2025-07-29@08:10:32 GMT
إجمالي نتائج البحث: 48
«জ এইচএফ»:
যখন কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়, তখন তা শুধু ক্ষুধার নয়, বরং সমাজের ভাঙনেরও প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। এ অবস্থায় মানুষ আবর্জনার স্তূপ থেকে খাবার খুঁজে আনে। কেউ গোপনে রান্না করে; কেউ আত্মীয়দের থেকে খাবার লুকিয়ে রাখে, কোনো পরিবার হয়তো খাবারের জন্য তাদের দাদিমার গয়না বিক্রি করে দেয়। দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মুখে কোনো অনুভূতি থাকে না। তাদের চোখে থাকে ফাঁপা দৃষ্টি। মানুষ পশুর মতো খাবারের জন্য লড়াই করে। এটিই হলো সামাজিক অবক্ষয় ও অপমানের চরম রূপ। এটিই হলো মানবিক মর্যাদার বিলোপ। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আজকের গাজাবাসী যাচ্ছে। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ নামে একটি নতুন সংস্থা (যেটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে মে মাসে যাত্রা শুরু করে) নিজেদের কার্যক্রমকে একুশ শতকের আধুনিক ও সহানুভূতিশীল সংস্থা বলে দাবি করছে। তারা বলছে, তাদের চারটি...
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে এখন পর্যন্ত ১২৭ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ৮৫ জনই শিশু। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে এসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে।গত মার্চে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, এতে যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ বাড়বে। কিন্তু সে মাসের শেষদিকে ইসরায়েল নিজেরাই একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয়।চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল সরকার গাজার পরিস্থিতির জন্য জাতিসংঘকে দায়ী করেছে। এমনকি তারা অভিযোগ করেছে, হামাসের সঙ্গে মিলে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা মানুষের কাছে খাবার পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিক রেডিও কান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নষ্ট হওয়ায় কিংবা মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় এক হাজার ট্রাক ত্রাণসামগ্রী জ্বালিয়ে দিয়েছে বা মাটিচাপা দিয়েছে।তবে এবারই প্রথম নয়, ইসরায়েল আগেও গাজায় ত্রাণ ঢুকতে...
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ অভুক্ত অবস্থায় দিন পার করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ইসরাইলের টানা অবরোধের কারণে পুরো গাজায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় অপুষ্টি বেড়েই চলেছে। ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা দরকার। আরো পড়ুন: ‘আমরা মরে যাচ্ছি’, গণঅনাহারে বৈশ্বিক নীরবতায় গাজার ধিক্কার সংস্কৃতি উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে অনাহারে ভুগে অপুষ্টিজনিত কারণে নতুন করে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ১২২ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে অন্তত ৮৩ জনই শিশু।। গাজার সব সরবরাহ প্রবেশ পথের নিয়ন্ত্রণে...
উপকূলীয় অঞ্চল ঘিরে ইসরায়েলের অবিরাম অবরোধের মধ্যে আরো মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ায় গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা সাহায্যের জন্য আকুতি জানাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে অনাহারে ভুগে অপুষ্টিজনিত কারণে নতুন করে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২২ জনে, যার মধ্যে অন্তত ৮৩ জনই শিশু। আরো পড়ুন: ‘আজ তুমি কিছু খেয়েছো?’ গাজায় অনাহার আর টিকে থাকার গল্প গাজা যুদ্ধে প্রশ্নের মুখে বিবিসির সম্পাদকীয় নীতি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমরা জরুরিভিত্তিতে দুর্ভিক্ষের অবসান, সব সীমান্তপথ খুলে দেওয়া এবং এখনই শিশুদের জন্য দুধ সরবরাহের অনুমতি দাবি করছি; সঙ্গে প্রতিদিন ৫০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক ও ৫০টি জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।” “আমরা এই...

গাজায় ‘অনাহারের মাধ্যমে জাতিগত নিধন’ চালাচ্ছে ইসরায়েল, দ্রুত মারা যাবে শিশুরা: দুর্ভিক্ষ–বিশেষজ্ঞ ডি ওয়াল
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ‘অনাহার সৃষ্টির মাধ্যমে জাতিগত নিধন’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খ্যাতনামা দুর্ভিক্ষ–বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালেক্স ডি ওয়াল। উপত্যকাটিতে অবরোধের মাধ্যমে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর ২১ মাসের বেশি সময়ে গাজায় অন্তত ১২২ ফিলিস্তিনি অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন, তাঁদের অধিকাংশই শিশু। এ ছাড়া গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামের বিতর্কিত একটি সংস্থার ত্রাণকেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।গাজায় জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে টানা ১১ সপ্তাহের অবরোধের পর গত ২৬ মে কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি। শুরু থেকেই সংস্থাটির কার্যক্রমের সমালোচনা করে আসছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। জিএইচএফের দেওয়া খাবারের মান ও পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।গত মঙ্গলবার মিডল ইস্ট আইয়ের...
