খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ২০ দিনে ১২ শিশুর মৃত্যু
Published: 23rd, October 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে জ্বর, সর্দি এবং কাশিসহ নানা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের। গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছেন সহস্রাধিক শিশু রোগী। গত ২০ দিনের ব্যবধানে এই হাসপাতালে ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন নিউমোনিয়ায় মারা গেছে।
খাগড়াছড়িতে এখন দিনের বেলায় গরম থাকলেও রাতের শেষ ভাগে শীত অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পাহাড়ের দুর্গম গ্রামগুলোতে। ফলে বেশি বিপাকে পড়ছেন সেখানকার মানুষজন। ঋতু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার তারতাম্যের জন্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বিশেষ করে তারা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
একনেকে মানসিক হাসপাতালের উন্নয়নে প্রকল্প পাসে খুশি পাবনার মানুষ
খাগড়াছড়িতে ড্রেন থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার চারগুণ বেশি শিশু রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সরা। ১৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকছে ৫০-৬০ জন। প্রতিদিন বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে কয়েকশ রোগী। হাসপাতালের শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ফ্লোরে রেখে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, “এই মাসের প্রথম দিক থেকে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। গত ২০ দিনে ১২ শিশু মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ছয়জনে মারা গেছে নিউমোনিয়ায়। বাকিরা ঠান্ডাজনিত এবং অন্য রোগে মারা গেছে।”
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগারগাঁওয়ে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে একটি বাসায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে এ আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মো. জলিল মিয়া (৫০), তাঁর স্ত্রী আরনেজা বেগম (৪০), ছেলে আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬), মেয়ে মনিরা (১৭) ও নাতনি ইভা (৬)। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়।
হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ জলিল মিয়ার মেয়ের জামাই মো. আফরান মিয়া বলেন, তাঁদের বাসা টিনশেডের। ভোর সাড়ে চারটার দিকে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। তাঁরা সবাই ঘুমিয়েছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিরা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।