বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, “দুইটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটলেও এখনো অনেকেই কর্তৃত্ববাদের ভূত কাঁধে নিয়ে হাঁটছেন। রাজনীতিতে নতুনভাবে জবরদস্তির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা ফ্যাসিবাদের নতুন রূপের ইঙ্গিত দেয়।”

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর নূর হোসেন স্কয়ারে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ নূর হোসেনের ৩৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, “চরম কর্তৃত্ববাদ ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দুবার গণঅভ্যুত্থান ঘটলেও স্বৈরাচারী রাজনীতির শিকড় এখনো রয়ে গেছে। এ কারণেই বারবার দমন-নিপীড়নমূলক শাসন ফিরে আসে। ফ্যাসিস্ট রাজনীতির পূর্ণ অবসান না ঘটালে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “সরকারের অকার্যকারিতা ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে। বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই শহীদ নূর হোসেন, ডাক্তার মিলন, আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধদের স্বপ্ন ছিল। সেই সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়লেই তাদের রক্তের ঋণ শোধ হবে।”

তিনি আরো বলেন, “শহীদ নূর হোসেন ও আবু সাঈদরা আজো আমাদের প্রেরণার উৎস। তাদের আদর্শই আমাদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে যেতে সাহস জোগায়।”

এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী, যুবরান আলী জুয়েল, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়েল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, চুন্নু সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত

চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে টানা সাত কার্যদিবস পুঁজিবাজারে পতন ঘটেছে।

এর ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার পয়েন্টের ঘরে নেমে এসেছে, যা সাড়ে চার মাস আগের অস্থানে নেমে এসেছে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু

২২ বিনিয়োগকারীকে ৪০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ২০ মিনিটের পর থেকে সূচকের পতন লক্ষ্য করা যায়। এর পর আবার বেলার সাড়ে ১২টার দিকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরে। তবে ১টা নাগাদ সূচক ফের পতনমুখী অবস্থানে চলে আসে। লেনদেন শেষ পর্যন্ত পতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৯.১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে। এর আগে গত ৩০ জুন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে। এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.৮৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৮.৪৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৪০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭০টি কোম্পানির, কমেছে ২৭৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১টির।

এদিন, ডিএসইতে মোট ৩৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০২ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৭৭.৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৬.৩৫ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭৩৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৯.০৯ পয়েন্ট কমে ৮৬১ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৭২.৫০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯টির।

সিএসইতে ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত
  • তফসিলের আগে গণভোট করার কোন বাস্তবতা নাই: নুর
  • অন্তত পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় ঐক্য দরকর: নুর
  • ডেঙ্গু সংক্রমণের সময় বদলাচ্ছে, বেড়েছে নভেম্বরে, কারণ কী