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একাধিক হামলায় গতকাল শনিবার অন্তত ১১০ জন নিহত হয়েছেন।হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, নিহত এই ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন দক্ষিণ রাফায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের’ (জিএইচএফ) ত্রাণকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ। তাঁরা খাবারের আশায় সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।এসব হামলা এমন সময় চালানো হলো, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে কাতারে চলমান আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে এবং উপত্যকার পুরো জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিন্দা ক্রমে বাড়ছে।রাফার আল-শাকুশ এলাকায় জিএইচএফের ওই ত্রাণকেন্দ্রের সামনে ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি গুলি ছুড়েছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থলটিকে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো ‘মানব হত্যাযজ্ঞের কেন্দ্র’ ও ‘মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।আরও পড়ুনগাজায় ছয় সপ্তাহে ত্রাণ নিতে যাওয়া ৭৯৮ জনকে হত্যা১১ জুলাই ২০২৫আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া সামির...
গাজায় চরম খাদ্যাভাব আর ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার মুখে প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে অভুক্ত থেকে; রোগে ও বিমান হামলায়। হাসপাতালে চিকিৎসক ও ওষুধের তীব্র সংকট। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মারা যাচ্ছেন ধুঁকে ধুঁকে। পুরো উপত্যকা যেন এক বৃহৎ গোরস্তান। এসব ঘটছে অনেকটা প্রকাশ্যে। এ গণহত্যা থামাতে বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উদ্যোগ নেই। উল্টো তারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস (ওএইচসিএইচআর) জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন-জিএইচএফের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছেন। গত মে মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের বারণ সত্ত্বেও মানবাধিকার সংস্থার নামে জিএইচএফ গাজায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে এ সংগঠনটি...
গাজায় একমুঠো খাবারের আশায় ত্রাণকেন্দ্রে ছুটে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতা থামছে না। গত ছয় সপ্তাহে ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়া এমন অন্তত ৭৯৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিতর্কিত এই ত্রাণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।গাজায় জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করে গত ২৬ মে। এর আগে টানা ১১ সপ্তাহ উপত্যকাটিতে ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েল। জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্র এমন সব স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা মোতায়েন রয়েছেন। সংস্থাটির দেওয়া খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শুরু থেকেই জিএইচএফের ত্রাণ কার্যক্রমের সমালোচনা করে আসছে জাতিসংঘ।গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জনকে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬১৫...
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান মানবিক সংকটের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ শেষ করতে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে উপনীত হতে না পারলে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নিতে পারে।গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে বক্তৃতাকালে ল্যামি গাজায় ত্রাণ বিতরণের নতুন ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু জিএইচএফের কয়েকটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনার পর সংগঠনটির তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু জিএইচএফের কয়েকটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনার পর সংগঠনটির তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।মঙ্গলবার ল্যামি বলেন, ‘আমরা খুবই স্পষ্ট করে বলছি, ত্রাণ বিতরণের জন্য গঠিত এ সহায়তা ফাউন্ডেশনকে আমরা...
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গটি কিছুদিন ধরে আবারও জোরালোভাবে সামনে এসেছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে বলেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি হয়েছে এবং আলোচকেরা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের পথ বের করতে আলোচনায় বসতে পারেন।ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। আর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের কিছু দাবি ‘অগ্রহণযোগ্য’। তবে এরপরও তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছেন।আজ সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎ করার কথা আছে। বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প চাইছেন যেন একটি চুক্তি হয়।গত শনিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আগামী সপ্তাহেই গাজার ব্যাপারে একটি চুক্তি হতে পারে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, হামাস পাল্টা কী প্রস্তাব দিয়েছে, সে ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি জানেন না।...
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ও ইসরায়েলসমর্থিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কয়েক সপ্তাহে ত্রাণ নিতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও চার হাজার ৮৯১ জন। গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গাজায় মে মাসের শেষ দিক থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে জিএইচএফ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জিএইচএফের কেন্দ্রগুলোতে হামলায় অন্তত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ৮৯১ জন আহত হয়েছেন। এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে আলোচনা চললেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামেনি। আজ রোববার ভোরেও গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জিএইচএফ ইতিমধ্যে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংস্থাটির কর্মীদের পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনীও ত্রাণ নিতে...
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এবং ইসরায়েল–সমর্থিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে ভিড় করা মানুষের ওপর নির্বিচার হামলার অভিযোগ বাড়ছে। সেখানে কয়েক সপ্তাহে ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায় সাড়ে ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।মে মাসের শেষ দিক থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করে জিএইচএফ। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, জিএইচএফের কেন্দ্রগুলোতে হামলায় অন্তত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ৮৯১ জন আহত হয়েছেন।এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে আলোচনা চললেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামেনি। রোববার ভোরেও গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।জিএইচএফ ইতিমধ্যে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংস্থাটির কর্মীদের পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনীও ত্রাণ নিতে আসা...
