রূপ খুলেছে সেন্ট মার্টিন, অপেক্ষা এখনো পর্যটকের
Published: 10th, November 2025 GMT
২ / ৯সমুদ্রের গর্জন আছে, কিন্তু পর্যটক নেই বলে সেন্ট মার্টিন সৈকতে নেই কোলাহল
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাজিরায় খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার তাহের মল্লিককান্দি গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্বজনেরা বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করেন।
মারা যাওয়া দুই শিশুর নাম সাদমান ইসলাম (৩) ও আবদুল্লাহ (৩)। সাদমান তাহের মল্লিককান্দি গ্রামের দুলাল মল্লিকের ছেলে। আবদুল্লাহ ময়মনসিংহের আবু নাঈমের ছেলে। তাহের মল্লিককান্দি গ্রামে আবদুল্লাহর নানাবাড়ি।
জাজিরার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা সূত্র জানায়, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল মল্লিক ঢাকায় ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। তাঁর স্ত্রী সাবিনা আক্তার শিশু সাদমানকে নিয়ে গ্রামে বসবাস করেন। ময়মনসিংহের আবু নাঈম স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিশু আবদুল্লাহকে নিয়ে বাবার বাড়ি তাহের মল্লিককান্দি গ্রামে বেড়াতে আসেন। সোমবার সকালে শিশু দুটি বাড়ির উঠানে খেলছিল। খেলতে খেলতে তারা বাড়ির পেছনের পুকুরে পড়ে যায়। তাদের দেখতে না পেয়ে স্বজনেরা খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে শিশু দুটির লাশ পানিতে ভাসতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে স্বজনেরা পানি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেন।
সাদমান ইসলামের চাচা রেজাউল মল্লিক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ছোট ছেলে সাদমান পানিতে ডুবে মারা গেল। আর আবদুল্লাহ সম্পর্কে আমার নাতি। সকালে তারা খেলা করছিল। ঘটনার সময় তাদের মায়েরা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় কেউ তাদের পুকুরে যেতে দেখেনি। এ দুঃখজনক ঘটনা আমাদের পরিবারের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জুলফিকার আলী মুন্সি প্রথম আলোকে বলেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের কবরস্থানে দুই শিশুকে দাফন করা হবে।