোনো ডামি এমপি টাকার বস্তা নিয়ে ভোট চাইতে আসলে মা-বোনেরা তাদের ঝাঁটাপেটা দেবেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ হবে ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত সংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ থেকে মাস্তানতন্ত্রের রাজনীতি বিদায় নিয়েছে। দেশে আর মাস্তানির রাজনীতি, হেডমগিরির রাজনীতি জনগণ মেনে নেবে না। আমরা সংখ্যায় কম হতে পারি। কিন্তু আমরা বিপ্লবী। আমরা বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করেছি।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি আহ্বান করলে আমরা আলোচনায় যেতে প্রস্তুত: আযাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, ‘‘জামায়াতের আহ্বানে বিএনপি বসতে রাজি হয়নি। আমরাও চাই না রাজনীতি আবার ফ্যাসিবাদী কালচারে ফিরে যাক। বিএনপি আহ্বান করলে আমরা আলোচনায় যেতে প্রস্তুত।’’

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘‘জামায়াত আলোচনাতেই ছিল। একইসঙ্গে রাজপথে থাকা রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য। আমরা সহিংসতায় যাচ্ছি না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আছি।’’

তিনি বলেন, ‘‘জামায়াত কোনো প্রেশার গ্রুপ নয়, বরং জনগণের মতামত ও প্রত্যাশা প্রতিফলিত করতে রাজপথে রয়েছে। আমরা মতভিন্নতা মেনে নিতে পারি, কিন্তু মতবিরোধ চাই না।’’

‘‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে–এমন প্রত্যাশা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। জনগণের অভিপ্রায় এখন একটি সুন্দর ও পরিবর্তিত বাংলাদেশ গড়া। সেই লক্ষ্যেই সংস্কারের মধ্য দিয়ে রাজনীতি এগিয়ে নিতে হবে।’’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘‘আমরা কি আবার ফ্যাসিবাদী সময়ের মতো সনদকে অনিশ্চয়তার ফাঁদে ফেলছি? গণভোট আগে হলে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের জন্য সেটি হবে আসল অ্যাসিড টেস্ট। তাহলে জাতীয় নির্বাচনে মানুষ আস্থার সঙ্গে যেতে পারবে।’’

নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘কিছু নোট অব ডিসেন্টসহ সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সনদের বাইরের বিষয়। ফলে সেখানে নোট অব ডিসেন্ট নেই। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পেশ করার পরই মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘অতীতে মানুষের আস্থা নষ্ট করা হয়েছে, এখন সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ২৭ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। সেখানে জনস্বার্থে এক-দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে গণভোট করা কোনো অপচয় নয়।’’

ঢাকা/রায়হান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়েতে বিক্ষোভ
  • নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিএনপি বিজয়ী হবে: ফখরুল
  • ‘জ্ঞান জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করাই প্রকৃত সাফল্য’
  • গণভোট-সনদ জনগণ বোঝে না: মির্জা ফখরুল 
  • ‘কথায় কথায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোটের প্রার্থী আসে কেন`
  • চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে কঠোর কর্মসূচি: বাম গণতান্ত্রিক জোট
  • সংস্কারের মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক নয়, নৈতিক: প্রধান বিচারপতি
  • বিএনপি আহ্বান করলে আমরা আলোচনায় যেতে প্রস্তুত: আযাদ