গাজায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের সাবেক এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, তিনি একাধিকবার এসব কেন্দ্রে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে দেখেছেন। ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মীরা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর মেশিনগানসহ বিভিন্ন অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছেন।বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সাবেক এ কর্মী আরও বলেন, একবার নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের একটি দল ত্রাণকেন্দ্র থেকে সরতে দেরি করছিল দেখে এক নিরাপত্তাকর্মী একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে মেশিনগান দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন।তবে জিএইচএফ দাবি করেছে, এসব অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা।এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তাদের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে কখনো কোনো বেসামরিক মানুষকে গুলি করা হয়নি।জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে গাজায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজার কয়েকটি কেন্দ্র থেকে সীমিত পরিমাণে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এর আগে ইসরায়েল টানা ১১ সপ্তাহ গাজা পুরোপুরি অবরোধ করে...
‘মেশিনগান দিয়ে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বেশ কয়েকবার গুলি চালাতে দেখেছি, যারা কোনো হুমকিই ছিল না’, গাজায় ইসরায়েল ও মার্কিন-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সাবেক নিরাপত্তা ঠিকাদার এ কথা বলেছেন। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, একবার একদল নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে, শুধুমাত্র একটু ধীরে চলায় ওয়াচ টাওয়ার থেকে একজন প্রহরী মেশিনগান দিয়ে গুলি চালায়। এ বিষয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করছে তারা। তারা বিবিসিকে একটি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছে, জিএইচএফ সহায়তা কেন্দ্রের কাছে কোনো বেসামরিক নাগরিক কখনো গুলিবিদ্ধ হননি। মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ ও মধ্য গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় সীমিতভাবে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে গাজায় নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে জিএইচএফ। এরপর গাজার ওপর ১১ সপ্তাহের সম্পূর্ণ অবরোধ...
ইসরায়েলি বাহিনী গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ২৬ জায়গায় ‘রক্তাক্ত গণহত্যা’ চালিয়েছে। এতে অন্তত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। মিডিয়া অফিসের তথ্যানুসারে, গাজায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত উদ্যোগ গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসিতে একটি তাঁবুতে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করেছে। পাশাপাশি গাজা শহরের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত মুস্তাফা হাফেজ স্কুলে হামলায় নিহত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। আরো পড়ুন: গাজায় ‘গণহত্যার অর্থনীতি’ থেকে লাভবান মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ যত কোম্পানি ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সরকারি বিবৃতিতে...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির ‘প্রয়োজনীয় শর্তে’ রাজি হয়েছে ইসরায়েল। এ সময়ে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব। তবে তিনি সেই শর্তগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। খবর বিবিসির। মঙ্গলবার (২ জুলাই) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করা কাতার ও মিসরের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রস্তাবটি দেওয়া হবে। আমি আশা করি হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে, কারণ এর চেয়ে ভালো আর কিছু তারা পাবে না—পরিস্থিতি কেবল আরো খারাপ হবে।” তবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো হামাস গ্রহণ করবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আরো পড়ুন: ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরো ৯৭ ফিলিস্তিনি আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী...
১৩০ টিরও বেশি দাতব্য সংস্থা এবং এনজিও বিতর্কিত ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনগুলো জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলের তিন মাসের অবরোধের পর থেকে জিএইচএফ সাহায্য চাইতে গিয়ে ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রায় চার হাজার জন আহত হয়েছে। অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং অ্যামনেস্টিসহ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সাহায্য চাইতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের উপর ‘নিয়মিত’ গুলি চালায়। ইসরায়েল তার সেনাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ গ্রহীতাদের উপর গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং জিএইচএফ ব্যবস্থাকে সমর্থন করে জানিয়েছে, সংস্থাটি হামাসের হস্তক্ষেপকে উপেক্ষা করে যাদের প্রয়োজন তাদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করে। বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম দাতব্য সংস্থার মঙ্গলবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন...
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা চলছেই। বাদ যাচ্ছে না সেখানে অবস্থিত ক্যাফে, স্কুল ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান সাম্প্রতিক হামলায় আরও ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় সময় সোমবার গাজা শহর ও উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে শুধু আল-বাকা নামে এক সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেতেই নিহত হন ৩৯ জন। খবর আল জাজিরারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। ক্যাফেটিতে নারী ও শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন একটি জন্মদিন উদযাপন করতে। সেখানে নিহতদের মধ্যে এক সাংবাদিকও রয়েছেন। তার নাম ইসমাইল আবু হাতাব। এদিকে গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপরও হামলা চালানো হয়। আবু জারাদে নামের একজন জানান, তারা হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে...
ছোট্ট দেহটির প্রায় সব হাড় দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, কঙ্কালের ওপর শুধু চামড়াটাই রয়ে গেছে। গাজায় খাদ্যাভাব কতটা তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই শিশুরা। তাদের হাড্ডিসার দেহ যেন ইসরায়েলের নৃশংসতারই সাক্ষ্য।ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত অনাহার ও অপুষ্টিতে ফিলিস্তিনের গাজায় অন্তত ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তারা গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধকে দায়ী করেছে।গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে উপত্যকাটিতে কোনো ধরনের ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এমনকি খাবার, পানি ও ওষুধের মতো জীবনরক্ষাকারী ত্রাণও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।গত শনিবার গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী অবরোধকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার বেসামরিক মানুষকে নির্মূল করতে ইসরায়েল ক্ষুধাকে যে অস্ত্র হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার...
