প্রায় দেড় মাস আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। কয়েক দিন আগে বর তানজিম তৈয়বের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে আনন্দে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি পোস্ট করেন ‘দেবী’খ্যাত এই তারকা। তারপর কটাক্ষের শিকার হন শবনম ফারিয়া। যদিও এ নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি।  

শবনম ফারিয়া তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে বিয়ে-সংসার নিয়ে বেশ কিছু উপলদ্ধি ও ভাবনার কথা ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী।  

আরো পড়ুন:

কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

সৌম‍্যর এত প্রশংসা করবেন না, নজর লাগবে: ফারিয়া

শবনম ফারিয়া তার পোস্ট লেখেন, “একদিন ভেঙে যাবে—এটা চিন্তা করে কেউ বিয়ে করেন না। সবাই চেষ্টা করেন, ভালোবাসা দিয়ে, ধৈর্য দিয়ে, আশা নিয়ে সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে। আমরা যতই শক্তিশালী, শিক্ষিত বা সফল হই না কেন, হৃদয় সবসময় চায় আঁকড়ে ধরতে; যদি না সেখানে বিশ্বাসঘাতকতা থাকে।” 

একটি সম্পর্ক ভাঙার পর ঘুরে দাঁড়াতে সাহস লাগে। এ তথ্য স্মরণ করে শবনম ফারিয়া লেখেন, “যারা একাধিক বিয়ে করেছেন, তারা তাদের অতীত নিয়ে গর্ব করেন না। একটি সম্পর্ক ভাঙার পর পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে প্রচণ্ড সাহস লাগে, ভালোবাসায় বিশ্বাস আর একসঙ্গে পথ চলার আশা লাগে। এটা শক্তির পরিচয়, লজ্জার নয়।” 

অনুরোধ জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, “দয়া করে কাউকে বিচার করবেন না। গুজব ছড়াবেন না, কটু কথাও বলবেন না। আপনি জানেন না, মুখের হাসিটা ফিরিয়ে আনতে একজন মানুষ কতটা লড়াই করছেন। আপনি আপনার কথায় কোমলতা আনুন, হৃদয়ে দয়া রাখুন। কারণ জীবন আমাদের সবাইকে কোনো না কোনোভাবে নম্র করে দেয়, আর আমরা কেউই জানি না, আগামীকাল আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে।” 

২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচয় হয় শবনম ফারিয়ার। এরপর দুজনের মাঝে তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন ফারিয়া। এরপর অপু বিয়ে করলেও একা ছিলেন ফারিয়া। 

গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন শবনম ফারিয়া। সেদিন বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই অভিনেত্রী। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র শবনম ফ র য়

এছাড়াও পড়ুন:

বল হাতে অ্যালানার ইতিহাস, দ. আফ্রিকাকে উড়িয়ে শীর্ষেই রইল অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যালানা কিং গড়লেন নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা বোলিং রেকর্ড। ইন্দোরে আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি মাত্র ১৮ রানে নেন ৭ উইকেট। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম কোনো সাত উইকেটের কীর্তি। তার ঘূর্ণি তোপে ২৪ ওভারে মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৬.৫ ওভারেই ৩ উইকেটে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।

এই কীর্তির মধ্য দিয়ে কিং ভেঙে দেন নিউ জিল্যান্ডের জ্যাকুলিন লর্ডের ১৯৮২ সালে ভারতের বিপক্ষে করা ৬ উইকেটের পুরনো রেকর্ডটি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে কিং বলেন, “উইকেট থেকে কিছুটা টার্ন আশা করেছিলাম। কিন্তু যতটা আদায় করতে পেরেছি, তাতে আমি খুশি। সবসময় উইকেট না পেলেও আমি জানি, দলে ভিন্ন ভূমিকা রাখতে পারি। শেষ কয়েক ম্যাচে শুধু প্রান্ত ধরে রাখার কাজ করেছি, আজ অস্ট্রেলিয়ার জন্য কাজটা সম্পন্ন করতে পেরে দারুণ লাগছে।”

