কিডনি ভালো রাখতে পাঁচটি বদভ্যাস ত্যাগ করুন
Published: 19th, October 2025 GMT
ছোট ছোট বদভ্যাসের কারণে ক্রমে নষ্ট হতে পারে কিডনি। সকালে প্রস্রাবের চাপে পেট ফেটে আসে। তারপরেও কেউ কেউ বিছানা ছাড়তে চান না, প্রস্রাব চেপে রাখেন। একে কিডনির ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে পরবর্তীকালে অঙ্গটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। কিডনি ভালো রাখতে গেলে কোন কোন বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে জেনে নিন।
সকালে পানি পান না করা
রাতে খাবার খাওয়ার পর থেকে সকাল হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণের বিরতি থাকে। শরীর এবং কিডনি প্রায় পানিশূন্য অবস্থাতেই থাকে গোটা রাত। তাই শরীরকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হলে দিনের শুরু করতে হবে জল খেয়ে। অনেকেই ব্রাশ করে খালি পেটে চা-কফির মতো গরম পানীয়ে চুমুক দিতে পছন্দ করেন। তাতে কিন্তু শরীর আরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে। একইসঙ্গে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
আরো পড়ুন:
হাঁটার সময় না পেলে যে ব্যায়াম করতে পারেন
আজ প্রাক্তনকে ক্ষমা করার দিন
প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকা
ঘুমে ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, তাই প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকেন অনেকে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু কিডনির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। সারা রাত ধরে মূত্রাশয়ে প্রস্রাব জমে থাকার ফলে এমনিতেই তা স্ট্রেচ করে বড় হয়ে যায়। ঘুম ভাঙা মাত্রই মস্তিষ্ক সঙ্কেত পাঠায় তা খালি করার। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকলে উল্টে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয়ই বেশি।
খালি পেটে পেনকিলার খাওয়া
ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা বলছেন, সেই ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণে বেড়ে যায় যদি তা খালি পেটে খাওয়া হয়। পেনকিলার ওষুধের ডোজ় নির্ভর করে রোগীর বয়স, ওজন এবং ব্যথা-যন্ত্রণার তীব্রতা এবং প্রকারভেদের উপর। তা ছাড়াও রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই এই জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই খাওয়া যায় না।
শরীর আর্দ্র না রাখা
শরীরচর্চা, কায়িক পরিশ্রম করলে ঘাম হয়। শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণে জল এবং খনিজ বেরিয়ে যায়। তাই শরীরচর্চা পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই শরীরে জলের জোগান দেওয়া জরুরি। কিডনি থেকে টক্সিন দূর করতে এবং ডিহাইড্রেশন-জাতীয় সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে জল।
সকালে নাস্তা না খাওয়া
তাড়াহুড়োর চোটে অনেকেই সকালের নাস্তা গ্রহণ করেন না। এই অভ্যাসটিও কিন্তু কিডনির জন্য খারাপ। দিনের শুরুতে অর্থাৎ, সকালের নাস্তায় প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ব্যালান্সড ডায়েট থাকলে শরীর সব রকম পুষ্টি পায়। কাজেও এনার্জি আসে। আবার, কিডনির ওপর আলাদা করে কোনও রকম চাপ পড়ে না।
‘ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন’—এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে কিডনি ভালো রাখার বেশ কয়েকটি উপায় জানিয়ে দিয়েছে।
১.
২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
৩. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না
৪. NSAID- নামক ব্যথানাশক ওষুধ সেবণ করা যাবে না
৫. পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে
৬. ফ্লুর টিকা গ্রহণ করতে হবে
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন প রস র ব চ প ক ডন র
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন ডা. জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে এখন থেকে একমাত্র দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করবেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেল তাদের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন জামায়াত প্রার্থী তালেব
তারেক রহমান না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন নয়: তৌহিদ হোসেন
পোস্টে বলা হয়, “সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য গণমাধ্যমে উপস্থাপন করবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।”
মিডিয়া সেল থেকে অযাচিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। পোস্টে আরো বলা হয়, “অতএব, অযাচিত, যাচাইবিহীন বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া করুন।”
এই নির্দেশনার ফলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা অনানুষ্ঠানিক ও অসত্য তথ্য প্রচার হওয়ার সুযোগ কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত রবিবার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। এই বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও রয়েছেন।
লন্ডন থেকে বেগম জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান সর্বক্ষণ মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগে সমন্বয় করছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