ফিলিস্তিনের গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় গত শুক্রবার জানিয়েছে, মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রগুলো থেকে বিতরণ করা আটার ব্যাগে অক্সিকোডোন নামের মাদক বড়ি পাওয়া গেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে তারা।এক বিবৃতিতে ওই কার্যালয় বলেছে, ‘আমরা এখন পর্যন্ত চারজনের সাক্ষ্য পেয়েছি। তাঁরা আটার ব্যাগের ভেতরে এই বড়িগুলো পেয়েছেন।’ কার্যালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘কিছু মাদক ইচ্ছাকৃতভাবে গুঁড়া বা দ্রবীভূত করে আটার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’অক্সিকোডোন একটি শক্তিশালী মাদক, যা মূলত ক্যানসার রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি ও তীব্র ব্যথা উপশমে ব্যবহার করা হয়। এ মাদক অত্যন্ত আসক্তিকর এবং এর জীবননাশক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এর মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসে জটিলতা, বিভ্রম ইত্যাদি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্টে গাজায় বিতরণ করা আটার ব্যাগে বড়ি পাওয়া যাওয়ার ছবি প্রকাশ হয়েছে। পরে গাজা কর্তৃপক্ষ ওই বিবৃতি দেয়।গাজার একজন ফার্মাসিস্ট ওমর হামাদ এ ঘটনাকে...
গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল পরিচালিত ‘বিতর্কিত’ ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) মাধ্যমে বিতরণ করা আটার বস্তায় আফিমজাত ওষুধ ‘অক্সিকোডন’ ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু, মিডল ইস্ট আই ও ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, আমরা এখন পর্যন্ত চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছি, যারা এই ট্যাবলেটগুলো আটার বস্তার ভেতর পেয়েছেন। সম্ভবত এই মাদকদ্রব্যগুলোর কিছু অংশকে গুঁড়া করে ইচ্ছাকৃতভাবে আটার মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ ওষুধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্সিকোডন একটি আফিম জাতীয় ওষুধ, যা তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা উপশমের কাজ করে। সাধারণত ক্যান্সার রোগীদের এই ওষুধ সেবন করতে দেওয়া হয়। ওষুধটি অত্যন্ত আসক্তিকর এবং গ্রহীতার ওপর শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা, দৃষ্টিবিভ্রমসহ প্রাণঘাতী...
ফিলিস্তিনের গাজার আট সন্তানের বাবা আতার রিয়াদ। তিনি বেইত হানুন এলাকার বাসিন্দা। ক্ষুধার্ত পরিবারকে বাঁচাতে প্রায়ই তাঁকে দূরদূরান্তের বিভিন্ন খাদ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তাঁর পুরো পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা দিতে গিয়ে রিয়াদ আলজাজিরাকে বলেন, আমি প্রায়ই ১৫ কিলোমিটার হেঁটে মধ্য গাজার নেতজারিম করিডোরে যাই। আমি সেখানে দেখেছি, ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় কীভাবে রক্তপাতের দৃশ্যে পরিণত হয়। তিনি বলেন, একদিন সেনারা বলেছিল, ট্রাকে ত্রাণ আছে। ক্ষুধার্তরা ট্রাকের কাছে ছুটে যায়। কিন্তু খাবার না দিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করা হয়। কোনো খাবার বা পানি নয়, সেখানে শুধুই মৃত্যু। এমন দৃশ্য কেবল সিনেমায় দেখা যায়। মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় অন্তত ১৭ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউসিএলএ ল প্রমিজ ইনস্টিটিউট ইউরোপের নির্বাহী পরিচালক কেট ম্যাকিনটোশ মনে করেন,...
ইসরায়েলি সেনাসদস্য ও কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, ত্রাণ নিতে আসা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে তাঁদের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ত্রাণ নিতে আসা লোকজন যাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান, সে জন্য তাঁদের ওপর গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।ইসরায়েলের প্রভাবশালী হারেৎজ পত্রিকা কয়েকজন সেনাসদস্য ও কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থা গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) দাবি করে আসছে, ত্রাণ নিতে এসে কেউ নিহত হননি বা তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা খুব কমই ঘটেছে।এক মাস ধরে গাজায় ত্রাণ বিতরণ করছে বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফ। ত্রাণ নিতে গিয়ে গত এক মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৫৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।গাজার মানুষ বলছেন, জিএইচএফের এসব ত্রাণকেন্দ্র এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে, ফিলিস্তিনিদের সামনে এখন দুটি পথ—হয় না...
