রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনের সামনে মধ্যরাতে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা ১১টায় রাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।

‘হামলাকারীর ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘স্যারের বাসায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ককটেলবাজির রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সন্ত্রাসীদের বিচার চাই’- এমন সব স্লোগান  এমন সব স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “কোনো পক্ষকে আমরা দোষারোপ করবো না যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত চলমান থাকবে। আমরা দেখতে চাই বিপ্লবের ৯ মাস পরে এই প্রশাসন কতটা অ্যাকটিভ হয়েছে।”

“আমাদের একটাই প্রশ্ন- সেটা হলো, ক্যাম্পাসের তিন জায়গায় ফাঁড়ি বসিয়েও ভেতরে কীভাবে ককটেল নিয়ে যায়? প্রশাসনের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তারা কতটুকু কাজ করেছে,” বলেন সালাউদ্দিন আম্মার।  

তিনি বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, একজন শিক্ষকের যদি কোনো নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়? এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে অপরাজনীতি শুরু হয়ে গেছে।”

“আমাদের ১২ ঘণ্টার যে আল্টিমেটাম, আমরা চাই এই সময়ের ভেতরে প্রশাসন এই ঘটনার তদন্ত করবে। এর বিচার করতে হবে এবং অন্যান্য ইস্যুর মতো এই ইস্যুটা যেন ধামাচাপা পড়ে না যায়।”

সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, “গতকাল (৩০ এপ্রিল) রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। প্রশাসনের মধ্যে থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার যিনি আমাদের সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশ নিয়েছেন, আমরা জানি যে রুয়া নির্বাচনে মাসউদ স্যার পদপ্রার্থী এবং রুয়া, রাকসু নিয়ে যখন আমরা জোর দাবি জানিয়ে আসছি তখনই এমন একটা হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা গেল।”

তিনি আরো বলেন, “এই ঘটনার পেছনে যারা আছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্যই মূলত আমাদের আজ এখানে সমাবেশে আসা। আমরা কিছু দিন আগে দেখেছি, কুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে, সে রকম কোনো ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন না ঘটে, আমরা এই বিষয়ে সদা তৎপর আছি এবং যেকোনো ধরনের আধিপত্যবাদের রাজনীতি আমরা মোকাবিলা করে যাব।”

বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় রেজিস্ট্রারের বাড়ির দরজার সামনে পাঁচ-ছয়টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা/ফাহিম/রাসেল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ

জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।

আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।

তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।

বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