সৌদি আরব চাইলে নিজেদের ভূখণ্ডেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়তে পারে: নেতানিয়াহু
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরব চাইলে তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা, কারণ দেশটিতে প্রচুর খালি জায়গা রয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার চ্যানেল ১৪ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পূর্বশর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। এই শর্ত নিয়ে কোনো দরকষাকষি সম্ভব নয়, এটাও নিশ্চিত করেছে রিয়াদ।
এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, আমি এমন কোনো চুক্তিতে যাবো না, যা রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে বিপদে ফেলবে। বিশেষত ৭ অক্টোবর পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, আপনারা কি জানেন, সেটা কি? একটা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল। সেটার নাম গাজা। গাজার নেতৃত্বে ছিল হামাস, তারাই এই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করতো। আর দেখুন আমরা সেখান থেকে কি পেয়েছি—হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন নেতানিয়াহু। ওই সম্মেলনে ‘গাজা দখলের’ বিস্ময়কর পরিকল্পনার বিষয়ে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনের অল্প সময় পর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কোন আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয়।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জেরুজালেম পোস্টকে জানান, তারা আশঙ্কা করছেন নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে গাজার যুদ্ধের অবসান ও পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কর্মকর্তারা জানান, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে রাজি না হলেও পশ্চিম তীরের অধিগ্রহণ বন্ধ রেখে রিয়াদকে তুষ্ট করার চেষ্টা চালাতে পারেন নেতানিয়াহু।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: র ষ ট র গঠন ইসর য় ল ক কর র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