বাংলাদেশে এখন অনেক তরুণ–তরুণী চাকরির বাইরে বিকল্প কর্মজীবন খুঁজছেন। কেউ অফিসের ধরাবাঁধা নিয়মে ক্লান্ত, কেউবা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ চান। অনলাইনে কাজের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠছে বড় ভরসার জায়গা। তবে ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু ‘বাড়িতে বসে কাজ করা’ নয়, এটা নিজের ব্যবসা শুরু করার মতোই এক চ্যালেঞ্জ। ঠিকভাবে পরিকল্পনা না করলে এই স্বাধীন জীবন দ্রুতই অনিশ্চয়তায় বদলে যেতে পারে। তাই শুরু করার আগে কিছু বিষয় ভেবে নেওয়া জরুরি।

বিশ্বের অন্যতম অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্কের ২০২৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন বিশ্বজুড়ে দক্ষ জ্ঞানভিত্তিক কর্মীদের প্রায় ২৮ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন। আবার পূর্ণকালীন চাকরিতে থাকা ৩৬ শতাংশ কর্মী ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার কথা ভাবছেন। বাংলাদেশেও এ প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা এখন ছয় লাখের বেশি। স্বাধীনভাবে কাজ করা যতটা আকর্ষণীয়, প্রস্তুতি ছাড়া নামলে ততটাই কঠিন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিন।

১.

লক্ষ্য ঠিক করুন: পার্টটাইম না ফুলটাইম?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে স্পষ্ট করে ভাবুন, আপনি কি চাকরি ছাড়তে চান, নাকি বাড়তি আয় করতে চান? যদি লক্ষ্য হয় একটু বাড়তি আয়, তাহলে চাকরির পাশাপাশি কাজ শুরু করা ভালো। এতে আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অভিজ্ঞতাও বাড়বে। কিন্তু যদি পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেতে চান, তাহলে আগে থেকে পরিকল্পনা করা জরুরি। কত টাকা আয় করতে হবে, কোন ধরনের ক্লায়েন্ট টার্গেট করবেন, কীভাবে কাজ পাবেন—এসব প্রশ্নের উত্তর তৈরি রাখুন। স্পষ্ট লক্ষ্য না থাকলে ‘স্বাধীনভাবে কাজ’ করার পরও যেন আবার নতুন এক চাকরির চাপে পড়ে যাচ্ছেন।

২. বাজারের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন

সব দক্ষতার কাজ সব সময় সমানভাবে চাহিদাসম্পন্ন নয়। এখন কোন ক্ষেত্রগুলোয় কাজের চাহিদা বাড়ছে, সেটা জেনে রাখা দরকার। আপওয়ার্ক, ইভার বা লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফর্মে ঘুরে দেখুন কোন ধরনের প্রকল্প বেশি পোস্ট হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক সময়ে ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ডেটা অ্যানালিটিকস, ডিজিটাল মার্কেটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) কাজের চাহিদা বাড়ছে। শুধু দক্ষতা থাকলেই হবে না, বাজারে তার চাহিদা কতটা, সেটিও বুঝতে হবে। ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান দিতে পারলেই আপনি টিকে থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুনসোনালী-অগ্রণী-কৃষি-রূপালীসহ ১১ ব্যাংক নেবে সিনিয়র অফিসার, পদ ১০১৭০৮ অক্টোবর ২০২৫নিজ ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মেয়ে তৃষ্ণা দিও

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন

বাংলাদেশে এখন অনেক তরুণ–তরুণী চাকরির বাইরে বিকল্প কর্মজীবন খুঁজছেন। কেউ অফিসের ধরাবাঁধা নিয়মে ক্লান্ত, কেউবা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ চান। অনলাইনে কাজের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠছে বড় ভরসার জায়গা। তবে ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু ‘বাড়িতে বসে কাজ করা’ নয়, এটা নিজের ব্যবসা শুরু করার মতোই এক চ্যালেঞ্জ। ঠিকভাবে পরিকল্পনা না করলে এই স্বাধীন জীবন দ্রুতই অনিশ্চয়তায় বদলে যেতে পারে। তাই শুরু করার আগে কিছু বিষয় ভেবে নেওয়া জরুরি।

বিশ্বের অন্যতম অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্কের ২০২৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন বিশ্বজুড়ে দক্ষ জ্ঞানভিত্তিক কর্মীদের প্রায় ২৮ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন। আবার পূর্ণকালীন চাকরিতে থাকা ৩৬ শতাংশ কর্মী ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার কথা ভাবছেন। বাংলাদেশেও এ প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা এখন ছয় লাখের বেশি। স্বাধীনভাবে কাজ করা যতটা আকর্ষণীয়, প্রস্তুতি ছাড়া নামলে ততটাই কঠিন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিন।

১. লক্ষ্য ঠিক করুন: পার্টটাইম না ফুলটাইম?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে স্পষ্ট করে ভাবুন, আপনি কি চাকরি ছাড়তে চান, নাকি বাড়তি আয় করতে চান? যদি লক্ষ্য হয় একটু বাড়তি আয়, তাহলে চাকরির পাশাপাশি কাজ শুরু করা ভালো। এতে আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অভিজ্ঞতাও বাড়বে। কিন্তু যদি পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেতে চান, তাহলে আগে থেকে পরিকল্পনা করা জরুরি। কত টাকা আয় করতে হবে, কোন ধরনের ক্লায়েন্ট টার্গেট করবেন, কীভাবে কাজ পাবেন—এসব প্রশ্নের উত্তর তৈরি রাখুন। স্পষ্ট লক্ষ্য না থাকলে ‘স্বাধীনভাবে কাজ’ করার পরও যেন আবার নতুন এক চাকরির চাপে পড়ে যাচ্ছেন।

২. বাজারের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন

সব দক্ষতার কাজ সব সময় সমানভাবে চাহিদাসম্পন্ন নয়। এখন কোন ক্ষেত্রগুলোয় কাজের চাহিদা বাড়ছে, সেটা জেনে রাখা দরকার। আপওয়ার্ক, ইভার বা লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফর্মে ঘুরে দেখুন কোন ধরনের প্রকল্প বেশি পোস্ট হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক সময়ে ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ডেটা অ্যানালিটিকস, ডিজিটাল মার্কেটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) কাজের চাহিদা বাড়ছে। শুধু দক্ষতা থাকলেই হবে না, বাজারে তার চাহিদা কতটা, সেটিও বুঝতে হবে। ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান দিতে পারলেই আপনি টিকে থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুনসোনালী-অগ্রণী-কৃষি-রূপালীসহ ১১ ব্যাংক নেবে সিনিয়র অফিসার, পদ ১০১৭০৮ অক্টোবর ২০২৫নিজ ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মেয়ে তৃষ্ণা দিও

সম্পর্কিত নিবন্ধ