বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে জুবিন গার্গের শেষ সিনেমা
Published: 10th, November 2025 GMT
ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ৫২ বছর বয়সে মারা যান তিনি। প্রিয় শিল্পীর আকস্মিত মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন তার লাখ লাখ ভক্ত-অনুরাগীরা। জুবিন কেবল গায়ক নন, একজন অভিনেতাও। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই শিল্পী।
গত ৩১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জুবিন অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘রই রই বিনালে’। রাজেশ ভূঁইয়া নির্মিত আসামি ভাষার সিনেমাটি মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়ছেন দর্শকরা। ১০ দিনে কত টাকা আয় করেছে সিনেমাটি?
আরো পড়ুন:
নতুন ভার্সন নিয়ে ফিরলেন ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত ভুবন
‘যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি’
স্যাকনিল্কের তথ্যমতে, ‘রই রই বিনালে’ সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে আয় করে ১.
৬ষ্ঠ দিনে সিনেমাটি আয় করে ১.৫ কোটি রুপি, সপ্তম দিনে আয় করে ১.৩৩ কোটি রুপি, অষ্টম দিনে আয় করে ১.০৬ কোটি রুপি, নবম দিনে আয় করে ১.৩৯ কোটি রুপি, দশম দিনে আয় করে ১.৫৪ কোটি রুপি। ১০ দিনে সিনেমাটি ভারতে আয় করে ১৫.৪৭ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৭.৯৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা)।
সিনেমাটিতে ব্যবহৃত ৮০-৯০ শতাংশ সংলাপ ও গানই জুবিনের নিজের গলার, যা ল্যাপেল মাইকে রেকর্ড করা হয়েছিল। ফলে দর্শকরা আবারো প্রেক্ষাগৃহে শুনতে পারছেন সেই অনন্য কণ্ঠ।
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুবিন গার্গ, মৌসুমী আলিফা, জয় কাশ্যপ, জয়শ্রী ভূঁইয়া প্রমুখ। ৫ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন জুবিন গার্গ ও তার স্ত্রী গরিমা গার্গ।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মাইকিং
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সতর্কতা বিষয়ে মাইকিং শুরু করেছে। সাত কর্মদিবসে এই মাইকিং চলবে। যাতে নগরবাসী ডেঙ্গু মহামারী থেকে রক্ষা করতে পারে।
নাসিক এর স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিয়া ইসলাম জানান, নাসিক এর প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর নির্দেশে নাসিক এর সকল ওয়ার্ডে ডেঙ্গু বিষয়ে মাইকিং চলছে।
মাইকিং করে বলা হচ্ছে, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাস। এডিস নামক মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষার একমাত্র উপায় হলো এডিস মশার জন্মস্থল ধ্বংস করা এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা। এডিস মশা সাধারণত ঘরের ভেতরে ও আশেপাশের জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পারে।
এডিস মশার বিস্তার রোধে আপনার বাড়ির ভেতর এবং চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ফুলের টব, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদিসহ পরিত্যক্ত যে কোনো পাত্রে পানি জমা থাকলে প্রতি তিনদিনের মধ্যে অবশ্যই পরিষ্কার করুন।
বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, বারান্দা, গ্যারেজের কোথাও পানি জমতে দিবেন না এবং জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। অপ্রয়োজনীয় ও পরিত্যক্ত পাত্র সরিয়ে ফেলুন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নিয়মিতভাবে সকালে স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে লারভিসাইড এবং বিকালে ফগার মেশিনের সাহায্যে অ্যাডাল্টিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিকালের ফগিং কার্যক্রমে প্রচুর ধোয়া নির্গত হয়, এ ধোয়া থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়োজিত কর্মীদেরকে আপনার বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, ব্যবসা কেন্দ্রের বেসমেন্ট এবং ছাদে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করুন।
ডেঙ্গু মৌসুমে শরীরের বেশির ভাগ অংশ এবং হাত পা ঢাকা থাকে এমন কাপড় পরিধান করুন। দিনে এবং রাতে বিশ্রাম অথবা ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন।
আপনার বাড়ির আঙ্গিনা স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে আপনার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সহযোগিতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডেঙ্গু মৌসুমে জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করুন ও চিকিৎসা গ্রহণ করুন। নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বল্পমূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেখানে পরীক্ষা করুন।
গর্ভবর্তী মা, নবজাতক শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
এই রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এডিস মশার জন্মস্থল ধ্বংস করা এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা। নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করুন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আপনার অংশগ্রহণ-ই পারে, আপনার পরিবার ও নগর নিরাপদ রাখতে। মশার উৎসস্থল ধ্বংস করি, ডেঙ্গু মুক্ত দেশ গড়ি।