আরো পড়ুন:

ভারতে অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটারকে শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১

রোহিতের সেঞ্চুরি আর কোহলির ব্যাটে ভারতের দাপুটে জয়

এটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। তাদের হয়ে অধিনায়ক লরা উলভ্যার্ট করেন সর্বোচ্চ ৩১ রান।

জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের মেরুদণ্ড ছিলেন বেথ মুনি (৪২) ও জর্জিয়া ভল (৩৮ অপরাজিত)। তাদের ব্যাটে সহজ জয় তুলে নেয় সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যাদের ঝুলিতে এখন রয়েছে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড।

এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া লিগ পর্ব শেষ করল ছয় জয় ও এক ‘নো রেজাল্ট’ নিয়ে শীর্ষে থেকে। তারা সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারতের, নাবি মুম্বাইয়ে আগামী বৃহস্পতিবার।

দক্ষিণ আফ্রিকা আপাতত দ্বিতীয় স্থানে আছে পাঁচ জয় নিয়ে। তবে ইংল্যান্ড যদি রোববার বিশাখাপত্তনমে নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে পারে, তবে প্রোটিয়ারা নেমে যেতে পারে তৃতীয় স্থানে। সেদিনই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হবে লিগ পর্বের খেলা।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। ওপেনার তাজমিন ব্রিটস ও অধিনায়ক উলভ্যার্ট যোগ করেন ৩২ রান। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ধস।

মেগান শুট ফেরান উলভ্যার্টকে, আর কিম গার্থ বোল্ড করেন ব্রিটসকে (৬)। এরপর নামেন অ্যালানা কিং এবং শুরু হয় প্রোটিয়াদের পতন। ৪২-২ থেকে ৬ ওভারে দল নেমে যায় ৬০-৬-এ! কিং সেই সময়টায় নেন টানা চার উইকেট, তাও বিনা রানে!

১২তম ওভারে তিনি এক ওভারেই ফেরান সুনে লুয়েস (৬) ও মারিজান ক্যাপকে (০)। এরপর ১৬তম ওভারে আরও দুটি পরপর বলে। আনরি ডের্কসেনকে বোল্ড আর ক্লোয়ি ট্রায়নকে শূন্যতে ক্যাচ করান। হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হলেও ১৮তম ওভারে ফেরান সিনালো জাফতাকে (১৭ বলে ২৯)। ২০তম ওভারে মসাবাতা ক্লাসকে বোল্ড করে তিনি হয়ে যান প্রথম অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার, যিনি বিশ্বকাপে ছয় উইকেট নিয়েছেন। শেষ উইকেট হিসেবে নাদিন ডি ক্লার্ককে (১৪) ফেরান তিনি। আর তাতেই শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস। আর এ স্পেলের মাধ্যমে কিং ভেঙে দেন সতীর্থ এলিস পেরির ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা ৭-২২ রেকর্ডও।

মাত্র ৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিচফিল্ড (৫) ও পেরি (০) দ্রুত ফিরলেও ভল ও মুনি ৬৫ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে পৌঁছে দেন জয়ভূমিতে।

এই জয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার টানা নবম পরাজয়। এখনো পর্যন্ত প্রোটিয়ারা একবারও হারাতে পারেনি বিশ্বকাপের সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • বড় জয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ড, বিদায়ী ম্যাচে হারে শেষ সোফির
  • কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ
  • ব্রুকের ‘ওয়ান ম্যান শো’ ছাপিয়ে ‘মিলেমিশে’ জিতল নিউজিল্যান্ড
  • খালিশপুরের মিঠাপানির শুশুক
  • ঘুম কেন এতো জরুরি?
  • বল হাতে অ্যালানার ইতিহাস, দ. আফ্রিকাকে উড়িয়ে শীর্ষেই রইল অস্ট্রেলিয়া
  • শিল্পকলায় নোবেল জয়ী নাট্যকারের ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’
  • রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে ডুবে একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যু