আবাসন পরিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমান কারাগারে
Published: 22nd, January 2025 GMT
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সই জাল করে প্লট বরাদ্দ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. তৈয়বুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদক তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এতথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সচিবালয়ে কর্মস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক মো.
দুদক জানিয়েছে, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সই জাল করে প্লট বরাদ্দসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন তৈয়বুর রহমান।
ঢাকা/মামুন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল