পাকিস্তান থেকে ফিরে বয়কটের মুখে, থামেনি রুনা লায়লার সংগীতযাত্রা
Published: 17th, October 2025 GMT
ছয় দশক!
এই দীর্ঘ সময়জুড়ে একটানা আলোয় থাকা, গানে গানে জয় করা কোটি শ্রোতার হৃদয়—এ এক অনন্য কীর্তি। এই কীর্তির নাম রুনা লায়লা। উর্দু, হিন্দি, বাংলা—তিন ভাষাতেই সমান পারদর্শী এই শিল্পী আজ উপমহাদেশের সংগীত ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি। কিন্তু এই আলোকিত পথচলার শুরুটা ছিল না সহজ। ১৯৭০-এর দশকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেই তাঁকে পড়তে হয়েছিল নানা বাধা, ঈর্ষা আর বয়কটের মুখে। তবু সব প্রতিকূলতার মাঝেও গানই ছিল তাঁর একমাত্র অবলম্বন, আশ্রয় আর শক্তি।
নাচের সেই মেয়েটি
সংগীতশিল্পী হিসেবেই পরিচিতি রুনা লায়লার। তবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল নাচ দিয়ে। নাচ তাঁর পছন্দ ছিল। ছোট্ট রুনা লায়লার লম্বা সময় কেটেছে পাকিস্তানের করাচিতে। বাবা এমদাদ আলী ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। সেখানে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে মেয়েকে নাচ শেখার জন্য ভর্তি করেন মা আমিনা লায়লা। এই প্রতিষ্ঠানে চার বছর নাচ শিখেছেন রুনা। শিক্ষক ছিলেন আফরোজা বুলবুল। রুনা তাঁর কাছ থেকে শিখেছেন কত্থক আর ভরতনাট্যম। রুনা বলেন, ‘এখন আর সেসব মনে নেই। তবে মঞ্চে যখন গান করি, নিজের অজান্তেই তখন নাচের কিছু মুদ্রা চলে আসে।’
ছোটবেলায় নানি সব ভাইবোনকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকায় একেকজন একেক জিনিস কিনলেও নিজের টাকায় এক জোড়া ঘুঙুর কেনেন রুনা। এই ঘুঙুর পরে সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়াতেন আর নাচতেন। নাচটা যে তাঁর খুব পছন্দের, মা জানতেন। তখন তিনি বলেন, ‘তোমার যেহেতু নাচের এতই শখ, একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দিই।’ পরে চার বছর নাচ শিখেছেন রুনা। একাডেমির হয়ে অনেক পরিবেশনায়ও অংশ নেন।
গান গাইছেন রুনা লায়লা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তান থেকে ফিরে বয়কটের মুখে, থামেনি রুনা লায়লার সংগীতযাত্রা
ছয় দশক!
এই দীর্ঘ সময়জুড়ে একটানা আলোয় থাকা, গানে গানে জয় করা কোটি শ্রোতার হৃদয়—এ এক অনন্য কীর্তি। এই কীর্তির নাম রুনা লায়লা। উর্দু, হিন্দি, বাংলা—তিন ভাষাতেই সমান পারদর্শী এই শিল্পী আজ উপমহাদেশের সংগীত ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি। কিন্তু এই আলোকিত পথচলার শুরুটা ছিল না সহজ। ১৯৭০-এর দশকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেই তাঁকে পড়তে হয়েছিল নানা বাধা, ঈর্ষা আর বয়কটের মুখে। তবু সব প্রতিকূলতার মাঝেও গানই ছিল তাঁর একমাত্র অবলম্বন, আশ্রয় আর শক্তি।
নাচের সেই মেয়েটি
সংগীতশিল্পী হিসেবেই পরিচিতি রুনা লায়লার। তবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল নাচ দিয়ে। নাচ তাঁর পছন্দ ছিল। ছোট্ট রুনা লায়লার লম্বা সময় কেটেছে পাকিস্তানের করাচিতে। বাবা এমদাদ আলী ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। সেখানে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে মেয়েকে নাচ শেখার জন্য ভর্তি করেন মা আমিনা লায়লা। এই প্রতিষ্ঠানে চার বছর নাচ শিখেছেন রুনা। শিক্ষক ছিলেন আফরোজা বুলবুল। রুনা তাঁর কাছ থেকে শিখেছেন কত্থক আর ভরতনাট্যম। রুনা বলেন, ‘এখন আর সেসব মনে নেই। তবে মঞ্চে যখন গান করি, নিজের অজান্তেই তখন নাচের কিছু মুদ্রা চলে আসে।’
ছোটবেলায় নানি সব ভাইবোনকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকায় একেকজন একেক জিনিস কিনলেও নিজের টাকায় এক জোড়া ঘুঙুর কেনেন রুনা। এই ঘুঙুর পরে সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়াতেন আর নাচতেন। নাচটা যে তাঁর খুব পছন্দের, মা জানতেন। তখন তিনি বলেন, ‘তোমার যেহেতু নাচের এতই শখ, একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দিই।’ পরে চার বছর নাচ শিখেছেন রুনা। একাডেমির হয়ে অনেক পরিবেশনায়ও অংশ নেন।
গান গাইছেন রুনা লায়লা