Samakal:
2025-07-12@08:08:49 GMT

গাজায় নিহত ৫৪ হাজার ছাড়াল

Published: 27th, May 2025 GMT

গাজায় নিহত ৫৪ হাজার ছাড়াল

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজারের দুঃখজনক মাইলফলক ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলের বোমায় এক দিনে আরও ৭৯ জনের প্রাণ যায়। আহত হয়েছেন ১৬৩ জন। উপত্যকায় স্বল্পসংখ্যক ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল ইসরায়েল। জার্মানি, ফিনল্যান্ডসহ বিশ্বের নানা দেশ অবরোধ তুলে নিয়ে আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির দাবি জানিয়েছে। গত সপ্তাহে গাজায় কিছু ত্রাণ প্রবেশ করলেও উত্তর গাজার মানুষ তা পাননি।

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলভিত্তিক বিতর্কিত একটি গ্রুপ গাজায় ‘ত্রাণ বিতরণে’র কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রধারী ওই গ্রুপ জাতিসংঘের সরবরাহকারী ও গাজার বাসিন্দাদের উপেক্ষা করে ত্রাণ বিতরণ করছে। ইসরায়েলের গত ১১ সপ্তাহের অবরোধে গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। এ অবস্থায় জাতিসংঘ ও অন্য ত্রাণ সরবরাহকারী সংগঠনগুলো কথিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনকে (জিএইচএফ) কোনো সহযোগিতা করছে না। তারা বলছে, জিএইচএফ মানবাধিকারের বিপরীতে কাজ করছে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ত্রাণকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে। 

তবে এ পর্যন্ত কত ট্রাক ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে– বিবিসির করা এমন প্রশ্নে জিএইচএফ কোনো জবাব দিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জিএইচএফের প্রধান ছিলেন জেক উড। গত রোববার তিনি পদত্যাগ করলে তার স্থলাভিষিক্ত হন জন একরি। এই একরি যুক্তরাষ্ট্রে বিলুপ্ত ইউএসএআইডির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ছিলেন। পদত্যাগের আগে জেক উড বলেন, এ গ্রুপ যেভাবে ত্রাণ বিতরণের কথা ভাবছে, তাতে মানবতা, নিরপেক্ষতা, সমতা ও স্বাধীনতা রক্ষা কঠিন হবে।

এ অবস্থায় গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর জোর দাবি উঠছে। অবরুদ্ধ গাজায় বেসামরিক নাগরিকরা খাদ্য ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির মুখোমুখি হওয়ায় জার্মানি ও ফিনল্যান্ডের নেতারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি সফরের সময় জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস বলেন, আমাদের অবশ্যই ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সাহায্য সত্যিকার অর্থে তার লক্ষ্যে পৌঁছায়। গাজার মানুষের দুর্ভোগকে ‘মাত্রা অতিরিক্ত’ বলে বর্ণনা করে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এখন গাজা উপত্যকায় কী করছে, কোন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।’ সোমবার ডব্লিউডিআর টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এর প্রভাব ‘আর ন্যায্য হতে পারে না’। জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পো বলেন, গাজায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ঘটছে। এ নিয়ে দ্রুত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। 

এ অবস্থায় সুইডেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে গাজায় সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় বর্তমানে যেভাবে যুদ্ধ চলছে, তা অগ্রহণযোগ্য। 

প্রতিনিয়ত মৃত্যু বাড়ছে

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আলজাজিরা জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৬ জন। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৯ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। শত শত মানুষ ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন। এ সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি বলে ধারণা করা হয়।

ইসরায়েলে হুতির হামলা

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের উদ্দেশে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানিয়েছে। তবে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এক বিবৃতিতে সশস্ত্র সংগঠনটি জানায়, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর ও পূর্ব ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। বিবৃতিতে গাজায় অভুক্ত রেখে মানুষ হত্যাকে মানব ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা বলে বর্ণনা করা হয়।

‘গাজায় ফসলি জমি ৫ শতাংশেরও কম’

গাজা উপত্যকায় মোট কৃষিজমির মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বর্তমানে চাষযোগ্য রয়েছে। ইসরায়েলের হামলা ও প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে বাকি ৯৫ শতাংশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত বা অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নের বরাত দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়। মূল্যায়নে বলা হয়, গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি আরও তীব্র হয়েছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং জাতিসংঘ স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথভাবে এ মূল্যায়ন পরিচালনা করেছে।

এফএওর উপমহাপরিচালক বেথ বেকডল বলেন, এই ধ্বংস শুধুই অবকাঠামোর ক্ষতি নয়, এটি গাজার কৃষিভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পতন এবং জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার শামিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ গাজার ৮০ শতাংশেরও বেশি কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া অনেক অঞ্চলে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। সব মিলিয়ে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশে। এফএও জানায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে কৃষি গাজার মোট অর্থনীতির প্রায় ১০ শতাংশ অবদান রাখত। ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ কৃষিকাজ, পশুপালন বা মৎস্য শিকারের ওপর নির্ভর করতেন।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ত র ণ ব তরণ ইসর য় ল র এ অবস থ য় প রব শ র ওপর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির