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে আপাতত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আবারও গাজার দিকে ফিরছে, যেখানে প্রতিদিনই বাড়ছে ফিলিস্তিনি প্রাণহানি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ প্রয়োগ করে সফল হলেও গাজায় ইসরায়েলকে থামাতে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক মাইরাভ জোনসেইন বলেন, ‘ট্রাম্প চাইলে নেতানিয়াহুকে থামাতে পারেন। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, তিনি ইসরায়েলকে গাজায় যা ইচ্ছা করার পূর্ণ ছাড় দিয়েছেন।’ এদিকে সহিংসতা আরও বেড়েছে গাজায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯০ জন। বুধবার প্রাণ গেছে ৪৫ জনের, যাদের অনেকেই ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৬ হাজার ১৫৭ ফিলিস্তিনি। গাজা প্রশাসনের তথ্যমতে, গত চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তার জন্য...
প্রায় চার মাস ধরে গাজায় ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল। মাঝেমধ্যে কিছু ট্রাককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। ফিলিস্তিনের উপত্যকাটিতে অনাহার, ওষুধের অভাব এবং স্বাস্থ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ এই অবরোধে গাজার পুরো জনগোষ্ঠী মানবিক বিপর্যয়ে ধুঁকছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘ ইতোমধ্যে একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে বিতর্কিত একটি সংস্থা উপত্যকায় সীমিত আকারে ত্রাণ বিতরণ করছে। সমালোচকরা মনে করেন, গাজার প্রকৃত মানবিক প্রয়োজনের বদলে রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই বিতরণ ব্যবস্থা চালু করেছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষুধার্ত মানুষ খাবারের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংস্থাটির বিতরণকেন্দ্রে ভিড় করছেন। কিন্তু কেন্দ্রগুলোয় নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে ইসরায়েলি সেনারা। প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল।...
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ চলছেই। গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত ও ২৮৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি।গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৫৬ হাজার ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫ হাজার ৭৫৯ জন নিহত ও ১৯ হাজার ৮০৭ জন আহত হয়েছেন।ত্রাণ নিতে গিয়ে একমাসে ৫১৬ জন নিহতহাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্য গাজায় ত্রাণ...
ইরানের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ থেমে নেই। গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ৩৪ ফিলিস্তিনিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকালও গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার পাশাপাশি ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডরে ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করলে ৩৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এ ছাড়া দেইর আল–বালায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত আটজন।ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলার পর মধ্য গাজার আল–আওদা হাসপাতালের মেঝেতে মরদেহ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালটির এক মুখপাত্র জানান, অর্ধাহার–অনাহারে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।...
ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যের টোপ দিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষ হত্যা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে সোমবার গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এ সময় আহত হন ২০০ জনের বেশি ত্রাণপ্রত্যাশী। হামাস পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় খাদ্যকেন্দ্রে সংঘটিত সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মধ্যে এটি সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল খাদ্য সরবরাহের স্থানে হামলা চালাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের খাদ্যকেন্দ্রে গুলি চালিয়েছে। এক বেলার আটা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিল। ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে দুটি ইসরায়েলি ড্রোনও আঘাত হানে। ঘটনাস্থলের ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা ট্যাঙ্ক থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এই এলাকার প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র নাসের হাসপাতাল। এখানে বহু সংখ্যক আহতকে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। অনেক...
ইরানে হামলার পাশপাশি অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। রবিবার গাজাজুড়ে ইসরায়েলি গুলি ও বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত দুটি সাহায্য কেন্দ্রের কাছে নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজা উপত্যকার আল-আওদা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নেতজারিম করিডোরের কাছে একটি জিএইচএফ কেন্দ্রের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলি গুলিতে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। দক্ষিণে রাফাহের আরেকটি সাহায্য কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আরো দুজন নিহত হয়েছেন। ছিটমহলের উত্তরে বেইত লাহিয়া শহরে একটি বিমান হামলায় আরো সাতজন নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজা উপত্যকার নুসাইরাত শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বাড়িতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। বাকিরা দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় পৃথক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।...
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ মনে করে, ‘গাজায় মানবিক সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। এতে ভয় ও দুর্দশা বাড়ছে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের। চলমান ত্রাণ ব্যবস্থায় অরাজকতা ও সম্পদের অপচয় হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে জাতিসংঘকে আবারও সম্পূর্ণরূপে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধও করেছে ইউএনআরডব্লিউএ। এর মধ্যেই আবারও গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি ও গোলাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল। খাবার ও ওষুধ সংগ্রহ করতে আসা মানুষদের লক্ষ্য করে শনিবার চালানো হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ২৩ জনের। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাবার ও ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র জেনস...
গাজায় ত্রাণ নিতে এসে বারবার গুলির মুখে প্রাণ যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গঠিত তথাকথিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) গত সোমবারও ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর গুলি চালায়। সশস্ত্র সংগঠনটি ত্রাণ দেওয়ার নামে এ পর্যন্ত শতাধিক জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, দক্ষিণ রাফার তাল আল-সুলতান এলাকায় জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইসরায়েলের সেনারাও তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ত্রাণ সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত ওই এলাকায় ছয়জন নিহত ও ৯৯ জন আহত হয়েছেন। গত ২৬ মে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন ত্রাণ বিতরণ শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাদের খোলা চারটি ত্রাণকেন্দ্রের কোনো একটির কাছে এমন প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটছে। এ প্রেক্ষাপটে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপকে সক্রিয় করা নিয়ে কাজ করছে ইসরায়েল। তাদের...
