হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কর্মবিরতির ডাক
Published: 18th, November 2025 GMT
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীরা আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা না হলে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন:
সাভারে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮
রোগী সেজে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান দুদকের
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.
গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে সিরিয়াল ভেঙে এক রোগীকে এক্সরে রুমে নেওয়ার চেষ্টা করেন তার স্বজনরা। সুযোগ না দেওয়ায় পিয়াল হোসেন নামে হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধরের করা হয়। ঘটনার পর পিয়াল বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে পৌর শহরের হাসননগরের বাসিন্দা আপ্তাব উদ্দিনের দুই ছেলে ফরহাদ ও শিমুলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বক্তারা জানান, হাসপাতালের একটি রুমে ঢুকে কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। কোনো সরকারি কর্মচারীর গায়ে হাত তোলার অধিকার কারো নেই। নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে দাবি করে বক্তারা চিকিৎসক-কর্মচারীদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে তারা কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে রবিবার (১৬ নভেম্বর) পৃথকভাবে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
বেরোবিতে যৌন হয়রানিকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি
সাংবাদিক শামছুলের বিরুদ্ধে করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহার দাবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে কুবির ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে গণিত বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর এ কে এম কামরুল হাসান বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অপানি বৈষম্যবিহীন এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। কিন্তু আমাদের পেটে যদি ভাত না থাকলে দুর্নীতি না, এর চেয়ে ভয়ংকর কিছু করতে বাধ্য হব। আমাদের যদি দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চান তাহলে নবম পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করেন।”
তিনি আরো বলেন, “আপনারা যদি কর্মচারীদের এভাবে দাবিয়ে রাখেন তাহলে দেশ অচল হয়ে যাবে। সবসময় দেশ দুর্নীতিতে প্রথম হবে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য দেশের কর্মচারীদের একটি মানসম্মত পে-স্কেল দিতে হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে।”
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. মাসুদ আলম বলেন, “কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা পে কমিশন গঠন করেন এবং বাংলাদেশের পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। তখন থেকেই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যেই আমরা একটি প্রজ্ঞাপন চাই। কিন্তু এই সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন নানা রকম অজুহাতে।”
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে প্রহসন চলছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, “নবম পে-স্কেল আমাদের প্রাণের দাবি। কমিশন গঠন করেছেন আপনারা, নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন আপনারা। নতুন পে-স্কেল আপনারাই বাস্তবায়ন করবেন।”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির উদ্যোগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষিত অষ্টম পে–স্কেলে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ২০ থেকে ১৯ গ্রেডে বেতন বেড়েছে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। অথচ ১১ থেকে ১০ গ্রেডে এই পার্থক্য ছিল ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত।
এমনকি ওপরের দিকের কিছু গ্রেডে ১০ হাজার টাকারও বেশি ব্যবধান তৈরি করা হয়েছে দাবি করে কর্মচারী নেতারা বলেন, সাধারণত প্রতি ৫ বছর অন্তর নতুন পে–স্কেল দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের পর দীর্ঘ ১০ বছরেও নতুন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কর্মচারীরা বিশেষ আশাবাদী ছিলেন। সরকার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করলেও বর্তমানে বলা হচ্ছে—এই সরকারের সময় পে–স্কেল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বক্তারা সরকারের এমন অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানান।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম কাজলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
গত জুলাই মাসে নতুন পে কমিশন গঠন করা হয় এবং এই কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। তবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, এখন হচ্ছে না নতুন পে স্কেল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে আগামী নির্বাচিত সরকার।
ঢাকা/এমদাদুল/মুজিবুর/মেহেদী