সিদ্ধিরগঞ্জে জামায়াতের সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
Published: 1st, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী উত্তর থানা শাখার উদ্যগে এক বিশাল সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ্উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়নগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার।
উক্ত সমাবেশে সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা শাখার আমির মাওলানা মোস্থফা কামালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ মহানগর সেক্রেটারী ইঞ্জিঃ মনোয়ার হোসাইন ও সহকারী সেক্রেটারী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, আজ মহান বিশ^ মে দিবস । আজকের এ দিনে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে ১৮৮৬ সালে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিলো। শেষন ও নির্যাতন হতে মেহনতি মানুষের মুক্তি, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং সামজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদ্ধ পরিকর।
এর ধারাবাহিকতায় নারায়গঞ্জ মহানগরী মেহনতী মানুষের জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় এলে এ সব মেহনতি মানুষের জন্য নারায়নগঞ্জে একটি হাসপাতাল করা হবে। যেখানে শুধেু শ্রমিক ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
নারী শ্রমীকদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে গার্মেন্স নারী কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে গার্মেন্স নারী কর্মীদের নিরাপত্তার তেমন সুব্যবস্থা নাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে এ সব নারী কর্মীদের নিরাপত্তার সুব্যবস্থ নিশ্চিত করব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় আমরা আপনাদের কাছে কোনো সামাজিক কাজ নিয়ে আসতে পারিনি। এমন কি মসজিদের ইমাম পর্যন্ত কথা বলতে পারে নাই। কিন্তু এখন সময় এসেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে।
তাই দল মত নির্বিশেষে এক হয়ে দেশ ও জাতির জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। দেশ পুনর্ঘঠনে সকলকে এক্যবদ্ধ থেকে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যতদিন থাকবে ততদিন মানুষকে কোরআনের দিকে, ইসলামের দিকে ডাকবে এবং ন্যায়ের পথে থাকার জন্য আহ্বান জানাবে।
বর্তমানে যে আইন চালু আছে সে আইনে কোন মানুষের শান্তি নাই, সমাজে শান্তি নাই এমন কি পরিবারেও শান্তি নাই। বিগত সরকার দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলোকে ধংশ করে গেছে। শুধু দেশ নয় তারা পরিবারগুলোকেও ধংশ করে ফেলেছে।
যুবকদেরকে মাদকাসক্ত করে যুব সমাজকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তাই দেশ সমাজ পরিবার এবং যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হলে কোরআন ও ইসলাম ছাড়া অন্য বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে।
উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, মজলিশে শূরা সদস্য ইঞ্জিঃ আব্দুল বাকি, থানা কর্মপরিষদ সদস্য কামরুজ্জামান রিংকু, থানা সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম রিপন, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, রমজান আলি খান, নাছির উল্লাহ প্রধান, নাছির উদ্দিন, রাকিব, ইব্রাহিম খলিল, সাইদুল হক, শহিদুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ দিপু প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে প্রার্থী হবেন কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলেন ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. শরিফুল ইসলাম মোল্লা। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান, এই এলাকায় আমার জন্ম। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে আমাদের সন্তানদের জন্ম এই ফতুল্লা এলাকায়। ফতুল্লার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে আমাদের জীবন।
এই এলাকা আমাদের খুবই আপন সেই ১৯৮৮ সাল থেকে অত্র এলাকার সকল গ্রাম ও গঞ্জে আমি বিচরণ করেছি বিএনপি করায় কারনে। এই এলাকার বিএনপি নেতা থেকে শুধু করে সাধারণ জনগণ সবাই আমরা একই পরিবারের লোক।
তাই নতুন করে চিন্তা আমাদের করতে হচ্ছে আগামী দিনে আমরা ফতুল্লার সংসদ সদস্য ফতুল্লার সন্তানকে নির্বাচিত করব। কারন আমরা দেখেছি অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অন্য এলাকার অথবা অন্য জেলার নেতাকে এমপি নির্বাচিত করে ফতুল্লাবাসী সবসময় অবহেলিত।
ফতুল্লার উন্নয়নের জন্য ফতুল্লার সন্তান এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ফতুল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। এবার সুযোগ এসেছে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। অতএব ফতুল্লার সন্তান হিসেবে আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি। আমি মেড ইন ফতুল্লা, মেড বাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শরিফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালে কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক এ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৮৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হই।
১৯৮১ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা খানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রি মীর শওকত আলী, জনাব মির্জা আব্বাস, জনাব ফজলুল হক মিলন সহ অন্যানা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯০এর গন আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি এবং ফতুয়া বানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদে নামি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পথে নির্বাচন করি। ১৯৯৩ সালে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৪ সাল নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৮ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই (মাহবুবুল আলম ভারা শামসুজ্জামান দুদু কমিটি) (মির্জা ফখবুল ইসলাম শামসুজ্জামান দুদু কমিটি)। ২০০২ সালে পুনরায় জেলা কৃষক দলের সম্মেলনের মাধ্যমে ২য় বার সাধারণ সম্পাদক এবং ফতুল্লা দানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০২১ সালের অক্টোবরে ২য় বারের মত নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি (কাজী মনিরুজ্জামান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কমিটি)। ২০২১ সালে কৃষক দলের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব। ২০২২ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং প্রচার উপ-কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। এবং বর্তমানে কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম সহ-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনাদের দোয়ায় বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আমি আপনাদের মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগণের নিকট আকুল আবেদন আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে অত্র এলাকার উন্নয়নের সুযোগ দিবেন।