একটি পরিস্থিতি কল্পনা করুন: গত সপ্তাহান্তে ব্রিটেন গাজার মানুষের দুর্দশায় এতটাই মর্মাহত হয়েছিল যে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন ও সংস্থাগুলোকে পাত্তা না দিয়ে তারা নিজেদের নৌবাহিনীর মাধ্যমে গাজার বন্দরগুলোতে খাদ্য, শিশুখাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে।না, বাস্তবে এমনটি ঘটেনি; বরং এই কাজ করেছেন কিছু সাহসী ত্রাণকর্মী। তাঁরা ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি জাহাজে করে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁদের দলে ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। তাঁদের লক্ষ্য ছিল গাজার অবরোধ ভেঙে প্রতীকীভাবে সাহায্য পাঠানো এবং সেখানকার ‘অনাহারের সংকট’ সম্পর্কে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।সোমবার ভোররাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করে এই জাহাজে হামলা চালায়। জাহাজের ক্রুদের গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ত্রাণকর্মীদের আইনজীবীরা ইসরায়েলের এই অভিযানকে ‘অতিরিক্ত ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেছেন।তবে...
ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদেও ফিলিস্তিনের গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ। ঈদের দিন সকাল থেকে দুই দিনে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ক্ষুধার্ত মানুষও রয়েছেন।মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শুক্রবার কোরবানির ঈদ উদ্যাপিত হয় অবরুদ্ধ গাজায়। এ নিয়ে টানা চতুর্থ ঈদ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে কাটিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।হাসপাতাল সূত্রগুলো জানায়, ঈদের দিন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ৪২ জন নিহত হন। এর মধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় এক হামলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। এ ছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে সাত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।ঈদের পরদিন শনিবার সকাল থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৬৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা নগরীর সাবরা এলাকায় এক...
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও গাজা জুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (৬ জুন) ঈদের দিন দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা। পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনূসের নাসের হাসপাতালে অন্তত ১৬টি মরদেহ পৌঁছেছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরের আল-শিফা হাসপাতালে ১৬ জন, গাজা শহরের আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে পাঁচজন এবং দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে আরও পাঁচজনের মরদেহ আনা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার হতাহতসহ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জনে এবং এ সময় এক লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন বেসামরিক...
গাজার অভুক্ত মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) ত্রাণবাহী জাহাজ নিজেদের জলসীমায় প্রবেশ করতে দেবে না ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ হুমকি দিয়েছে।রোববার ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে এফএফসির ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলানে’ চড়ে রওনা হয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গসহ ১১ মানবাধিকারকর্মী। পুরো কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে এফএফসি। আগামী শনিবার জাহাজটি গাজা উপকূলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।আরও পড়ুনগাজায় আজ ত্রাণ দিচ্ছে না হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন, যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে জাতিসংঘে ভোটাভুটি৩ ঘণ্টা আগেদুই মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল। এতে গাজায় ওষুধ, খাবার, পানিসহ জরুরি পণ্যের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। মারাত্মক মানবিক সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে গাজার অভুক্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় এফএফসি।গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রিডম ফ্লোটিলা সম্পর্কে প্রশ্ন...
মঙ্গলবার গাজার দক্ষিণ শহর রাফায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের পাশে ইসরায়েলি অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক ডজন আহত হন। এই হামলা এমন সময়ে হয়েছে, যার দুই দিন আগে একই স্থানে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের হামলার শিকার হন হাজারো উদ্বিগ্ন ও ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি। সেখানে প্রাণ হারান ৩১ ফিলিস্তিনি। একই দিনে মধ্য গাজার নেটজারিক মরিডোরের কাছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে আরেকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গাজার ২০ লাখ অনাহারী মানুষকে এখন মাত্র চারটি স্থানে খাবার বিতরণ করা হয়। তারা প্রায় তিন মাস ইসরায়েলি এমন ব্লকেডের মধ্যে ছিলেন, যেখানে ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ১৯ মে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় ‘সীমিত’ ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেন। তাও তখন এই অনুমতি আসে যখন গণঅনাহার পরিস্থিতি এমন ‘লাল রেখা’য় পৌঁছে, যার পর যুক্তরাষ্ট্রের...
গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের হত্যার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গত রোববার গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে ফিলিস্তিনিরা একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে অপেক্ষা করার সময় ইসরায়েলি বাহিনী ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ওই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।রেডক্রস বলেছে, হতাহত ১৭৯ জনকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ জন মারা গেছেন।গাজার বেসামরিক নিরাপত্তা সংস্থা এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রোববারই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের সেনারা ওই স্থানের আশপাশে বা ভেতরে কোনো বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালাননি। এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো মিথ্যা।জিএইচএফ হামলার অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে আখ্যা...