গাজায় চরম খাদ্যাভাব আর ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার মুখে প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে অভুক্ত থেকে; রোগে ও বিমান হামলায়। হাসপাতালে চিকিৎসক ও ওষুধের তীব্র সংকট। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মারা যাচ্ছেন ধুঁকে ধুঁকে। পুরো উপত্যকা যেন এক বৃহৎ গোরস্তান। এসব ঘটছে অনেকটা প্রকাশ্যে। এ গণহত্যা থামাতে বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উদ্যোগ নেই। উল্টো তারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস (ওএইচসিএইচআর) জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন-জিএইচএফের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছেন। গত মে মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের বারণ সত্ত্বেও মানবাধিকার সংস্থার নামে জিএইচএফ গাজায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে এ সংগঠনটি গড়ে তুলেছে।

দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, শুক্রবার জিএইচএফ ত্রাণ নিতে আসা আরও ১০ জনকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। এ প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি শরণার্থী-বিষয়ক জাতিসংঘের প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েল হত্যার সবচেয়ে নির্মম ও দুরভিসন্ধিমূলক পথ বেছে নিয়েছে। উপত্যকা শিশু ও ত্রাণপ্রত্যাশীদের জন্য গোরস্তানে পরিণত হয়েছে।’

ওএইচসিএইচআরের মুখপাত্র রাবিনা শামদাশানি বলেন, ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ ত্রাণপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডার বলেছে, গাজায় ‘চরম পুষ্টিহীনতা নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে।’ খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান আহমেদ আল ফারা জানান, ইসরায়েলের বিমান হামলার বৃহস্পতিবার রাতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন অনেকে। তাদের হাসপাতালে আনা হলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী নেই। এর মধ্যে হাসপাতালের পাশেই থেমে থেমে কামান থেকে গোলা ছুড়ছে ইসরায়েল।

তাঁবু গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল
ব্যাপক হামলায় গাজার প্রায় সব ভবন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। বাধ্য হয়ে বাসিন্দারা তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। এবার সেখানেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলের আল মাওয়াসি এলাকাকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য নিরাপদ জোন ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। আলজাজিরা জানায়, গতকাল শুক্রবার সেখানেই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা। তাঁবু গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এবং সন্দেহ হলেই হত্যা করছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে গৃহহীন অনেককে হতাশ বসে থাকতে দেখা যায়।

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ‘মৃত্যু’, ইঙ্গিত ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর
ইসরায়েলের সাংবাদিক গিডিয়ন লেভি বলেছেন, ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে যে মতবিনিময় হয়েছে, তাতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মার্কিন অঙ্গীকার ‘মৃত ও সমাহিত’ বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদক জিজ্ঞাসা করেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান হবে কিনা? তখন ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের শাসনের ক্ষমতা থাকা উচিত, ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার নয়। এর অর্থ হলো সামগ্রিক নিরাপত্তার মতো ক্ষমতা সর্বদা আমাদের হাতে থাকবে।

লেভি আলজাজিরাকে বলেন, এ মতবিনিময় ছিল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ‘মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা’, যা বাস্তবে ‘অনেক আগেই মারা গেছে’। তিনি বলেন, ‘আমাদের এর মুখোমুখি হতে হবে– কখনও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত ও পরিণতি সম্পর্কে ভাবতে হবে। অর্থাৎ একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ দখলদারিত্ব ও বসতি স্থাপন প্রকল্প অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কোনো সম্ভাবনা নেই।’

মার্কিন সুরক্ষায় ইসরায়েলের ‘নিখুঁত অপরাধ’
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরদারিতে ইসরায়েল ‘নিখুঁত অপরাধ’ করছে। কারণ মার্কিন সমর্থন গাজায় দায়মুক্তির সঙ্গে এ অপরাধ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। কাতারের দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের পাবলিক পলিসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তামের কারমাউত আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরদারিতে নিখুঁত অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। যেহেতু ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুরক্ষা ও সমর্থন পাচ্ছে, সেহেতু তারা এটি করতে দ্বিধা করছে না। তিনি বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না থাকত, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, এ যুদ্ধ অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। দুঃখজনকভাবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত সু-সমন্বিত যুদ্ধ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র– উভয়ের স্বার্থই একে অপরের সঙ্গে জড়িত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির
  • গাজায় ছয় সপ্তাহে ত্রাণ নিতে যাওয়া ৭৯৮ জনকে হত্যা