ঢাকাই সিনেমার খল তারকা মিশা সওদাগর। যদিও নায়ক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। পরে খলচরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি লাভ করেন। ৩৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন।  

কখনো খুনি, কখনো গ্যাং লিডার হয়ে পর্দা কাঁপানো মিশা সওদাগর কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তা সঠিক জানা যায়নি। কারণ এ বিষয়টি গোপন রাখতে চান এই তারকা। একটি টিভি সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন সিনেমার জন্য সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছেন? 

আরো পড়ুন:

‘ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের অসুস্থতার খবরে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত’

সালমান না কি শাকিব, কাকে এগিয়ে রাখলেন মিশা সওদাগর?

এ প্রশ্নের জবাবে মিশা সওদাগর বলেন, “বরবাদ’।” কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন? সঞ্চালকের পাল্টা প্রশ্নে হাসতে থাকেন মিশা সওদাগর। তার ভাষ্য—“না, না, এটা সর্বোচ্চর মধ্যেই থাকুক, এটা বলা যাবে না।” 

এখন পর্যন্ত কোন সিনেমার পারিশ্রমিকের টাকা পাননি, মানে এখন পর্যন্ত মোট কত টাকার পারিশ্রমিক বাকি রয়েছে? জবাবে মিশা সওদাগর বলেন, “আমি যখন তৈরি হই, তখন তো কোনো ডিমান্ড করতে পারতাম না, যা দিতেন তাই নিতাম। এর মধ্যে একটি সিনেমার জন্য ৩৫-৪০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাই।” 

এ কথা বলতে বলতে অতীতে ফিরে যান মিশা সওদার। তার ভাষায়, “আমার কাজ দেখে মানুষের মাথা নষ্ট হয়ে যেত। শট দেওয়ার সময়ে মানুষ অপেক্ষা করতেন। কাচ ভেঙে ফেলতাম; এরকম টিভি উড়ে গিয়ে কত ভেঙেছি। তখন ফিটনেসও ভালো ছিল। আমি সবসময় শট খুঁজতাম, হলিউড থেকে বলিউড সব জায়গায় শট খুঁজতাম। কারণ তখন শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন ফরিদী, এটিএম শামসুজ্জামানেরা ছিলেন। আমাকে তো তাদের পাশ কাটিয়ে যেতে হবে।”   

শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। এতে শাকিব খানের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন মিশা সওদাগর। এ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় মেহেদী হাসান হৃদয়ের। গত ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলে সিনেমাটি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অভিযানকালে ডাকাতের কোপে আহত পুলিশের এসআই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় অভিযানে গিয়ে ডাকাতের কোপে আহত হয়েছেন পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জুমার পাড়ায় এ হামলা হয়। ডাকাতদলের সদস্যরা নুর ইসলাম নামের ওই এসআইর হাতে ও পায়ে কোপ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ।

পুলিশ জানিয়েছে, আমনুরা বাইপাস সড়কের জুমার পাড়া এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করা হবে, এমন আশঙ্কায় স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেন। এ খবর পেয়ে আমনুরা তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক নুর ইসলাম এবং ওই এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে দায়িত্বে থাকা সদস্যদের বিষয়টি অবগত করলে তারা ঘটনাস্থলে রওনা দেন। নুর ইসলাম প্রথমেই ঘটনাস্থলেই পৌঁছে যাওয়ায় একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায় ডাকাতদলের সদস্যরা।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেছেন, অভিযানে গিয়ে ডাকাতের দায়ের কোপে নুর ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি আমনুরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। ওই পুলিশ সদস্যকে একা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ডাকাতদলের সদস্যরা হাতে ও পায়ে এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এর মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, তিনি আশঙ্কামুক্ত।

ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ওয়াসিম ফিরোজ।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