গত রবিবার (১ জুন) গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের হত্যার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অপেক্ষারত লোকজনের উপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর জাতিসংঘের মহাসচিব স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানালেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফাহ কেন্দ্র থেকে খাবারের জন্য অপেক্ষা করার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আরো পড়ুন: ফিলিস্তিনকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আইএলও গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৪০০ ছাড়াল রেড ক্রস জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৭৯ জন হতাহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থার তথ্যমতে নিহতের...
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএফএ এবং হামাস সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম আজ রোববার এ খবর দিয়েছে।ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ডব্লিউএএফএ হামলায় ১১৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হওয়ার খবরও দিয়েছে।আরও পড়ুনগাজায় বিতরণ করা বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফের ত্রাণের বাক্সে কী আছে১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার–ভিত্তিক মার্কিন সংস্থা জিএইচএফকে ইসরায়েলও সমর্থন দেয়। সংস্থাটি সম্প্রতি গাজায় তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত সংস্থাটির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক আছে।ত্রাণ বিতরণের আগে যাচাই–বাছাইয়ের জন্য ইসরায়েল যে বায়োমেট্রিকসহ বিভিন্ন ধরনের যাচাই-পদ্ধতি চালু করবে বলে জানিয়েছে, তার নিরপেক্ষতা নিয়ে কিছু ফিলিস্তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, এ পদ্ধতির মাধ্যমে...
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে নরক বানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। একদিকে বোমা হামলা, অন্যদিকে খাদ্যের কৃত্রিম সংকট গাজাবাসীকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। খাদ্য বিতরণের নামে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র মিলে সৃষ্টি করেছে মৃত্যুফাঁদ। প্রতি ২০ মিনিটে গাজায় একটি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে পাঠানো ত্রাণের ট্রাকগুলো মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পূরণ করেছে। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘গণবিপর্যয়ের প্রতি উপহাস’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। খাদ্য সংকটে দুর্ভিক্ষের মুখে উপত্যকার বাসিন্দারা। এর মধ্যেই তারা ভারী বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খাদ্য অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত মাইকেল ফাখরি বলেছেন, ইসরায়েল ‘মানুষ আটকানোর টোপ’ হিসেবে খাদ্য কর্মসূচি চালু করেছে। বিবিসি জানায়, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত নতুন ত্রাণ বিতরণ প্রকল্প বিতর্কিত...
চার কৌটা টুনা মাছ, কয়েক প্যাকেট স্প্যাগেটি ও এক লিটার তেল।যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মধ্যাহ্নের প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর কপালে যেসব খাদ্যসামগ্রী জুটেছে, এটি তারই একটি নমুনা।যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) দাবি করেছে, তারা গত মঙ্গলবার থেকে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজার বাক্স খাবার বিতরণ করেছে। ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে, চলমান গণ-অনাহার মোকাবিলায় এই সংখ্যা একেবারেই যৎসামান্য।গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট একটি সংগঠন। গাজা উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নিতে সংগঠনটিকে ইসরায়েল অনুমোদন দিয়েছে।নতুন এই ত্রাণব্যবস্থা খাদ্য বিতরণ–ব্যবস্থাকে মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। এসব কেন্দ্র আবার পাহারা দেন বেসরকারি মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীরা। এ ব্যবস্থা জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন ত্রাণ সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বিতরণ কার্যক্রম কেড়ে নিতে চায়।জাতিসংঘ ও অন্যান্য প্রধান মানবিক সংস্থা বারবার এই নতুন...
গাজায় ক্ষুধায় কাতর মানুষ ত্রাণ পেতে দলে দলে ভিড় করছেন বিতরণ কেন্দ্রে। সেখানে ঘটছে লুটের ঘটনা। ত্রাণ পেতে মরিয়া এসব ফিলিস্তিনির ওপর চালানো হচ্ছে গুলি। এতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গুলিতে গত দু’দিনে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬২ জন। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় ত্রাণ গাজার সব মানুষের মধ্যে পৌঁছাচ্ছে না। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর গাজায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো ত্রাণ যায়নি। উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণে এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতির অন্যতম কারণ মনে করা হচ্ছে ইসরায়েলের সহযোগিতায় তৈরি যুক্তরাষ্ট্রের কথিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামের সংগঠনকে। এটি জাতিসংঘের বারণ অমান্য করে অস্ত্র হাতে ত্রাণ বিতরণে নেমেছে। কাউকে অপছন্দ হলেই গুলি করছে। জিএইচএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাজায় ক্ষুধার্তদের বিরুদ্ধে তারা ‘ত্রাণকে অস্ত্র বানাচ্ছে’। গাজার সরকারি তথ্য অফিস বলছে, ক্ষুধার্ত বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালানো...
দুই দিনে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবারও যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের উদ্যোগে সম্প্রতি চালু হওয়া ফাউন্ডেশনটির ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার অভিযোগ, জিএইচএফ গাজায় ত্রাণ বিতরণে নিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করছে এবং ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে গাজা খালি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। গাজা হামলার ৫৯৯তম দিনে গতকাল অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে আরও ২২টি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। কয়েক দশকের মধ্যে এটি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বসতি স্থাপনের ঘোষণা। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াল। গতকাল সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গতকাল ভোরে উত্তর গাজার জাবালিয়ায়...
