Prothomalo:
2025-06-25@05:50:33 GMT

গাজায় নিহত ৫৬ হাজার ছাড়াল

Published: 25th, June 2025 GMT

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ চলছেই। গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত ও ২৮৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি।

গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৫৬ হাজার ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫ হাজার ৭৫৯ জন নিহত ও ১৯ হাজার ৮০৭ জন আহত হয়েছেন।

ত্রাণ নিতে গিয়ে একমাসে ৫১৬ জন নিহত

হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্য গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দির সড়কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গুলির এ ঘটনায় ১৪০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।

এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-তিনা সড়কে ত্রাণ নিতে গেলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। উত্তরের গাজা নগরী এবং দক্ষিণের রাফায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদেরও হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে এদিন ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ নিতে গিয়ে গত এক মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি নয়তো গোলাবর্ষণে অন্তত ৫১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৯ জন।

ত্রাণের নামে ‘মৃত্যুফাঁদ’ তৈরি করা হয়েছে

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জিএইচএফ প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েলি বাহিনীর সহায়তায় কিছু এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছে, যা ২১ লাখ বাসিন্দার উপত্যকাটির অর্ধাহার-অনাহারে থাকা মানুষের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। দাতব্য সংস্থাগুলোকে বাদ দিয়ে এভাবে ত্রাণ দেওয়ার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, গাজায় ত্রাণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও সমালোচনার মুখে গত মে মাসের শেষ দিকে জিএইচএফ ত্রাণ দেওয়া শুরুর পর থেকে ত্রাণ নিতে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে কয়েক ডজন করে ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি গতকাল জার্মানির বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কথিত ত্রাণ দেওয়ার এই ব্যবস্থা একটি ঘৃণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আহত হয় ছ ন ইসর য় ল ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় নিহত ৫৬ হাজার ছাড়াল

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ চলছেই। গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত ও ২৮৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি।

গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৫৬ হাজার ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫ হাজার ৭৫৯ জন নিহত ও ১৯ হাজার ৮০৭ জন আহত হয়েছেন।

ত্রাণ নিতে গিয়ে একমাসে ৫১৬ জন নিহত

হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্য গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দির সড়কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গুলির এ ঘটনায় ১৪০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।

এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-তিনা সড়কে ত্রাণ নিতে গেলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। উত্তরের গাজা নগরী এবং দক্ষিণের রাফায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদেরও হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে এদিন ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ নিতে গিয়ে গত এক মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি নয়তো গোলাবর্ষণে অন্তত ৫১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৯ জন।

ত্রাণের নামে ‘মৃত্যুফাঁদ’ তৈরি করা হয়েছে

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জিএইচএফ প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েলি বাহিনীর সহায়তায় কিছু এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছে, যা ২১ লাখ বাসিন্দার উপত্যকাটির অর্ধাহার-অনাহারে থাকা মানুষের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। দাতব্য সংস্থাগুলোকে বাদ দিয়ে এভাবে ত্রাণ দেওয়ার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, গাজায় ত্রাণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও সমালোচনার মুখে গত মে মাসের শেষ দিকে জিএইচএফ ত্রাণ দেওয়া শুরুর পর থেকে ত্রাণ নিতে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে কয়েক ডজন করে ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি গতকাল জার্মানির বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কথিত ত্রাণ দেওয়ার এই ব্যবস্থা একটি ঘৃণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