রাজধানীর হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

এয়ার টিকিটে দাম বৃদ্ধি: বনানীতে ফেয়ার বিডি ট্রাভেলে অভিযান, জরিমানা

এতে জানানো হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে সংঘটিত অগ্নি নির্বাপণে কাজ করছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনসহ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট। এছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২৮টি ইউনিট কাজ করছে। আরো ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের পর থেকে ফ্লাইট রেডারে বন্ধ দেখাচ্ছে বিমান চলাচল।

আগুনের কারণে এরই মধ্যে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের কারণে শাহজালালে সব ধরণের বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। ঢাকাগামী কিছু ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো.

মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, কার্গো সেকশনের পাশে একটি অংশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ব ম নব হ ন শ হজ ল ল ক জ করছ আগ ন ন ফ ল ইট স কশন ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

শাহমখদুম বিমানবন্দরে ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ নিরাপত্তা মহড়া

রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (রহ.) বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা মহড়া ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন এলাকায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়া পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

মহড়ার কাল্পনিক দৃশ্যে দেখানো হয়, যশোর বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি আসে। কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি কল পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক ইমার্জেন্সি অপারেশসন সেন্টার সক্রিয় করেন। পরে রিস্ক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই একযোগে জরুরি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এই নিরাপত্তা মহড়ায় অংশ নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‌্যাব, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আরো কয়েকটি সংস্থা। 

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, “এ ধরনের মহড়া দুর্বলতা শনাক্ত, আন্তঃসংস্থার সমন্বয় বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তার ভাষায়, “সমন্বিত দক্ষতা থাকলে যে কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি দ্রুত ও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।”

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ১৮ অক্টোবর অগ্নিকাণ্ডের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এভসেক, বিমানবাহিনী টাস্কফোর্স, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এপিবিএন, পুলিশ ও আনসারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় কার্গো টার্মিনাল থেকে টার্মিনাল-৩ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের মতো পরিস্থিতিতে চুরি, লুট বা নাশকতার ঝুঁঁকি থাকলেও, সেদিন নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্বের কারণে কোনো এমন ঘটনা ঘটেনি।”

মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি ও দক্ষতা প্রত্যক্ষ করে সন্তোষ প্রকাশ করে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “প্রতিটি সংস্থাই প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। জাতীয় স্বার্থে আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।”

মহড়ায় অন-সিন কমান্ডার ছিলেন- বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক দিলারা পারভীন। তিনি জানান, প্রতি দুই বছরে একবার এমন পূর্ণাঙ্গ মহড়া আয়োজন বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির হুমকি, ছিনতাই, বোমা হামলা ও অন্যান্য ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই এবং অংশীজনদের প্রস্তুতি বাড়াতেই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

এ মহড়ায় চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমডোর মো. আসিফ ইকবাল। উপস্থিত ছিলেন- বেবিচকের সদস্য (প্রশাসন) এস এম লাবলুর রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মাদ নাজমুল হক, সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হযরত গোলাপ শাহ্ মাজারে ১০ মাসে দান ৫৭ লাখ টাকা
  • এভারকেয়ারের কাছে হেলিকপ্টার ওঠানামা করবে, বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ
  • এভারকেয়ারের কাছে হবে হেলিকপ্টার অবতরণ-উড্ডয়ন মহড়া
  • শাহমখদুম বিমানবন্দরে ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ নিরাপত্তা মহড়া