বিএসইসি’র স্বায়ত্তশাসন দরকার: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
Published: 23rd, October 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) স্বায়ত্তশাসন দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক স্বায়ত্তশাসন পেলে বিএসইসিও পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্ঠার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পুঁজিবাজার অংশীজনদের সাথে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চতুর্থ মাসিক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
বিএমআরই ও কোম্পানি অধিগ্রহণ করবে স্কয়ার টেক্সটাইলস
৪ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি’র মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি’র কমিশনার মু.
বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় অংশীজনদের সাথে পুঁজিবাজার সংস্কারে গৃহীত উদ্যোগের অগ্রগতি এবং নতুন বিধিমালাসমূহের বাস্তবায়ন, সার্ভেইল্যান্সের আধুনিকায়ন, পুঁজিবাজারের বিদ্যমান বাজার কাঠামোর আধুনিকায়ন ও সেটেলমেন্টের সময় হ্রাস এবং রেকর্ড ডেটে ট্রানজেকশন, পুঁজিবাজারে স্ক্রিপ্ট নেটিং চালুকরণ, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ফিউচারস মার্কেট চালুকরণ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে উন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এপিআই কানেকটিভিটি বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারের সাইবার নিরাপত্তাসহ পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের মানসিকতা পাল্টাতে হবে। গণতান্ত্রিক ও সততা চর্চা করতে হবে ও সামষ্টিক স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। সকলের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে এবং পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনতে হবে। কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থা বুঝে কাজ করতে হবে এবং গুজব ছড়াতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যায় বিএসইসি’র স্বায়ত্তশাসন দরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক স্বায়ত্তশাসন পেলে বিএসইসিও পাবে। সেইসাথে তিনি সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) এর রেজিস্ট্রেশন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে এবং একে দ্রুত কার্যকরী করার নির্দেশনা দেন।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারের সংস্কার ও উন্নয়নে কমিশনের উদ্যোগ-কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫; মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫ ও পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ রুলস, ২০২৫ এর কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুতই এগুলোর কাজ সম্পন্ন হবে যার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের আইনি সংস্কারের বড় অংশ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
মার্জিন বিধিমালা সম্পর্কে তিনি বলেন, অতি সত্ত্বর গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে, তবে শঙ্কার কারণ নেই। আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শের আলোকে নতুন মার্জিন বিধিমালা পরিমার্জন করেছি। এছাড়া বিধিমালা কার্যকরের পরও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমন্বয় এর জন্য ন্যূনতম ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় থাকবে।
বিএসইসি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিতে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান তিনি। এছাড়া বিএসইসির চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত, পরামর্শ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরার জন্য বাজার অংশীজনদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন।
সভায় অংশীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এর চেয়ারম্যান মো. মোমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশের (সিসিবিএল) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক নাবিল জসিম আহমদ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মোতালেব, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম খায়রুজ্জামান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন, ডিএসই’র পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও ও মিনহাজ মান্নান ইমন, বিএপিএলসি’র পরিচালক ও নির্বাহী সদস্য মো. কায়সার হামিদ, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, ভিআইপবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও শহীদুল ইসলাম, সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন, আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও মাহমুদা আক্তার, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক উর ট জ অ শ জনদ র ব এসইস অ শ জন ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ বছর পর আবারও বিশ্ব সাইবার গেমসে বাংলাদেশ
বিশ্ব সাইবার গেমস (ডব্লিউসিজি) ২০২৫ গ্লোবাল ফাইনালের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে ই-স্পোর্টস বাংলাদেশ। ই-স্পোর্টস বাংলাদেশ ডব্লিউসিজির বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
১৫ বছর পর বাংলাদেশ আবারও ফিরে যাচ্ছে বৈশ্বিক ই–স্পোর্টসের মূল মঞ্চে। ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ডব্লিউসিজি ক্রিয়েটর রামবেল: গ্লোবাল ফাইনালস ২০২৫ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বাংলাদেশের চারজন প্রতিযোগী।
বাংলাদেশ দলে আছেন মো. সৈকত ইসলাম (গেমিং নাম ইটজ কাব্য, কুষ্টিয়া), নয়ন হোসেন (এপোলো গেমিং, যশোর), মো. রায়হান (হেডশট কিং, নারায়ণগঞ্জ) ও মো. তানভীর আহমেদ (টাইমবার্নার জিজি, ঢাকা)।
ই-স্পোর্টস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সুমিত সাহা বলেন, ‘অবশেষে বহুদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেল। ১৫ বছর পর বাংলাদেশ আবারও বিশ্ব সাইবার গেমসে অংশ নিচ্ছে—এটি আমাদের দেশের গেমিং সম্প্রদায়ের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন। এখন সময় এসেছে আমাদের প্রতিভা, পরিশ্রম, আবেগ এবং সৃজনশীলতাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার।’
ই-স্পোর্টস বাংলাদেশ আশা করছে, এই আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ তরুণ প্রজন্মের ক্রিয়েটর সংস্কৃতি, ই–স্পোর্টস শিল্প এবং ডিজিটাল প্রতিভা উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বাংলাদেশকে বৈশ্বিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে।