বোরকা পরে বাড়িতে আসা নেত্রী দৌঁড়ে পালানোর সময় গ্রেপ্তার
Published: 26th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী নাসিমা বেগম ও ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহম্মেদকেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালানোর সময় তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন দুপুরে উপজেলার মধ্য অরোনকোলা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে নাসিমা ও বিকেলে বাঘইল এলাকা থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নাসিমা অরণকোলা এলাকার আব্দুস সালামের স্ত্রী ও উপজেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অন্যদিকে রাজু আহম্মেদ উমিরপুর এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই তারা আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার বোরকা পরে নাসিমা বাড়িতে এলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি।
দু’জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, নাসিমা ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ প বন গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল