ভাঙার চিন্তা করে কেউ সংসার বাঁধে না: ফারিয়া
Published: 26th, October 2025 GMT
প্রায় দেড় মাস আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। কয়েক দিন আগে বর তানজিম তৈয়বের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে আনন্দে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি পোস্ট করেন ‘দেবী’খ্যাত এই তারকা। তারপর কটাক্ষের শিকার হন শবনম ফারিয়া। যদিও এ নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি।
শবনম ফারিয়া তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে বিয়ে-সংসার নিয়ে বেশ কিছু উপলদ্ধি ও ভাবনার কথা ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ
সৌম্যর এত প্রশংসা করবেন না, নজর লাগবে: ফারিয়া
শবনম ফারিয়া তার পোস্ট লেখেন, “একদিন ভেঙে যাবে—এটা চিন্তা করে কেউ বিয়ে করেন না। সবাই চেষ্টা করেন, ভালোবাসা দিয়ে, ধৈর্য দিয়ে, আশা নিয়ে সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে। আমরা যতই শক্তিশালী, শিক্ষিত বা সফল হই না কেন, হৃদয় সবসময় চায় আঁকড়ে ধরতে; যদি না সেখানে বিশ্বাসঘাতকতা থাকে।”
একটি সম্পর্ক ভাঙার পর ঘুরে দাঁড়াতে সাহস লাগে। এ তথ্য স্মরণ করে শবনম ফারিয়া লেখেন, “যারা একাধিক বিয়ে করেছেন, তারা তাদের অতীত নিয়ে গর্ব করেন না। একটি সম্পর্ক ভাঙার পর পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে প্রচণ্ড সাহস লাগে, ভালোবাসায় বিশ্বাস আর একসঙ্গে পথ চলার আশা লাগে। এটা শক্তির পরিচয়, লজ্জার নয়।”
অনুরোধ জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, “দয়া করে কাউকে বিচার করবেন না। গুজব ছড়াবেন না, কটু কথাও বলবেন না। আপনি জানেন না, মুখের হাসিটা ফিরিয়ে আনতে একজন মানুষ কতটা লড়াই করছেন। আপনি আপনার কথায় কোমলতা আনুন, হৃদয়ে দয়া রাখুন। কারণ জীবন আমাদের সবাইকে কোনো না কোনোভাবে নম্র করে দেয়, আর আমরা কেউই জানি না, আগামীকাল আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে।”
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচয় হয় শবনম ফারিয়ার। এরপর দুজনের মাঝে তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন ফারিয়া। এরপর অপু বিয়ে করলেও একা ছিলেন ফারিয়া।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন শবনম ফারিয়া। সেদিন বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই অভিনেত্রী। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র শবনম ফ র য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত সাজিদের দেখা মেলেনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। বুধবার থেকেই ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
আরো পড়ুন:
৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও দেখা যায়নি সাজিদকে
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
তানোরের এই এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে সাজিদ। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।
ক্যামেরা নামিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে পাননি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন শুরু করেন তারা। পর পর তিনটি স্কেভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।”
এদিকে, অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