বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ এর ২৬মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা করে ১২ই এপ্রিল এজে ওসমানী স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মেজর জিয়াউর রহমানই ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সর্বাধিনায়ক।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।  

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগরে একটি পার্টি সেণ্টারে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নিজ উদ্যোগে   এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।   

এ সময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা।

দেশকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে দেশ প্রেমিক হতে হয়, তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেখিয়ে গেছেন। দেশের ক্লান্তিলগ্নে বারবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার দাঁড়িয়েছে। 

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধেও জিয়াউর রহমানই দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর দেশ যতবার সংকটে পড়েছে জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে, যত স্বৈরাশাসক তৈরি হয়েছে, তাদের পতনেও জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে, জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেও জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে।

তাই বিএনপির যারা জিয়ার আদর্শ বিশ্বাস করেন, তারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। স্বৈরাচারের দোসরদের আশ্রয় দিয়ে কেউ নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। যারা স্বৈরাচারের দোসরদের আশ্রয় দিবে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না। যারা স্বৈরাচারদের আশ্রয় দিবে তাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। 

তিনি বলেন, সেনা বাহিনীতে বিদ্রোহ করলে কি পরিণতি হয়, তা জেনেও জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার যেন যে যুদ্ধকে সেনা বিদ্রোহ বলে দমন করার সুযোগ না পায়, তাই যুদ্ধকে সামরিক ও রাজনৈতিক রূপ দিয়ে সারাবিশে^র স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য, নিজের চিন্তা চেতনা থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সৎভাবে জীবন যাপন করা সবচেয়ে উত্তম। অবৈধ পথে কেউ অর্থ কামিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করার চেষ্টা করবেন না। 

তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদ যেভাবে রাজপথে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক টান করে দাঁড়িয়ে পড়ে ছিলেন, ঠিক ৭১ সালেও জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ প্রকৃত সত্য গোপন করে তাদের মনগড়া ইতিহাস লিখেছে। জিয়াউর রহমানকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ কাউকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেন না। বিএনপিকে ভেঙে দেয়ার জন্য স্বৈরাচার হাসিনা সরকার বিনা কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাবন্দি করে রেখেছে তাকে চিকিংসাও পর্যন্ত করতে দেয়নি।

আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে, দেশবাসী সকালের মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে উপস্থিতিদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ পর ব র দ র জন য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু

কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা? 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকট’
  • মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
  • সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, যে বাস্তবতা ভোলা যাবে না
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু
  • নতুন কর্মসূচি দিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল