থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারো উত্তেজনা
Published: 13th, November 2025 GMT
থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ট্রাম্প-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার কয়েকদিন পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
জুলাই মাসে পাঁচ দিন ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক দশকের মধ্যে সীমান্তে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে ৪৩ জন নিহত এবং তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের তত্ত্বাবধান করেন।
থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি সোমবার থেকে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। কারণ ওই দিন সীমান্তে টহলরত একজন থাই সেনা স্থলমাইন বিস্ফোরণে একটি পা হারিয়ে ফেলে।
থাইল্যান্ড বিস্ফোরণের জন্য কম্বোডিয়াকে দায়ী করেঅভিযোগ করেছে যে স্থলমাইনটি নতুনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর চুক্তির শর্তাবলী স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুই দেশের কর্মকর্তরাই থাইল্যান্ডের সা কাইও প্রদশে এবং কম্বোডিয়ার বান্তে মিনচে প্রদেশে গুলি বিনিময়ের কথা জানিয়েছেন।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমে প্রে চানে তিনজন বেসামরিক নাগরিক আহত এবং একজন নিহত হয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই পদক্ষেপ মানবিক চেতনা এবং সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য সাম্প্রতিক চুক্তির পরিপন্থী।”
থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুভারি জানিয়েছেন, “থাই ভূখণ্ডে গুলি চালানোর” জন্য কম্বোডিয়ার সেনারা দায়ী।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিয়ার জন্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রাম্প
সিরিয়াকে সফল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সাথে ঐতিহাসিক আলোচনার পর তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
আহমেদ আল-শারার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার কমান্ডার ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে বিদেশী সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। তবে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে তিনি নিজেকে একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি তার যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটাতে চান।
ওয়াশিংটন সফরে শারার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল কঠোরতম মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো সম্পূর্ণরূপে অপসারণের জন্য চাপ দেওয়া। ট্রাম্পের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সময়, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর করার স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১৮০ দিনের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প শারাকে একজন ‘শক্তিশালী নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করেন এবং তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প বলেছেন, “সিরিয়াকে সফল করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
শারার বিতর্কিত অতীতকে সমর্থন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমাদের সবারই কঠিন অতীত ছিল।”
ঢাকা/শাহেদ