না’গঞ্জে অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতাকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার
Published: 10th, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে সাধারণ জনগণের সহযোগিতা চেয়ে বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
যে কেউ এসব অস্ত্র বা গোলাবারুদের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে তাকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক ঘোষণার মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী জানান, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতাদের জন্য পুরস্কারের একটি নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রতি গুলি উদ্ধারে ৫০০ টাকা, পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে ৫০ হাজার টাকা, রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা, এসএমজি উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা এবং এলএমজি উদ্ধারে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “আমরা চাই জনগণ এগিয়ে আসুক। যেকোনো তথ্যদাতা নিরাপদ থাকবেন, তাদের পরিচয় কঠোর গোপনীয়তায় রাখা হবে। কেউ চাইলে নিজ থানায় বা জেলা পুলিশের নির্ধারিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।”
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে লুণ্ঠিত অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা।
সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে যোগাযোগের পাশাপাশি নিরাপদভাবে তথ্য প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোপনীয় চ্যানেলও সক্রিয় রাখা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ প রস ক র উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট-সনদ জনগণ বোঝে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “গণভোট হতে হবে নির্বাচনের দিনে। গণভোট-সনদ কি আমরা বুঝি? জনগণ গণভোট-সনদ বোঝে না। সব সংস্কারে রাজি আছি। যা রাজি হব না, তা সংসদে গিয়ে পাস হবে।”
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে: ফখরুল
৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে অবিস্মরণীয় দিন: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে যত সংকট দেখছেন, সব তৈরি করা আর নাটক। জনগণ এসব বোঝে না। তারা শুধু ভোট দিতে চায়। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। এ সরকার জনগণের সরকার নয়। জনগণের কষ্ট বোঝে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের ন্যায্য দামে ধান বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। ফ্যামিলি কার্ড করা হবে।”
তিনি বলেন, “দাঁড়িপাল্লা আপনারা চেনেন। দাঁড়িপাল্লাও নির্বাচন করছে। ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে। এটা আমার শেষ নির্বাচন। আমার শেষ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করবেন।”
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