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, দলে দলে ‘ক্ষুধার্ত মানুষ’ মধ্য গাজার একটি খাদ্যগুদামে ঢুকে পড়েছেন।এ ঘটনায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, তারা বিস্তারিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখছে।বার্তা সংস্থা এএফপির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দেইর আল-বালাহ শহরের আল-ঘাফারি গুদামে ক্ষুধার্ত লোকজন ঢুকে খাদ্যের বস্তা ও ময়দার প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছেন। সেই সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলি কোথা থেকে এসেছে, তা তখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না।ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রায় তিন মাস ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধের পর মানবিক সংকট ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে’। গত সপ্তাহে এ অবরোধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, বিতরণের জন্য ওই গুদামে আগেই খাদ্য মজুত রাখা হয়েছিল।সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, গাজায় অবিলম্বে খাদ্যসহায়তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মানুষকে নিশ্চিত করতে হবে...
ফিলিস্তিনের গাজা নগরের রাফাহ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে খাদ্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ জন, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ ফিলিস্তিনি। গাজার কর্তৃপক্ষ সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামের বিতর্কিত একটি সংস্থা এই সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে এই ত্রাণকাজ পরিচালিত হচ্ছে। সমালোচকেরা মনে করেন, গাজার প্রকৃত মানবিক প্রয়োজনের বদলে রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই বিতরণ ব্যবস্থা চালু করেছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র।জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণের খবর শুনে সেখানে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি ভিড় করেন। তবে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে হতাহতের ঘটনাটি সংস্থাটি অস্বীকার করেছে।অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সাংবাদিকরা জানান, ত্রাণকেন্দ্রের সামনে বহু ক্ষুধার্ত মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলেন। কারণ, সাহায্য দেওয়ার আগে প্রত্যেককে তল্লাশি করে ঢোকানো...
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে চালু হওয়া মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ক্ষুধার্ত গাজার বাসিন্দারা ছুটে গেলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “তথাকথিত বাফার জোনে ত্রাণ বিতরণের জন্য ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর পরিকল্পনা ভয়াবহভাবে ব্যর্থ হয়েছে।” আরো পড়ুন: ধনীদের বসবাসের জন্য জনপ্রিয় ১০ শহর যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ২ এতে বলা হয়েছে, “হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ছুটে যাওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়।” বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “আজ যা ঘটেছে তা অনাহার, অবরোধ এবং বোমাবর্ষণের নীতির মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা মানবিক সংকট মোকাবিলায় দখলদার বাহিনীর...
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজারের দুঃখজনক মাইলফলক ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলের বোমায় এক দিনে আরও ৭৯ জনের প্রাণ যায়। আহত হয়েছেন ১৬৩ জন। উপত্যকায় স্বল্পসংখ্যক ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল ইসরায়েল। জার্মানি, ফিনল্যান্ডসহ বিশ্বের নানা দেশ অবরোধ তুলে নিয়ে আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির দাবি জানিয়েছে। গত সপ্তাহে গাজায় কিছু ত্রাণ প্রবেশ করলেও উত্তর গাজার মানুষ তা পাননি। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলভিত্তিক বিতর্কিত একটি গ্রুপ গাজায় ‘ত্রাণ বিতরণে’র কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রধারী ওই গ্রুপ জাতিসংঘের সরবরাহকারী ও গাজার বাসিন্দাদের উপেক্ষা করে ত্রাণ বিতরণ করছে। ইসরায়েলের গত ১১ সপ্তাহের অবরোধে গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। এ অবস্থায় জাতিসংঘ ও অন্য ত্রাণ সরবরাহকারী সংগঠনগুলো কথিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনকে (জিএইচএফ) কোনো সহযোগিতা করছে না। তারা বলছে, জিএইচএফ...
ঈদুল ফিতরে মুক্তির পর থেকে দেশের সিনেমা হলে দর্শক টানছে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্কেও সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। এবার এই সিনেমা দেখতে পাবেন মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকরাও। আজ ১৫ মে বরবাদ মুক্তি পাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই), ওমান, কাতার ও বাহরাইনে। সেখানে সিনেমাটি ডিসট্রিবিউশন করছে পিএইচএফ। বরবাদ প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি জানান, বরবাদ’র মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি কোনো সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন করছে পিএইচএফ। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশে সেন্সর করিয়ে সিনেমা রিলিজ করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সবকিছু গুছিয়ে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচুর বাংলাদেশি থাকেন। সেইসঙ্গে ইন্ডিয়ান থাকেন। আশা করছি, তারা সকলে থিয়েটারে গিয়ে বরবাদ দেখবেন।’ প্রসঙ্গত, মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত বরবাদ-এ শাকিব খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, মিশা সওদাগর, যীশু সেনগুপ্ত, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। সিনেমাটি...