ক্রিকেট
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
তৃতীয় ওয়ানডে
সরাসরি, দুপুর ১টা ৩০ মিনিট;
টি স্পোর্টস টিভি।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা
দ্বিতীয় টেস্ট (চতুর্থ দিন)
সরাসরি, বেলা ১১টা;
এ স্পোর্টস ও টি স্পোর্টস।
নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ
ভারত-নিউ জিল্যান্ড
সরাসরি, বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট;
স্টার স্পোর্টস ১।
নিউ জিল্যান্ড-ইংল্যান্ড
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
সরাসরি, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট;
টেন ১।
অস্ট্রেলিয়া-ভারত
দ্বিতীয় ওয়ানডে
সরাসরি, সকাল ৯টা ৩০ মিনিট;
স্টার স্পোর্টস ১।
ফুটবল
ইউরোপা লিগ
রোমা-ভিক্টোরিয়া প্লজেন
সরাসরি, রাত ১টা;
টেন ১।
নটিংহাম ফরেস্ট-পোর্তো
সরাসরি, রাত ১টা;
টেন ২।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন কিশোর গ্যাং নেতা, রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল
চুরি, ছিনতাইয়ের মাধ্যমে অপরাধে হাতেখড়ি। এরপর জড়িয়ে পড়েন মাদক কারবারে। আধিপত্য বজায় রাখতে গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। নামের সঙ্গে যুক্ত হয় কিশোর গ্যাং নেতা। পুলিশের খাতায় তোলেন নাম। ছিনতাই, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদকের ২০টি মামলাও হয় তাঁর বিরুদ্ধে। চাঁদা আদায় ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে কথায় কথায় প্রকাশ্যে ছোড়েন গুলি। রয়েছে ‘টর্চার সেল’ও। চট্টগ্রামের আলোচিত এই ‘সন্ত্রাসীর’ নাম শহীদুল ইসলাম। এলাকার মানুষ ও পুলিশের কাছে তিনি পরিচিত বুইস্যা নামে।
চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ শহীদুল ওরফে বুইস্যা চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। পুলিশ বলছে, মাদক বিক্রি ও চাঁদাবাজির টাকা দ্রুত গুনতে তাঁর রয়েছে টাকা গণনার যন্ত্র। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর কথা বলছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁর কিছু সহযোগী গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
শহীদুল ইসলাম বুইস্যা ও তাঁর বাহিনীর লোকজন চাঁদা না পেলেই গুলি ছোড়েন। এই কারণে চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকেন। সর্বশেষ ৪ অক্টোবর বুইস্যার সহযোগী মুন্না পাঁচলাইশ বাদুরতলা এলাকায় একটি গ্যারেজের সামনে গুলি ছোড়েন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিজয় চৌধুরীর গ্যারেজের সামনে এসে হুমকি দিতে থাকেন মুন্না। একপর্যায়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। পরবর্তী সময়ে গ্যারেজ মালিকসহ আশপাশের লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে মুন্না পালিয়ে যান।কে এই বুইস্যাভোলার দৌলতখান থানা সদরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যা। চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম ষোলোশহর এলাকায় থাকেন তিনি। পড়াশোনা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। কোনো রকমে নিজের নামটি লিখতে পারেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সমাবেশে দলবল নিয়ে যোগদান করতেন তিনি। সেসবের ছবি, ভিডিও রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নিজেকে পরিচয় দিতেন নিষিদ্ধ সংগঠন নগর ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে। তবে কোনো পদে ছিলেন না।
পুলিশ জানায়, শুরুতে চুরি, ছিনতাই করতেন। গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগিয়ে জটলা পাকিয়ে লোকজনের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতেন। পরে হাতে তুলে নেন অস্ত্র। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি করে আসছেন।
গত বছরের মার্চে নগর পুলিশের করা এক জরিপে উঠে আসে, চট্টগ্রাম নগরে সক্রিয় প্রায় ২০০ কিশোর গ্যাং। এসব গ্যাংয়ের সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জনের মতো। গত ছয় বছরে ৫৪৮টি অপরাধের ঘটনায় কিশোর গ্যাং জড়িত। তাঁদের প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় ৬৪ ‘বড় ভাই’ থাকার কথা সেই জরিপে উঠে আসে। তালিকায় শহীদুল ওরফে বুইস্যার নামও রয়েছে।
অস্ত্রসহ ধরা পড়া সন্ত্রাসী শহীদুলের সহযোগীরা